"চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজি রেসিপি"
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজি রেসিপির একটি পোস্ট উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
চিংড়ি মাছের অনেক রেসিপি আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু চিংড়ি মাছের ঘিলু দিও যে একটি রেসিপি তৈরি করা যায় এবং সেটি খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। বেশ কিছুদিন ধরে আমার খুব চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজি খেতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু সমস্যা একটাই যে সব সময় এটি পাওয়া যায় না। এটি ক্রয় করতে হলে অবশ্যই চিংড়ি মাছের আড়তে যেতে হবে ওখানে চিংড়ি মাছের ঘিলু পাওয়া যায়। তাই একদিন সময় করে চলে গেলাম চিংড়ি মাছের আড়তে। আর সেখান থেকেই ৫০০ গ্রামের মত চিংড়ি মাছের ঘিলু কিনলাম এবং সাথে চিংড়ির মাথাও কিনে আনলাম কারণ শুধু ঘিলু ভাজি করলে তেমন ভালো লাগে না।চিংড়ি মাছের ঘিলুতে স্বাদ হয় কিন্তু যদি এর সাথে চিংড়ির মাথা দেওয়া হয় তাহলে তার টেস্ট আরো বেশি হয়। আমি ছোটবেলায় যখন মামা বাড়িতে যেতাম তখন আমার দিদিমা এই রেসিপিটি করে আমাকে খাওয়াতো। আর এই রেসিপিটি আমি আমার দিদিমার কাছ থেকে শিখেছি। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খেতে অনেক ভালো লাগে।
তাহলে চলুন এক নজরে দেখে আসা যাক আজকের এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ গুলো লেগেছে।
উপকারন:
১:চিংড়ি মাছের ঘিলু:৫০০ গ্রাম
২:পেঁয়াজ কুচি:১ কাপ
৩:রসুন কুচি:১/১ কাপ
৪:গরম মসলা বাটা:২ চা চামচ
৫:জিরা বাটা:২ চা চামচ
৬:লবণ: পরিমাণ মতন
৭:হলুদ গুঁড়া:১ চা চামচ
৮:কাঁচা মরিচ:পরিমাণ মতন
৯:শুকনা মরিচ:২ পিস
ধাপ:১
প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে দিলাম। কড়াইয়ের তেল গরম হয়ে গেলে সামান্য জিরা দুইটি শুকনা মরিচ দিয়ে চিংড়ি মাছের মাথাগুলো দিয়ে সামান্য ভেজে নিলাম।
ধাপ:২
চিংড়ি মাছের মাথাগুলো ভাজি হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কচি, রসুন কুচি দিয়ে কিছুটা সময় নেড়েচেড়ে দিলাম। এরপর আবারো ভাজি করা চিংড়ি মাছের মাথাগুলো দিয়ে আরো কিছুটা সময় ধরে ভাজি করে নিলাম।
ধাপ:৩
এরপর চিংড়ি মাছের ঘিলু দিয়ে দিলাম এবং ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। এরপর পাঁচ মিনিট পর ঢাকনাটি খুলে নেড়েচেড়ে দিয়ে গরম মসলা বাটা এবং জিরা বাটা,লবণ, হলুদ সবকিছু দেওয়ার পরে আবারো নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ:৪
এরপর যখন ভাজির কালার ছাড়তে শুরু করল কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে অল্প জালে আরো দুই মিনিট ভেজে নিলাম।
ধাপ:৫
দুই মিনিট পর ভাজিটি একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম এবং খাবারটি প্রস্তুত করে ফাইনালি আমার তৈরি চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজির রেসিপির কিছু ফটোগ্রাফি করলাম এবং নিজের সাথে একটি সেলফি নিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি:oppo
ক্যামেরার মডেল:oppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য:4.05mm
তারিখ:০২.০২.২০২৪
সময়:১০.১৭মিনিট
চিংড়ি মাছ অনেক খাওয়া হয়েছে কিন্তু এভাবে চিংড়ি মাছের ঘিলু আলাদা করে ভাজি রেসিপি তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছে দেখছি খুবই ভালো লাগলো। এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়।
তবে এত মজাদার ভাবে চিংড়ি মাছের রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া যায় আসলে আমার মাথায়ই ছিল না।
আপনার রেসিপিটি না দেখলে কখনো বুঝতেই পারতাম না।
আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফি দেখেই আমার জিভে জল চলে এসেছে খেতে খুব মজা হবে এ বলতে হচ্ছে না।
চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজি বাহ্ মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে আমি দুই থেকে তিনবার খেয়েছিলাম। খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। খুব তাড়াতাড়ি আবার ও তৈরি করে খাবো। আপনার পোস্ট দেখে শিখে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজির চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরি করার বর্ণনা গুলো খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ যদিও আমি খেতে পছন্দ করি না। তবে আপনার চিংড়ি মাছের ঘিলুর রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। নিশ্চয়ই এই মজাদার রেসিপিটা আপনি খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। যারা এই রেসিপিটা তৈরি করতে পারে না, তারা চাইলে আপনার উপস্থাপনা দেখে খুব সহজে এটি তৈরি করে নিতে পারবে। আপনি আপনার দিদিমার কাছ থেকে এই মজাদার রেসিপি টা তৈরি শিখেছেন জেনে ভালোই লেগেছে। আপনার দিদিমা আপনাকে এই রেসিপিটা তৈরি করে খাওয়াতো, বুঝতেই পারতেছি এটা আপনার পছন্দের।
চিংড়ি মাছের ঘিলু ভাজি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। রেসিপি কালারটাও বেশ দারুন এসেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে খুব সহজভাবে রেসিপি টি তৈরি করে নিতে পারবে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ্! বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। চিংড়ি মাছের ঘিলু বা মগজ আলাদাভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। গরম গরম ভাতের সাথে কিংবা রুটি দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপির পরিবেশনটা এক কথায় দুর্দান্ত হয়েছে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদার হাতের রান্না চিংড়ি মাছের ঘিলু রেসিপি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপনার রান্নার পদ্ধতি দেখে বোঝতে পারছি ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি।আমি কখনো চিংড়ির ঘিলু খাইনি এভাবে রান্না করে। ধাপে ধাপে চমৎকার করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। রান্নার পর পরিবেশের ফটোগ্রাফি সত্যি ভীষণ লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।