জেনারেল রাইটিং:- চাওয়া বেশি থাকতে নেই, চাওয়া বেশি হলে ঠকতে হয়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
আজ আমি আপনাদের মাঝে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি। আসলে আমাদের জীবনে কিছু কিছু কথা রয়েছে যেগুলো চিরন্তন সত্য। যে কথাগুলো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। এবং আমাদের পথ চলাকে সুন্দর করে তুলে। এবং সচেতন করে তুলে আমাদের। জ্ঞানী মানুষগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাজার হাজার বাণী বলে দিয়েছেন। যে বানীগুলো মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বান এগুলো কে বুকে ধারণ করে যদি রাখি তাহলে জীবনটা কিছুটা সহজ হয়। আর সহজ জীবন নিয়ে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবীতে চাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে চাওয়া থাকে। চাওয়া মানুষের বিভিন্ন বিষয়ের উপর থাকে। আর চাওয়া যদি মানুষের কম থাকে তাহলে জীবনটা সহজ হয়। আবার যদি চাওয়া না থাকে সে সামনের দিকে পথ চলা সম্ভব হবে না। বা ভালো কিছু করা সম্ভব হবে না। অসংখ্য মানুষ দেখেছি আমি যাদের চাওয়ার শেষ নেই। যত বেশি চাওয়া থাকে তত বেশি কষ্ট পেতে হয়। কষ্ট পেয়ে অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়। এ কারণে মানুষ সফল হতে পারেনা। মানুষের চাওয়াটা তার পর্যায়ে করা উচিত।
মনে করুন আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার বাবার ইনকাম ২০ হাজার টাকা। এখন আমার চাওয়া যদি থাকে এক লক্ষ টাকার কোন কিছু। তাহলে কি আমার বাবার দ্বারা সম্ভব আমার চাওয়া পূরণ করা। কখনোই সম্ভব নয়। আর আমি যদি আমার চাওয়ার জন্য পাগলামি করি। যেভাবে আমার কষ্ট লাগবে চাওয়া পূরণ হচ্ছে না, তেমনি বাবারও অনেক বেশি কষ্ট লাগবে। আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখি যাদের চাওয়া থাকে অনেক বেশি। যার কারনে বাবার সাথে সন্তানের দ্বন্দ্ব লেগে থাকে।
তেমনিভাবে একজন হাজবেন্ডের কাছেও স্ত্রীর চাওয়া থাকে অনেক কিছু। কিন্তু আমাদের বোঝা উচিত যে, যার কাছে আমি চাচ্ছি তার দেওয়ার পরিস্থিতি কি আছে? আমাদের চাওয়াটা যদি কম থাকে তাহলে কষ্ট কম হবে। অর্থাৎ ঠকা কম হবে। এখানে ঠকা বলতে আমি বুঝিয়েছি কষ্টটাকে। কারন আমি একটা কিছু চাইলাম আমার হাজবেন্ডের কাছে, সে আমার চাওয়াটা পূরণ করতে পারে নাই, তারমানে তার কাছে আমি ঠকেছি। এখন আমরা যদি চাওয়াটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই তাহলে সংসারে যেমন অশান্তি হবে তেমনি, সামনের পথ চলাটাও অনেক বেশি কষ্টের হবে।
এজন্য চাওয়া থাকতে হবে খুব কম। চাওয়া বিহীন মানুষ নেই বললেই চলে । কিন্তু চাওয়াটাকে আমার সাধ্যের মধ্যে থাকতে হবে। তা না হলে সামনের জীবনের পথ চলা অনেক বেশি কষ্টে হবে। এজন্য আমি উপরে টাইটেলে লিখেছি চাওয়া যত বেশি থাকবে আমাকে তত বেশি ঠকতে হবে। আমাদের সবার জীবন জীবনের গতিতে চলবে এটা স্বাভাবিক। জীবন যখন জীবনের গতিতে চলবে তখন চাওয়া গুলো আস্তে আস্তে এমনিতেই পূরণ হয়ে যাবে। যদি আমার চাওয়া অনেক বেশি উপরে হয় তাহলে কোনদিনও চাওয়া পূরণ হবে না।
এজন্য আমি বলব চাওয়া থাকা খুব ভালো, কিন্তু আকাশচুম্বি চাওয়া থাকা একদমই উচিত নয়। আমাদের সবার ইনকাম অনুযায়ী, পরিবারের সবকিছু চিন্তা করে আমাদের চাওয়া নির্ধারণ করা উচিত। আর যদি শুধু আমার চাওয়াটাকে গুরুত্ব দেই তাহলে আমার জীবনটা অল্পতেই কষ্টের সমুদ্রে পড়ে যাবে। সমুদ্র যেমন বিশাল তেমনি আমার কষ্টটা খুব বিশাল হয়ে দাঁড়াবে। আর যার কাছে আমার চাওয়া রয়েছে তার সাথে সম্পর্কটা ভালো যাবে না। আর এই সম্পর্কটা যদি ভালো না যায় তাহলে আমার জীবনটা যেমন সুন্দর হবে না তেমনি ওই মানুষটার জীবনটাও সুন্দর হবে না।
এজন্য আমি সবাইকে বলব। চাওয়া বেশি থাকতে নেই, চাওয়া বেশি হলে ঠকতে হয়। জীবন জীবনের গতিতে চলবে। আমরা জীবনটাকে যদি গুরুত্ব দিই তাহলে খুব সহজেই আমাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়ে যাবে। এজন্য কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। বেঁচে থাকা, টিকে থাকা এবং পরিশ্রম করা প্রয়োজন। তাহলে একটা সময় আমার চাওয়া আমি নিজেই পূরণ করতে পারব। অন্যের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। অন্যের কাছে চেয়ে থাকতে হবে না। আমার সকল চাওয়া খুব সহজেই পূরণ যেমন করতে পারব তেমনি পরিবারের সকল চাওয়াও আমি পূরণ করতে পারব।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
সত্যিই আপু চাওয়া বেশী থাকতে নেই। চাওয়া বেশী থাকলেই আমাদের হারানোর সম্ভবনা বেশী থেকে যায়। আমাদের অবশ্যই নিজেদের সাধ্যের মধ্যেই আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলোকে সীমিত রাখতে হবে। তাহলেই আমোদের জীবনে শান্তি ফিরে আসবে।
আমার পুরো পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের জীবনের চাওয়া পাওয়া বেশি থাকতে নেই যার যেরকম সাধ্য তার সেভাবে চাওয়া পাওয়া উচিত। সাধ্যের বাহিরে যদি চাই তাহলে সেটা আমরা নাও পেতে পারি। তাই সবাই তার সাধ্যের মধ্যে থাকলে জীবনে সুখ শান্তি থাকবে। আপনার কথাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। খুব সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটা লাইন ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছেন। সময় দিয়ে আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
একদমই বাস্তব সত্য একটি কথা উপস্থাপন করেছেন আপু আপনি। আসলে যে যত বেশি চাইবে সে তত বেশি ঠকবে এটা বাস্তব আর এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমাদের সবাইকে যার যা আছে তাই নিয়ে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আর চেষ্টা থাকতে হবে যে কিভাবে নিজেকে স্বাবলম্বী করে নিজের লোকজনদের চাহিদা পূরণ করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পরিস্থিতি বুঝে আমাদের কাজ করতে হবে তাই নিজের পরিবার-পরিজনের দিকে তাকাতে হবে তাদের কতদূর যোগান দেওয়ার সক্ষমতা আছে সে অনুযায়ী আমাদের চাহিদা থাকা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এত চমৎকার একটি বিষয় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে শেয়ার করার জন্য।
সাজিয়ে গুছিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে মন্তব্য করেছেন আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু খুব ভালো লেগেছে। আপনি ঠিক বলছেন সবকিছুর মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা দরকার। সেটা চাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে হোক। ইনকামের সাথে মিল রেখে খরচ করতে হবে এবং চাওয়া পাওয়াও সীমাবদ্ধ করতে হবে। তাহলে সংসারে জীবনে কিংবা সম্পর্কের মধ্যে অনেক বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় যার পরিণতি খুব খারাপের দিকে যায়। অনেক ভালো লিখেছেন আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
আমার লেখাগুলো পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।