শৈশব স্মৃতি-শৈশবের সোনালী দিনগুলো||
আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। শৈশব স্মৃতি মানেই হচ্ছে আমাদের জীবনের সোনালী দিনগুলোর মধুর মধুর স্মৃতি। শৈশবের রঙিন স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়ে। আর শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন খুবই ভালো লাগে। আর মনের অজান্তেই সেই শৈশবের মাঝে হারিয়ে যাই। তাই আজকে আমি শৈশবের সোনালী স্মৃতিগুলোই শেয়ার করব। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের পোস্ট দেখে নেয়া যাক।
শৈশবের সোনালী দিনগুলো:
.jpg)
ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। তাই খেলার সাথীর অভাব ছিল না। আর গ্রামে বড় হওয়ার সুবাদে সঙ্গী সাথীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে খেলাধুলার ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনা ঠিকমতোই করতে হতো। আমার বাবা প্রতিটি বিষয়ে খেয়াল রাখতেন। যখন পড়ার সময় কেউ ডাকতে আসতো তখন তো তার বিপদ হয়ে যেত। নিজের পড়া শেষ করে শুধু উঁকি মারতাম বাবা কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাবা বের হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমিও চলে যেতাম ওই খেলার মাঠে।
খেলার মাঠে গিয়ে সবার সাথে খেলতে অনেক ভালো লাগতো। যখন ছোট ছিলাম তখন বড়দের সাথে খেলতে চাইলেও তারা খেলায় নিত না। তাই আমরা ছোটরা মিলে আরেকটি গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছিলাম। যারা আমাদের সমবয়সী ছিল কিংবা আমাদের থেকে ছোট ছিল তারাই ছিল আমাদের গ্রুপের সদস্য। সবাই মিলে একসাথে সেই খেলার স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়ে। এখন সবাই বড় হয়ে গেছে। কিন্তু স্মৃতিগুলো সেই সুন্দর ভাবেই মনে আছে।
শৈশবের উৎসবের আনন্দগুলো তো আরো বেশি মধুর ছিল। সেই উৎসবের স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়ে। ধর্মীয় কোন উৎসব হলে স্কুল অনেকদিন বন্ধ থাকতো। স্কুল বন্ধ মানে আমাদের অন্য রকমের আনন্দ। যেহেতু আশেপাশে বন্ধুর অভাব ছিল না তাই ছুটির দিনগুলোতে আনন্দ আরও বেড়ে যেত। স্কুল বন্ধ মানেই সকালের খাবার কোনরকমে শেষ করে বেরিয়ে পড়তাম খেলার মাঠের উদ্দেশ্যে। মাঠে গিয়ে সেই যে কি খেলা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যেত। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যেত। যখন পেটে ক্ষুধা লাগতো তখন বাড়িতে ফিরতাম। মাঝে মাঝে তো মায়ের অনেক বকুনি খেয়েছি। আর বাবার ভয়ে তো সব সময় লুকিয়ে পড়তাম।
শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে। সবার সাথে আনন্দ করার কথা গুলো মনে পড়ে। সবাই মিলে একসাথে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সবাই মিলে নদীতে গোসল করার স্মৃতিগুলো। দল বেঁধে নদীতে নেমে পড়তাম গোসল করতে। আর আমাদের বাড়ির পুকুরটাও ছিল অনেক বড়। মাঝেমাঝে পুকুরে নেমে পড়তাম গোসল করার জন্য। সেই আনন্দগুলো এখন আর নেই। তবে স্মৃতিগুলো এখনো মনে জায়গা করে রয়েছে।
শৈশবের সোনালী দিনগুলোর প্রত্যেকটা স্মৃতি অনেক বেশি আনন্দের ছিল। আর সেই স্মৃতিগুলো যখন মনের মাঝে জেগে ওঠে তখন আবারও সেই সোনালী দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে যাই। তাই আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি শৈশব স্মৃতি নিয়ে লিখতে। তো বন্ধুরা আমার এই পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹
আমি মো: স্বপন। আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে শৈশবের দিনগুলো মনে হলে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমিও মাঝেমধ্যে আমার অতীতের দিন গুলো স্মরণ করার চেষ্টা করি। কারণ সেই মধুর স্মৃতি পড়ে রয়েছে শৈশবের দিনে।
আপনার পোস্ট পড়ে অতীতের দিনগুলো আবার মনে পড়ে গেল। হ্যাঁ ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ যখন দীর্ঘদিন স্কুল ছুটির ঘোষণা হতো সেই সময় দিনগুলো আরো বেশি গভীরভাবে উদযাপন হত এখন শুধু সেগুলো অতীত হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
আমাদের বন্ধুদের একটা টিম ছিল ছোটদের টিম। কারণ ঐ আমাদের কেউ বড়রা খেলায় নিত না। ছোটবেলা খেলায় মেতে গেলে খাওয়ার ব্যাপার টাও খেয়াল থাকত না হা হা। চমৎকার লাগল আপনার শৈশবের পোস্ট টা পড়ে। আমার নিজেরও মনে পড়ে গেল শৈশবের কাহিনী টা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
শৈশবের সোনালী দিন গুলো কথা মনে পড়লে এখনো হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে। শৈশবের সোনালী মুহূর্তগুলো জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। মধুর স্মৃতি মনে পড়লে শৈশবের সুন্দর মুহূর্ত ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ছোটবেলায় আমিও মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঠে চলে যেতাম ক্রিকেট খেলতে। সেইদিন গুলো সত্যিই খুব মিস করি। আপনার শৈশব স্মৃতি পড়ে আমারও শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।