মনে পড়ে আমার ছেলেবেলা
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তবে মনমানসিকতা ভালো নেই। আর মনমানসিকতা যদি ভালো না থাকে তাহলে শরীর মন অচল হয়ে পড়ে। তারপরেও আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার জেনারেল রাইটিংটি দেখে আসি যে কি বিষয় নিয়ে লেখলাম। হ্যাঁ প্রিয় বন্ধুরা আজ আবার নতুন আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। আসলে দিন দিন পৃথিবীটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এই কঠিন পৃথিবীতে আমাদের চলার পথও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের এই চলার পথগুলো চোখ কান খোলা রেখে চলতে হবে।নয়তো কে যে কখন কোন বিপদে পরে যাই কেউ বলতে পারবে না। আমাদের চারিপাশের মানুষজন খুবই ভংঙ্কর। কার ভেতরে যে কি আমরা তার কিছুই বলতে পারি না। তাই একটু অসচেনতার কারনে দেখা যাবে আমাদের জীবনে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। আর তাই সবসময় আমাদের চোখ কান খোলা রেখে চলতে হবে।

মনে পড়ে সেই ছেলেবেলার দিন গুলো। মনে পড়ে ছেলেবেলার শীতকালকে। ছেলেবেলার শীতকাল মানেই ছিল আনন্দ আর উদ্দীপনা। ছেলেবেলার শীতকাল মানেই ছিল জোলা ভাতি খেলা। আর ছেলেবেলার শীতকাল মানেই ছিল বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটাছুটি খেলা। তখন ছিল না কোন টেনশন। ছিলনা কোন ঝামেলা আর ছিল না কোন চিন্তা। তবে সেই খাওয়া দাওয়ার আগের কিছু কথা আছে। ছেলেবেলায় তো আর সিলেন্ডার গ্রাস দেখা হয়নি। তাই রান্না বান্না করা হতো লাড়কির চুলায়। আর সেই লাড়কির চুলার রান্না খেতে আমাদের কে কাগজ টুকানীদের মত করে লাড়কি টুকাতে যেতে হতো অন্যের খেতে। অবশ্য আমরা তখন অন্যের ক্ষেতের ডালপালা চুরি করে নিয়ে আসতাম। আর আমাদের চুরি করা ডালপালা গুলো দিয়ে মজার খিচুড়ি রান্না করা হতো। কয়বার যে পেদানী খেয়েছিলাম সেই ডালপালা চুরি করতে গিয়ে। তবে খিচুড়ি রান্না করা হবে, তাই বিকেল বিকেল আমরা সবাই ট্রাউজার আর কেইস পড়ে নীচে চলে আসতাম। কারন যতক্ষন না খিচুড়ি রান্না হতো ততক্ষন আমরা খেলায় মগ্ন থাকতাম। কেউ খেলতে ক্রিকেট, কেউ বা ব্যাডমিন্টন। আবার কেউ বা দাঁড়িয়া বান্দা। শীতের রাতে রাস্তায় বাতি জ্বালিয়ে এমন খেলা দেখতে আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগতো। অবশ্য তখন এই খেলা গুলো তে আপুও থাকতো। আর সবাই মিলে বেশ মজাও করা হতো। আরও যে কত রকমের ছেলেবেলার স্মৃতি আছে সেগুলো আপনাদের মাঝে আস্তে আস্তে শেয়ার করবো। একদিনে সব বলে দিলে তো আর আকর্ষণ থাকবে না। তবে আমার মনে হয় ছেলেবেলার সেই মজার সময় গুলো হয়তো আর ফিরে পাবো না। ফিরে পাবো না আনন্দ আর আবেগে ভরা দিনগুলো। সেগুলো শুধু স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে।
যেই না বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হতো তখন থেকেই শুরু হয়ে যেত লিষ্ট। চাল ডাল চুরি করে প্রতিদিন রাতে আমরা খিচুড়ী জোলা ভাতি খেলতাম। সবাই সবার বাসা হতে খাবারের জন্য প্লে নিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যেতাম।
আশা করি আমার আজকের পোস্টটিও আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। আজ আর নয়। আল্লাহ্ হাফেজ। ভালো থাকবেন সবাই।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে। যেখানে খিচুড়ি রান্নার কথা উল্লেখ। আমার প্রতি ফেভারিট একটি খাবার। এদিকে খেলাধুলার বিষয়টাও বেশি দারুন ছিল। আমিও অনেকবার ব্যাডমিন্টন খেলেছি। যাই হোক অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আমার মনে হয় ছেলে বেলা সবার অনেক সুন্দর। সত্যি ছেলেবেলা খড়ি টুকানোর আনন্দ অন্য রকম ছিল। আর নিজের টুকানো খড়ি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা বেশ ভালো লাগতো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। তখনকার শীতকাল মানেই আনন্দ। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে মামার বাড়ি যাওয়ার সেই মজা। বড্ড মনে পড়ে দিনগুলো। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে ফেললাম। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার মতো আমারও ছেলেবেলার দিনগুলো মনে পড়ে যায় আপু। সেই সময় গুলোতে কোন চিন্তা ছিল না ভাবনা ছিল না। শুধুই ছিল আনন্দ আর আনন্দ । এখন হাজারো চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়।আর তখন শুধু খাওয়া ঘুম ছাড়া কোনই কাজ ছিল না। স্বপ্নের মত মনে হয় সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে। অনেক সুন্দর কিছু কথা শেয়ার করেছেন। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হুম মনে পড়েছে। ছেলেবেলায় আপনি বেশ দুষ্ট ছিলেন। লাড়কি খুঁজতে গিয়ে তো একবার মায়ের হাতে বেশ মার খেয়ে ছিলেন। যাই হোক খুব সুন্দর করে ছেলেবেলার কথা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধণ্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।