এয়ারক্র্যাফট জাদুঘর এ একদিন।।০৩ অগাস্ট ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা আমি সাধারণত গ্রাম্য পরিবেশে বেড়াতে যেতে ভালোবাসি।কিন্তু মাঝে মাঝে কংক্রিট এর শহরে ও একটা ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায়।তারই ধারাবাহিকতায় আমি মাঝে মধ্যে কলকাতা শহরে ঘুরতে যাই।কিছুদিন আগে সবাই মিলে সন্ধ্যাবেলা বেরিয়ে পড়লাম কলকাতায় একটু ঘোরাঘুরি করতে।কিন্তু কোথায় যাবো?
এমনিতে কলকাতায় দর্শনীয় সব জায়গা গুলো বহুবার পরিদর্শন করা হয়ে গেছে।তাই আমরা চাই ছিলাম একটু নতুন কোথাও যেতে।স্বাগতা বললো যে ও আমাদের newtown এ একটা নতুন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবে।আমরা ও বেশ আগ্রহী হলাম যাওয়ার জন্য।মোটামুটি সন্ধ্যার পর পর আমরা কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে গেলাম।স্বাগতা আমাদের আগে থেকে জায়গাটি সম্বন্ধে কিছু বলতে চায়নি।জায়গাটি তার বেশ পসন্দের।
জায়গাটি একটা জাদুঘর আসলে।তবে এটি একটু ব্যতিক্রমী জাদুঘর।পুরো জায়গাটির পরিবেশ অসাধারণ একটি পার্কের মতো।তার মধ্যে একটি সত্যিকারের যুদ্ধ বিমান রাখা আছে।এই যুদ্ধ বিমানটি কার্গিল যুদ্ধে ও ব্যবহার করা হয়েছে।এই বিমানের মধ্যে পুরো ব্যবস্থা রাখা আছে।সেটা দেখলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়।
একজন বেসামরিক এর কি প্রয়োজন এই যুদ্ধ বিমান সম্পর্কে ধারণা নিয়ে?শুধু লাভ হিসাব করে কি জীবন চলে?জীবনে আনন্দের জন্য ও কিছু জানা যায় শেখা যায়।তবে খুব অদ্ভুত ভাবে এই জ্ঞান গুলো জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক এর ভূমিকা নেই।তাই জীবনে কিছু মুল্যহীন বা গুরুত্বহীন নয়।
আমরা টিকেট কেটে পার্কে ঢুকে গেলাম।ঢুকেই জানতে পারলাম যে ইলেক্ট্রিসিটি নেই।মনটা খারাপ হয়ে গেল কারণ আলো নেই মানে প্লেন এর মধ্যে কিছুই দেখতে পারবো না।মনটাই খারাপ হয়ে গেল।রাস্তার আলো তে পার্কটি মোটামুটি আলোকিত ছিলো।তাই বাইরে আমরা ঘুরতে লাগলাম।টিনটিন বাবু খুব আনন্দ করতে লাগলো।
একসময় বিমানের gate এর সিকিউরিটি আমাদের ডেকে বললো মোবাইলে আলো জ্বালিয়ে ঢুকে যান আর দেখুন।ওনার এই ব্যবহার সত্যি আমাদের অভিভূত করলো।আমরা ভিতরে ঢুকে একটা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।সত্যি বলতে খুব ভালো লাগলো।
এরপর বাইরে বেড়িয়ে টিনটিন কে খেলার সুযোগ করে দিলাম।এরই মধ্যে হঠাৎ ইলেকট্রিসিটি এসে গেলো ফলে আমরা আবার ভিতরে ঢুকলাম।
সত্যি খুব দারুণ কাটলো মুহূর্ত গুলো।আমরা বেশ উপভোগ করেছিলাম সময়টাকে।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
দিদি ভাইয়ের পোস্ট থেকে কয়েকটা ছবি আগে দেখেছি, আজকে আবার নতুন কিছু ছবি দেখলাম। অনেক ভালো লাগলো দাদা। রাতের বেলায় বেশ সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা আছে। যেটা সবারই মন কেড়ে নেবে। সহজে হয়তো আর কখনো যাওয়া হবে না ঘুরতে এসব জায়গায় তবে কখনো সুযোগ পেলে তো একবার অবশ্যই ঘুরে আসব।
আমি দাদার পোস্ট থেকেই প্রথম জানলাম জায়গাটির বিষয়ে। আর তুমিতো আগেও জানতে না।
এয়ারক্রাফট জাদুঘর কি আমাদের ডাকছে দাদা !🌝
মনটা করে উরু উরু , বুকটা করে দুরু 🤪
সব মায়ের ইচ্ছে ভাই 🙏
এয়ারক্র্যাফট জাদুঘরটি অনেক সুন্দর একটা জায়গা দাদা।তোমাদের মাধ্যমে আমি নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম ও অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেলাম।খুবই ভালো লাগলো,টিনটিন বেশ খুশি হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ধন্যবাদ দাদা।
এর আগে বৌদি বেশ কিছু ছবি দিয়েছিলো।আসলেই ইট পাথরের শহরে কিছু ভালো লাগা যায় হয়।জায়গাটা বেশ সুন্দর ছবি দেখে মনে হচ্ছে, টিনটিন মনে হচ্ছে বেশ মজা পেয়েছে, তাও ভালো কারেন্ট চলে এসেছিলো।ধন্যবাদ
এয়ারক্র্যাফট জাদুঘর এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। চমৎকার একটি জায়গা যা ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারলাম। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
সারা পৃথিবীতেই ইলেকট্রিসিটির সমস্যা যেন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এয়ারক্রাফ্ট জাদুঘরের একটা বিশেষ দিক ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে এখানে সব সত্যিকারের যুদ্ধবিমান রাখা হয়েছে।। আপনি দারুন সময় কাটিয়েছেন দাদা আর আপনার কাটানো সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এই এয়ারক্র্যাফট জাদুঘর এত সুন্দর দেখতে। বিশেষ করে রাতের কারণে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। তাছাড়া সব জায়গায় ঘুরেছেন এটা একটা নতুন জায়গা জেনে ভালো লাগলো। টিনটিন বাবুকে বেশ ভালই লাগতেছিল। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল। কোন জায়গাটা ও বেশ মনোমুগ্ধকর।
পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে সুন্দর এই জাদুঘরে ভ্রমণ সত্যিই আমার খুবই ভালো লেগেছে। সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে। টিনটিন বাবুকে দেখতে অনেক ভালো লাগছে। যুদ্ধবিমানগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে, এই জাদুঘরটি সত্যিই অসাধারণ।
দাদা, নিউটাউনের এই ব্যতিক্রমধর্মী জাদুঘর সম্পর্কে তোমার কাছ থেকেই আমি প্রথম জানলাম। তোমার ব্লগটি পড়ার পর আমারও এই জাদুঘরে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে। বিমানের মধ্যে অবস্থিত এই জাদুকর সম্পর্কে আমারও অনেক কিছু জানার ইচ্ছা হলো। ইলেকট্রিসিটি না থাকার কারণে বিমানের গেটের সিকিউরিটির পরামর্শে মোবাইলের আলো দিয়ে তোমরা এয়ারক্র্যাফট জাদুঘর এর ভিতরে ঘুরে ঘুরে দেখেছিলে বিষয়টি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল।
দাদা হঠাৎ করে স্বাগতা দিদি হঠাৎ করে আপনাকে বেশ বড় একটা সারপ্রাইজ দিল। এত সুন্দর এরোপ্লেনের জাদুঘরে নিয়ে গেছে আপনাকে, জায়গাটা বেশ সুদর্শনীয় ছিল। তবে সবার চেয়ে আনন্দ বেশি ছিল টিনটিন বাবুর। ফটোগ্রাফিগুলো ছিল অসাধারণ, সিকিউরিটির ব্যবহার শুনে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেলেন। আসলে প্রত্যেকটা মানুষ আমরা চাই একে অপর থেকে ভালো ব্যবহার। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
সত্যি কথা বলতে দাদা,কলকাতার এতো কাছে থেকেও এই জায়গাটির সম্পর্কে আমি পোস্ট থেকেই প্রথম জানছি।এরকম সামরিক জায়গা আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে।এবার আমি এখানে একদিন যাবো নিশ্চই।