||রমজান মাস মানে রহমতের মাস||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে রমজান মাস মানে রহমতের মাস তো আমি সবসময় আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করি।আর আপনারা সবাই জানেন আমাদের পবিত্র মাহে রমজান মাস চালু হয়েছে। এবং এই পবিত্র মাহে রমজানের অনেক ফজিলত।এবং অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস আমাদের।যাইহোক এটা কিন্তু না বোঝার কোন কথা না।আমরা সবাই জানি এই মাসের কতো গুরুত্ব।এই মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ নাজিল হয়েছে। যাইহোক এই মাসে কবরের আজাব ও শয়তানের অসওয়াসা থেকে বিরত রাখছে।তাই আমাদের সবার উচিত এই পবিত্র মাহে রমজান টি কাজে লাগানো।যারা এই পবিত্র মাহে রমজান মাস টি পেয়েছে।এবং কোন কাজে লাগাইনি তারা কিন্তু দুর্ভাগ্য মানুষ।এই মাসে এক নেকির জায়গায় ৭০ গুন বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
রমজান শুধু একটি মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ধৈর্যের এক অনন্য সুযোগ। প্রতিটি সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত সময় আমাদের মনে করিয়ে দেয় ধৈর্যের শক্তি, ক্ষুধার কষ্ট বোঝার অনুভূতি এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার গুরুত্ব।
এই মাস আমাদের শুধু খাদ্য থেকে নয়, সকল ধরনের খারাপ কাজ ও চিন্তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। রমজান আমাদের শিখিয়ে যায় দানশীলতা, পরোপকারিতা এবং বিনয়। এ সময় আমরা বেশি বেশি ইবাদত করি, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করি, গরীব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াই এবং আমাদের চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি।
যারা সারাদিন রোজা রেখে কষ্ট অনুভব করেন, তারা ক্ষুধার্তদের কষ্ট উপলব্ধি করতে পারেন। আর ইফতারের সময় যখন প্রথম পানির ফোঁটা ঠোঁট ছোঁয়ায়, তখন যে প্রশান্তি অনুভূতি হয়, তা সত্যিই বর্ণনাতীত।একটা রোজাদারকে তখনই ভালো লাগে যখন সে ইফতারের সামনে বসে শান্তি মতো ইফতার করতে পারে।আসলে এই পবিত্র মাহে রমজানের যে কতটা গুরুত্ব তা বলে শেষ করা যাবেনা।
আমরা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবো যে,যে লোক গুলো সারা বছর ধরে নামাজ পড়তো না। কিন্তু এই পবিত্র মাহে রমজান আসলেই কিন্তু তাদের আত্মার মধ্যে ভালো কিছু চলে আসে।আসলে আমাদের সবার উচিত এই পবিত্র মাহে রমজান কে কাজে লাগিয়ে সারা বছরের গোনা মাফ চেয়ে নেওয়া।সৃষ্টিকর্তা যেনো আমাদের সকল জিন্দিগির গুনাহ মাফ করে দেন।
আর রমজানের মূল সৌন্দর্য হলো আত্মশুদ্ধি ও সংযম। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীর সমস্ত কিছুই সাময়িক, কিন্তু সৎকর্ম ও মানবিকতা আমাদের প্রকৃত সম্পদ।
তাই আমাদের সবার উচিত এই রমজান আমরা শুধু রোজা রাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করি। ছোট ছোট ভালো কাজের মাধ্যমে আমাদের জীবন ও চারপাশকে সুন্দর করে তুলি। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই পবিত্র মাসের রহমত ও বরকত দান করেন। আমিন।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আজকের ডেইলি টেস্ক প্রুফ।।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সংযমের এক অনন্য সুযোগ। এই মাসে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। দান-সদকা ও নেক আমলের গুরুত্ব অসীম। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই পবিত্র মাসের রহমত, বরকত ও মাগফিরাত দান করুন। আমিন।
হ্যাঁ ভাই রমজান মাস মানে সাধনার মাস। পাপ মোচন করার অন্যতম সুযোগ। এদিকে নিজেকে সুস্থ রাখার অন্যতম একটা মাধ্যম রোজা রাখা। রোজা রাখতে পারলে নিজের শরীরটা ভালো থাকে। অনেক সুন্দর লিখেছেন এ বিষয়ে। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
রমজান মাস রহমতের,মাগফিরাতের ও নাজাতের মাস।এই একটি মাসে নিজেকে শুধু শুদ্ধ না করে বছরের বাকি সময়টাতেও নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার আমাদের নিতে হবে।পবিত্র মাসে আল্লাহ যেনো আমাদের সবাইকে কবুল করে নেন,আমিন।
রমজান মাস অতি বরকতময় এবং রহমতের মাস। এই মাসে সমস্ত খারাপ কাজকে বিরত রেখে, শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার এবাদত করাই হলো মূল উদ্দেশ্য। রোজা রাখার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন এবং নিজের শরীর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখা যায়। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই,আপনার লেখা পড়ে মনটা ভরে গেল। এই পবিত্র মাসের উসিলায় সবাইকে কবুল করে নিও, আমিন।