সন্তুষ্টি।
সন্তুষ্টি , শব্দটা দিন দিন লোপ পেয়ে যাচ্ছে। কেননা মানুষ যত পায় তত বেশি চায়। ধরুন আপনি আজকে দোয়া করছেন আপনার বেতন যদি ৩০ হাজার টাকা হতো মাসে এবং কোনোদিন যদি আপনার এই আশা বাস্তবায়ন হয়ে যায় তখন কিন্তু আপনি কোনোদিনও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন না। আসলে এটা মানুষের একটা স্বভাব। মানুষ যত পায় ততই চায়। যদিও এটা খারাপ না , তবে আবার খারাপও। বড় হওয়ার ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তুলে। মানুষ সব সময় তার উপরের অবস্থান গুলো থেকে নিজেকে তুলনা করে। তাই কোনোদিনও তার বড় হওয়ার ইচ্ছা শেষ হবে না। এবং বেপারটা স্বাভাবিক , কেননা পৃথিবীতে কেউই বড় না। আমার থেকে আপনি বেশি সম্মানিত আবার আপনার থেকে অন্য কেউ বেশি সম্মানিত।
এভাবে তাকালে আমরা কোনোদিনও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবো না। তবে বড় হওয়ার ইচ্ছাটাকে কোনো ভাবেই ছোট করে বলার ইচ্ছা আমার নেই তবে সন্তুষ্টি একমাত্র জিনিস যেটা আপনাকে প্রকৃত শান্তি দিতে পারবে। আপনি নিজেকে সুখী মানুষ হিসেবে উপলব্ধি করতে পারবেন। নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারবেন যে আপনি একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই আমার মতে সন্তুষ্টি ব্যাপারটা আমাদের সবার মধ্যে থাকা উচিত। যাতে করে আমরা সকলেই খুশি থাকতে পারব। এবং সেই সন্তুষ্টি মনের মধ্যে আনার একমাত্র উপায় হলো আপনার থেকে করুন অবস্থায় যারা আছে তাদের দিকে তাকানো।
এতে করে আপনার মনের মধ্যে একটা শুকরিয়া কাজ করবে যে আপনার অবস্থান সেই কারুনদের থেকে হাজার গুন্ ভালো। এতে করে মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করবে , আপনি ভালো অনুভব করা শুরু করবেন। আল্লাহ তায়ালা সেইসব মানুষদের পছন্দ করেন যারা কিনা তাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। হোক সেটা খারাপ হোক সেটা ভালো। কেননা কেউ না কেউ আপনার থেকেও বাজে অবস্থায় আছে , তার থেকে আল্লাহ আপনাকে অনেক ভালো রেখেছেন তাহলে কি সেটা আসলেই সন্তুষ্টি না ? তবে হ্যা আপনি আপনার উন্নতির জন্য চেষ্টা করে যাবেন এবং চেষ্টার ফল আল্লাহই আপনাকে দিবেন।
তবে তার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে আমরা শুকরিয়াও আদায় করবো। সত্যি বলতে আল্লাহর সব থেকে বড় নিয়ামত হচ্ছে সুস্বাস্থ , যদি আপনার শারীরিক অবস্থাই ঠিক না থাকে তাহলে অর্থ সম্পদ আপনার কাছে কোনোই মানে রাখবে না। তাই আমরা যারা সুস্থ আছি তারা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবো এবং যারা অসুস্থ আছি তারা আল্লাহর কাছে তার রহমতের জন্য প্রার্থনা করবো। উনিই আমাদের সব কিছুর মালিক। উনি আমাদের বিপদ দেন আবার উনিই আমাদের উদ্ধার করেন। যাই হোক , আজকে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

আসলে সন্তুষ্টি জিনিসটাই এমন যেটা অর্জন করতে পারলে আমরা অন্তরে প্রশান্তি অর্জন করতে পারব। তবে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে অবশ্যই নিজের থেকে বড় কাউকে না দেখে নিজের থেকে ছোট কাউকে দেখতে হবে যেন আমরা বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কিন্তু মাঝে মাঝে নিজের থেকে বড় কাউকে দেখা উচিত তবে সেটা ভিন্ন নজরে অর্থাৎ তার সফলতা দেখে মনে কষ্ট নেওয়ার জন্য নয়। তার থেকে বেটার কিছু করার জন্য। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সন্তুষ্টি জিনিসটা আসলে আমরা মানুষরাই এখন বিলুপ্ত করে দিচ্ছি। কোথায় আছে না অল্প চাওয়াতেই মেলে তুষ্টি আর উচ্চাকাঙ্ক্ষিতায় হয়ে বিরহের সৃষ্টি। সে যাই হোক চাওয়া থাকতে হবে আমাদের সেটা লিমিটের মধ্যে কিন্তু অতিরিক্ত হয়ে গেলে কেউ কোনদিন সন্তুষ্ট বা সুখী হতে পারবে না। আপনি যথার্থ বলেছেন যে আসলেই আমাদের উচিত আমাদের থেকে যারা খারাপ অবস্থানে আছে তাদের দিকে তাকানো তাহলেই আমরা একটু হলেও সন্তুষ্টতা অর্জন করতে পারব।আপনার জন্যে শুভ কামনা রইলো।
আসলেই আপু মানুষ কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট থাকেনা। সে যত পায় তার থেকে আরো বেশি চাইতে থাকে। আমাদের সব সময় আমাদের তুলনায় নিচু অবস্থায় থাকা মানুষজনের দিকে তাকানো উচিত। তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আমরা কতটা ভালো আছি। আমরা যত আমাদের তুলনায় উপরের শ্রেণীর মানুষের দিকে তাকাবো ততই আমাদের স্পেক্টেশন বেড়ে যাবে। আর সব সময় নিজের সবকিছুতে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে যা আছে সেটা নিয়ে খুশি থাকা এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা। কিন্তু আমাদের মধ্যে এই প্রবণতা ক্রমেই কমে আসছে। আমরা একটা প্রতিযোগিতায় নেমেছি সম্পদ বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। কিন্তু কখনোই ভেবে দেখি না আমাদের ঠিক কতটুকু প্রয়োজন। এইজন্যই আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। খুবই চমৎকার লিখেছেন আপু।
আমি মনে করি সুখের অপর নাম হচ্ছে সন্তুষ্টি। যে বা যারা যতটুকু ইনকাম করে সেটা নিয়ে যদি সন্তুষ্ট হয়,তাহলেই সে সুখী মানুষ। তবে এটা ঠিক যে,আমরা সবাই উন্নতির চেষ্টা করে থাকি এবং এটা মোটেই খারাপ নয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থান নিয়েও সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আর সন্তুষ্ট হলে কিংবা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করলে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর অনেক খুশি হয়ে থাকেন। ছোটবেলায় আমাকে একজন মুরুব্বি একটা কথা বলেছিলেন, সেই কথাটি আমার স্পষ্ট মনে আছে। উনি বলেছিলেন, সবসময় আমার চেয়ে যারা নিচের অবস্থানে থাকবে, তাদের দিকে তাকাতে। তাহলে মনের মধ্যে অটোমেটিক সন্তুষ্টি চলে আসবে। আর আমি সেটা সবসময়ই মেনে চলি। আমাকে এখনো অনেকে বলে,কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য মানুষ পাগল,আর আমি কোরিয়াতে পরিবার নিয়ে সেটেল্ড না হয়ে কেনো চলে আসলাম। কোরিয়াতে এখন সবাই মাসে ২/৩ লাখ টাকা ইনকাম করে, কিন্তু আমি চলে আসলাম কেনো সেটাই বারবার জিজ্ঞেস করে। এটা কেউ দেখে না,সেখানে কতো পরিশ্রম করতে হয়। আসলে ১০ বছর সেখানে পরিশ্রম করার পর আমার আর ইচ্ছে হয়নি থাকার। মোটকথা আমার যতটুকু আছে, সেটা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট বলেই চলে এসেছি। আর মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চাহিদা থাকবেই।
আপু, আপনার এই কথাটা একেবারেই সঠিক, মানুষ সব সময় তার উপরের অবস্থান গুলো থেকে নিজেকে তুলনা করে। আর এই কারণেই তাদের কখনো সন্তুষ্টি অর্জন হয় না। তবে তারা যদি তাদের নিচের অবস্থান গুলো একবার দেখে, তাহলে কিন্তু এই মানসিক অশান্তি আর থাকে না। তবে আমিও মনে করি শারীরিক সুস্থতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শারীরিক সুস্থতা না থাকলে টাকা পয়সা যতই থাকুক তার কোন মূল্য থাকে না।