AI দিয়ে।।০১ এপ্রিল ২০২৫
হ্যালো বন্ধুরা,
বর্তমান প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তিদের স্মৃতি ও পরিচয় ভার্চুয়ালভাবে পুনরায় জীবন্ত করার চেষ্টা চলছে।এটি পুরোপুরি শারীরিক পুনর্জীবন নয় বরং একটি ডিজিটাল প্রতিচ্ছবি তৈরি করার প্রক্রিয়া, যাকে "ডিজিটাল রিজারেকশন" বলা হয়। এই পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তির ছবি, ভিডিও, অডিও ক্লিপ, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, চ্যাট হিস্ট্রি এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে AI সিস্টেম বিশ্লেষণ করে তার মতো কথা বলা, চিন্তা করা এবং আবেগ প্রকাশ করার ক্ষমতা অর্জন করে।ফলে একটি বট বা হিউম্যানয়েড রোবটের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির ভার্চুয়াল রূপ তৈরি হয় যা তার পরিবারের সঙ্গে কথোপকথন করতে পারে এবং জীবনের নানা ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।
এই প্রযুক্তির অন্যতম উদাহরণ হলো AI-চালিত চ্যাটবট, যেমন কেউ যদি তার প্রিয়জনের জীবনভিত্তিক তথ্য দিয়ে একটি AI মডেল ট্রেইন করে,তবে সেই বট তার প্রিয়জনের কণ্ঠ, ভাষা ও ভাব প্রকাশে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে।এমনকি এখন এমন holographic projection ব্যবস্থাও তৈরি হচ্ছে,যেখানে মৃত ব্যক্তিকে ত্রিমাত্রিক রূপে দেখা যায় এবং তার কণ্ঠস্বরও শোনা যায়।
তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন আবেগপূর্ণ সম্পর্ক ও স্মৃতিকে জীবন্ত রাখতে সাহায্য করে,তেমনি এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে।যেমন, এটি মানুষের বাস্তবতা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, মানসিকভাবে অতিমাত্রায় নির্ভরশীল করে তুলতে পারে এবং এমনকি মিথ্যা স্মৃতি তৈরি করতেও সক্ষম হতে পারে।নৈতিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে, কেউ মৃত্যুর পরে চাইবে কি না তার এমন ভার্চুয়াল রূপ থাকুক বা তার তথ্য ব্যবহারের অধিকার কার?
সুতরাং, AI দিয়ে মৃত মানুষকে জীবন্ত করার প্রচেষ্টা প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটি চমকপ্রদ উন্নয়ন হলেও,এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল, নৈতিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে জড়িত একটি বিষয় যা ভবিষ্যতে আরও আলোচনার দাবি রাখে।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
AI দিয়ে কি করা যায় তার সুন্দর বিবরন পেলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে দাদা।সত্যি এ ধরনের বিষয় গুলো উন্নয়ন মূলক হলেও কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।মৃত ব্যাক্তির বিভিন্ন তথ্য সত্যি ই অনেক সংবেদনশীল বিষয়। প্রযুক্তির ব্যবহার কতো দূর এগিয়ে যাচ্ছে তা চিন্তার ও অতীত।