ভেবেচিন্তে কথা বলার গুরুত্ব।
০৩ কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৭নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
০৩রবিউস সানী ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার।
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
মানুষের চরিত্রের উত্তম গুলাবলীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম কথা বলা। কম কথা বলাতে মানুষ অনেক সময় অনেক ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায়। উত্তম কথা বলা যেমন একটি ইবাদত তেমনি কম কথা বলাটাও একটি ইবাদত। কোন কথা বললে পৃথিবী এবং পরলৌকিক জীবনের ও শান্তির ব্যবস্থা হবে। যত কথা কম বলা যাবে ততই মুক্তির পথ সুগম হবে। কেননা কথা কম বললে পাপ কথাটাও মুখ দিয়ে কম বের হবে। কম কথা বলা এবং ভেবেচিন্তে কথা বলা সম্পর্কে অনেক নির্দেশনা রয়েছে।
সব কথা লিপিবদ্ধ হয় :
আমরা সবাই জানি যে আমাদের প্রতিটা কাজকর্মের হিসাব রাখার জন্য আমাদের দুই কাঁধে দুইটা ফেরেশতা নিযুক্ত রয়েছে। আমাদের কোন কথার মাধ্যমে আমরা যদি সওয়াব কামাই করি অথবা গুনাহ কামাই করি সেটা কিন্তু এই ফেরেশতার সাথে সাথে লিপিবদ্ধ করে রাখে।সপ্তাহে দুদিন সোমবারে এবং বৃহস্পতিবার আমাদের এই আমল আল্লাহতালার কাছে পেশ করা হয়। এরমধ্যে যে কথাগুলো তে গুনহা এবং সওয়াব কিছুই হয় না এইগুলা মিটিয়ে দেওয়া হয়। এবং বাকি শোয়াব শাস্তিযোগ্য কথাগুলো আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় লিপিবদ্ধ আকারে। এজন্য কথা বললে আমাদেরকে সবসময় ভেবেচিন্তে কথা বলতে হবে।***
আল্লাহ বলেন:
মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তার জন্য তৎপর প্রহরী তার কাছেই আছে।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ১৮)
ভালো কথা বলা বা চুপ থাকা :
কথা বলার মাধ্যমে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটা ফুটে ওঠে সবসময়। এজন্য ভালো কথা বলা অন্যথায় চুপ থাকা অত্যন্ত জরুরী। অনর্থক কথা কখনো মানুষের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। অনর্থক কথা বললে সেই কথায় মিথ্যা পরনিন্দা প্রতারণামূলক কথা বলে মানুষের মন জয় করে নিতে হয় অন্যথায় সম্ভব নয়। এজন্য হাদিসে বলা আছে কেউ যদি আল্লাহ ও সেই দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে।
আপনি নিজের থেকে একটু ভেবে দেখুন আপনি চুপ থেকে কিন্তু কখনো লজ্জা পাননি। অথচ কোন বিষয়ে অতিরিক্ত বলতে গিয়ে অনেক সময় লজ্জা পেয়েছেন আঘাত এসেছে। নিজে থেকে ভেবে দেখুন অতিরিক্ত কথা বলতে গিয়ে অনেক ভাবেই আমরা লজ্জিত হয়ে যাই। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় কথা বাদে অতিরিক্ত কোথা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। তাহলে কথা বলার সময় যেমন আমাদের প্রশংসা আসবে তেমনি অগ্রহণযোগ্য কথা থেকে দূরে থাকতে পারবো।*
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
কথা ঠিক ভাই চুপ থেকে কখনো লজ্জা পাইনি। কিন্তু অতিরিক্ত কথা বলতে গিয়ে এমন অবস্থার স্বীকার হয়েছি। অনর্থক কথা বলা মানুষগুলো খুব একটা গুরুত্ব পাই না মানুষের কাছে। কিন্তু চুপ থাকলে কথা কম বললে সবাই বোঝে না সে একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। এবং সবাই কথার গুরুত্ব দেয়। বেশ চমৎকার লিখেছেন ভাই।
এজন্য বলি ভাই শুনতে হবে বেশি বলতে হবে কম তাহলে জ্ঞানও বাড়বে সম্মানটাও টিকে থাকবে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চুপ থাকা ও কথা কম বলা অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করে যেমন রাগের সময় যদি কেউ চুপচাপ থাকে তাহলে রাগান্বিত খুব তারাতারি কমে যায়।আবার কথা কম বল্লে পাপ কথা কম বলা হয়।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বুঝিয়েছেন কথা কম বলার গুরুত্ব। অনেক কিছুই অজানা কথা জানতে পেলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে।ধন্যবাদ সুন্দর শিক্ষানীয় পোস্ট টি করার জন্য।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন হয়তো আমি এটা স্ক্রিপ্ট করে গিয়েছিলাম রাগের সময় চুপ থাকলে অনেক রকমের ক্ষতি থেকে বাঁচা যায় এবং অনেক উপকারে আসে সময়টা।
বলা হয়ে থাকে জ্ঞানী লোকে কথা সবসময় কম বলে। যে কোনো বিষয়ে কথা বলার সময় বুঝে শুনে কথা বলা উত্তম। যেতো কম কথা বলা যায় ততোই ভালো। গ্রাম অঞ্চলে একটি প্রবাদ বিদ্যমান রয়েছে যে মানুষ কথা বলতে পারে না তার শত্রু নেই। মানুষের মুখের কথায় হচ্ছে যতো সব সমস্যার মূল। আপনি ভাই ঠিক বলেছেন, যে কোন বিষয় কথা বলতে হলে ঐ বিষয় সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রেখে ভেবেচিন্তে কথা বলা উত্তম। এত চমৎকার বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শুনতে হবে বেশি বুঝতে হবে বেশি বলতে হবে কোন যাতে কথাগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং গোছানো হয়।
অতিরিক্ত কথা বলা কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারে না।