'তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই' গল্পের সপ্তম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে 'তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই' গল্পের সপ্তম পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, গল্পের সপ্তম পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।

pexels-vjapratama-935824.jpg
সোর্স


রাজু বাড়িতে আসতেই মেঘা রাজুকে ডাক দেয়।

রাজু: কিছু বলবি আমাকে?
মেঘা:হ্যাঁ।
রাজু: কি কথা তাড়াতাড়ি বল আমার একটু কাজ আছে।
মেঘা: দাদা সৃষ্টির ফোন করেছিল।
রাজু: ফোন করেছে কি হয়েছে তোর ফ্রেন্ড তোকে ফোন করতেই পারে আমাকে বলার কি আছে।
মেঘা: তোর কথা জিজ্ঞাসা করছিল।
রাজু: হঠাৎ করে তোর ফ্রেন্ড আমার কথা জিজ্ঞাসা করছে কেন কি হয়েছে তার?
মেঘা: দাদা আমি তোদের সম্পর্কে সবটাই জানি মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে।
রাজু: কষ্ট পাবার কোন কিছু হয়নি। তোর ফ্রেন্ড আমাকে বলেছিল তাকে যেন আমি বিরক্ত না করি। আমি তো তাকে এখন বিরক্ত করছি না। এখন আমি তাকে দেখার জন্য তার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি না। তোর ফ্রেন্ড ভালোই তো আছে।
মেঘা: দাদা ওর হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি তুই ওকে ফিরিয়ে দিস না।
রাজু: এসব পাগলামি আমার একেবারেই পছন্দ হয় না। তুই বলেছিস আমি ভেবে দেখব এখন যা।


রাজু রুমে যে একটি সিগারেট জ্বালিয়ে বারান্দার বসে ভাবতে থাকে সৃষ্টির কথা। কিছুক্ষণ পর রাজু সৃষ্টিকে ফোন দেয়। রাজুর ফোন পেয়ে সৃষ্টি সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি রিসিভ করে। রাজু সৃষ্টিকে বলে, তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সে রাজি আছে। সৃষ্টি একটি জায়গার নাম বলে। সেখানে তারা পরের দিন দুজনে দেখা করে। সৃষ্টি সেদিন একটি নীল শাড়ি পড়ে এসেছিল। রাজুর নীল রং খুবই পছন্দের তাইতো রাজু অবাক চোখে সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ছিল। সৃষ্টি কাছে আসতেই সৃষ্টি রাজুকে বলে।


সৃষ্টি: এমন করে কি দেখছেন?
রাজু: দুচোখ ভরে শুধু তোমাকেই দেখছি।
সৃষ্টি: (মুচকি হেসে) মনে হয় আপনি আমাকে আগে কোনদিন দেখনি।
রাজু: দেখেছি তোমায় অনেকবার কিন্তু আজ তোমাকে লাগছে অপরুপা।
সৃষ্টি: থাক আর প্রশংসা করতে হবে না।
রাজু: তুমি বসো তোমাকে দুচোখ ভরে দেখি।
সৃষ্টি: আপনি এমন করলে আমি কিন্তু চলে যাব।
রাজু: যাবার জন্য তো তুমি আসোনি সৃষ্টি।
সৃষ্টি: চারিপাশে অনেক লোক রয়েছে তারা দেখলে কি মনে করবে প্লিজ আপনি এমনটি করবেন না।
রাজু: লোকে কি মনে করলো বা না মনে করলো সেটা আমার কিছু যায় আসে না।
সৃষ্টি: আমার খুব লজ্জা করছে।


এরপর তাদের দুজনের ভেতর অনেক কথোপকথন চলতে থাকে। একটি পর্যায়ে সৃষ্টি কান্না করতে করতে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে। রাজু ও মুখটি ভার করে বেরিয়ে পড়ে। সৃষ্টি বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে এমন সময় মেঘার ফোন আসে। কিন্তু সৃষ্টি মেঘার ফোন রিসিভ করে না। মেঘা অনেকবার ট্রাই করে কিন্তু সৃষ্টি মেঘের ফোন রিসিভ করে না। পরবর্তীতে সৃষ্টি ফোনটি অফ করে রেখে দেয়। মেঘা সৃষ্টির ফোন অফ পাওয়াতে ফোন দেয় রাজুকে। রাজু কে ফোন করতেই রাজু রিসিভ করে মেঘার সাথে কথা বলে। মেঘা সবটাই জানতো তারা দুজনে দেখা করতে গিয়েছে। মেঘা রাজুকে জানায় সৃষ্টির কি হয়েছে সে কেন ফোন রিসিভ করছে না? রাজু তার বোনের প্রশ্নের উত্তরে শুধু এটুকুই বলে আমি কিছু জানি না। কিন্তু মেঘা বুঝতে পারছিল যে তাদের ভিতর কিছু না কিছু হয়েছে। কারণ মেঘা সৃষ্টির খুব ভালো বন্ধু এমনটি কখনো হয়নি যে মেঘার ফোন সৃষ্টি রিসিভ করেনি।

আজ গল্পের পর্বটি এখানে শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Sort:  
 2 days ago 

তাদের দুজনের মধ্যে এমন কি কথা হয়েছিল, সৃষ্টি কান্না করতে করতে বাসায় গিয়েছে আর গিয়েও কান্না করেছে। অন্যদিকে আবার মেঘার ফোনও রিসিভ করেনি সে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হতে চলেছে। তাদের দুজনের মধ্যে আবার কি হয় এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.24
JST 0.033
BTC 89657.68
ETH 2276.55
SBD 0.63