এডিস মশাঃ ডেঙ্গু রোগ। প্রতিরোধই সমাধান।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিয়নিটির বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি/ আজ ৬ আষাঢ়,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২০ জুন,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। বন্ধুরা, মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসবের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৯ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আযহা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে। সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আর তা হচ্ছে প্রাণঘাতি একটি ক্ষুদ্র পতঙ্গ নিয়ে। ক্ষুদ্র পতঙ্গটি এত শক্তিশালী যে, যার কারণে পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ অকালে মৃত্য বরণ করতে বাধ্য হন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এত অগ্রগতিতেও যা নির্মূল করা সম্ভব হয়নি বা শত চেষ্টাতেও নির্মূল হচ্ছে না। আপাতত নিয়ন্ত্রনই একমাত্র সম্বল। আর তা হচ্ছে এডিস মশা।
আপনারা জানেন এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের জীবানু বহন করে। আর ডেঙ্গু রোগ বা জ্বরের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ অকালে প্রাণ হারায় পৃথিবীতে। বাংলাদেশে বর্তমান চলছে বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী প্রতিদিন।এডিস মশা নির্মূলে সিটি কর্পোরেশন বা সরকার যে সকল উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে বা চালায় তা অপ্রতুল। এডিস মশা নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগই পারে এসিড মশা নির্মূল করতে। আর এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গুর হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়া দুস্কর।
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ-জ্বর। সাধারণত ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি ভাব, ক্লান্তি, পাতলা পায়খানা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। কখনো কখনো ডেঙ্গু মানুষের শরীরের রক্তনালী গুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে ফলে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যায়।প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নিচে নামলে বা শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তপাত হতে পারে। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি খুবই কম দেখা যায়।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মৃত্যুর সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন। গতকাল ঢাকায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে প্রাপ্ত খরর। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কৃত হয়নি। চিকিৎসকরা সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দিয়ে থাকেন। রোগের মাত্রা বেশী হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি বা ডাক্তারের নজরদারীতে রাখা জরুরি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে বেশী করে পানি,ডাবের পানি,পেপে,লেবুর শরবত, ফলের জুস,খাবার স্যালাইন,ভিটামিন সি, জিঙ্ক ও আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার বেশী করে খাওয়ানো দরকার। ভাজাপোড়া,আমিষ,তৈলাক্ত ও চর্বি জাতীয় খাবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সময় না দেয়াই ভালো।
ডেঙ্গু এডিস মশা বাহিত একটি রোগ। গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় শহর অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশী। তাই শহর এলাকার মানুষদের বেশী সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গ থেকে বাঁচাতে সচেতনতা ও প্রতিরোধেই আপাতত একমাত্র উপায়। এজন্য আমাদের এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায়, তাই দিনের বেলা ঘুমালে মশারি ব্যবহার করতে হবে।. বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, অফিস-আদালতের আনাচ-কানাচে মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটাতে হবে যাতে এসব স্থানে কোনোভাবেই মশা আশ্রয় নিতে না পারে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। ঘরের দরজা, জানালায় ও ভেন্টিলেটরে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ঘরের বাইরে বের হলে ফুলহাতা শার্ট, ফুলপ্যান্ট ও মোজা পরার অভ্যেস করতে হবে। ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের খোল, বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাংক,ফ্রিজ,এসি,টব ও অব্যবহৃত গাড়ির টায়ারে যাতে পানি জমতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন বা দু"দিন আমাদের বসত-বাড়ী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারি তাহলে এডিস মশা্র বংশ বিস্তার করা কঠিন হবে।
বন্ধুরা,আসুন নিজে সচেতন হই এবং অপরকে সচেতন করি। যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে এডিস মশা মুক্ত ও ডেঙ্গু রোগ মুক্ত জীবন গড়ি। আমার বাড়ী ও মহল্লা এডিস মশা মুক্ত হলে,আমার শহরও তা থেকে মুক্ত হবে। সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-সুস্থ্য থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল পোস্ট |
---|---|
ক্যামের | SamsungA10 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২০জুন,২০২৩ |
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1671152398516244482
মশার উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার সাথে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে ,এবং প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সবাইকে সাবধান থাকা দরকার সচেতন হওয়া দরকার। আপনার পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট ছিল আপু অনেক কিছু জানার এবং শেখার আছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা যদি সচেতন হই তবেই নিজে রক্ষা করতে পারবো। ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে মশা উপদ্রব খুব বেড়ে গেছে। মশা কামড় দিলে এখন ডেঙ্গু রোগ হবে। এখন বর্ষাকাল চলছে বর্ষাকালে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। এতে করে প্রচুর ভাবে মশার বংশবিস্তার হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধই সমাধান পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
জি ভাই সতর্কতাই পারে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করতে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।