জেনারেল রাইটিং- গ্রামে শীতের আগমন।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার।
প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। তো বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আজকে আবার উপস্থিত হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করার জন্য। লেখার শুরুতে আপনাদের সবাইকে আমার আজকের ব্লগিংয়ে স্বাগতম। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ব্লগিং অনেক ভালো লাগবে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি টপিক্স আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তো বন্ধুরা এখন অক্টোবর মাস বলতে গেলে এখন শীত খুব কাছাকাছি চলে এসেছে আমাদের। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকাল এবং বর্ষাকাল আমার অনেক প্রিয় ঋতু। তো আমি গত বৃহস্পতিবার গ্রামে এসেছি। আসলেই বিশেষ একটা কারণে গ্রামে এসেছি।
যেহেতু বাচ্চার ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা ছিল পরীক্ষা শেষ হলো। তো প্রয়োজনীয় একটা কাজ ছিল সেটাও করে নেব সেই সাথে একটু মায়ের কাছে থেকে যাবো কয়েকদিন। সেই চিন্তা করে আমি গ্রামে এসেছি। কিন্তু যখন শহর থেকে এসেছিলাম তখন অনেক বেশি গরম ছিল কক্সবাজার শহরে। গ্রামে এসে বুঝতে পারছি যে আসলেই শীত খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। গ্রামে না আসলে বুঝা যায় না আসলে শীত কেমন। শীতের প্রকৃত আনন্দ অনুভব করতে হলে গ্রামে আসতে হয়। কারণ শহরের মধ্যে শীত তেমন একটা জমে উঠে না বলতে গেলে। যখন প্রচুর পরিমাণ শীত হয় তখন কিন্তু শহরের মধ্যে একটু ঠান্ডা অনুভব করি।
কিন্তু এখন থেকেই গ্রামে দেখতেছি শেষ রাত হতেই অনেক কুয়াশা পড়ে সব গাছপালা ভিজে যাচ্ছে। আমি গ্রামে এসেছি যখন এখানে অনেক সকাল সকাল সবাই ঘুম থেকে উঠে যায়। তাছাড়া সবাই সকালে ওঠে তাই সবাই আগে ভাগে একটু ঘুমিয়ে পড়ে। তো সবাই যখন উঠে যায় আর সকালে ঘুম হয় না। গতকাল সকালে দেখলাম মা যখন সকালে একদম পাঁচটা ছয়টার দিকে উঠে গেল নামাজ পড়ার জন্য। তখন আমিও উঠলাম। তখন তো দেখি টিনের চালের মধ্যে টিপ টিপ করে কুয়াশার পানি পড়তেছে। মনে করেছিলাম বৃষ্টি হচ্ছে। আসলে এগুলো বৃষ্টি হচ্ছে না। বেশ কুয়াশার পানি পড়তেছে।
তো বাইরে দরজা খুলে দেখলাম অনেক বেশি কুয়াশা বাইরে। মানে বাইরের দিকে তাকালাম যখন তখন বুঝতে পেরেছি আসলে কুয়াশা ঢেকে গেছে বাইরে। তখন বেশ ভালো লাগলো। বুঝতে পারলাম যে শীত খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে শহরেও এমন অবস্থা শেষ রাত হলে অনেক বেশি শীত অনুভব করি। এত সুন্দর সকালে আমি ২/১ টা ফটোগ্রাফিও নিয়েছিলাম কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে। তো ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে শীতকাল নিয়ে কিছু লিখব। তাই আমি আজকে উপস্থিত হয়ে গেলাম সেই শীতের অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু লেখার জন্য।
আর কয়েক দিন পরে ঘরে ঘরে পিঠার উৎসব লেগে যাবে। শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। যেকোনো ধরনের পিঠা শীতকালে গরম গরম খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। তবে আজকে সকালেও বেশ মজার করে কিছু পিঠা খেলাম। যেহেতু তেমন গরম না একটু ঠান্ডা তাই গরম পিঠা খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। আপনাদেরকে শেয়ার করলাম যে জন্য। আসলে গ্রামের মধ্যে এখন একটু ঠান্ডা মনে হচ্ছে আগের তুলনায়। রাতে প্রচুর পরিমাণ শীত অনুভব করতেছি। অনেক ভালো কাটতেছে সময়। প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের গ্রামের মধ্যে কি অবস্থা। আপনাদের গ্রামের মধ্যে কি শীত অনুভব করতেছেন? আশা করি জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
আপনাদের নিশ্চয়ই আমার আজকের ব্লগ ভালো লাগবে। আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কেমন লেগেছে মতামত দিয়ে জানালে অনেক বেশি খুশি হব। তাহলে বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং এখানে শেষ করলাম। সবাই সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/573arr
শীতের আসল আমেন আসলে গ্রামেই পাওয়া যায়। শহরে তেমন পাওয়া যায় না। আমিও আজকে গাজিপুরের দিকে এসে টের পেলাম, বেশ ভালো কুয়াশা কুয়াশা টাইপ পড়ে সকালের দিকে। আর কদিন পরেই পুরোপুরি শীতের আমেজ পাওয়া যাবে।
ঠিক বলেছেন গ্রামের মধ্যে শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের দিকে এখনো শীতের আবির্ভাব হয়নি কিন্তু গ্রামে শীত পরা শুরু হয়েছে। শীতকালে গ্রামে গেলে ভীষণ আনন্দ লাগে, বিশেষ করে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায়। যাক গ্রাম থেকে ভালো ভাবে ঘুরে আসুন এই কামনা করছি।
শীতের আসল মজা হচ্ছে গ্রামে গেলে পাওয়া যায়।
এই কথা অবশ্য সত্য,এখন যেহেতু নিয়ের পড়া শুরু হয়েছে তাই সকাল ভোরে বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া শুরু হয়ে গেছে। তাই সক্কাল ভোরের দিকে তেমন আর ফ্যান চালানো যায় না। যাইহোক সেই সুন্দর অনুভূতি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখি অনেক ভালো লেগেছে আমার।
একদম ঠিক বলছেন শীতের এমন অনুভবটা গ্রামে যেয়ে বুঝতে পেরেছি।
সত্যি বলতে আপু আপনার কথাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে এখনই ছুটে বাড়িতে চলে যায়। আমার মা গতকাল বলছিল আমাদের গ্রামেও নাকী এইরকম শীতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। আর শীত মানেই পিঠা পায়েস খেজুরের রস হা হা। আপনার পোস্ট টা বেশ ভালো ছিল। আমার অনূভুতি গুলো জাগ্রত হয়ে গেল আপু।।
ভাইয়া শীতের মজাই আলাদা। সে সাথে শীতের পিঠা গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমাদের গ্রামের দিকে আপু সেইম অবস্থা! সকাল সকাল অনেক কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়। আগে রাতে ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতাম। এখন মাঝরাতে ফ্যান ছাড়া থাকলে শীত করে ভীষণ! শীতের সকালে কুয়াশাটাই জানান দেয় শীতকাল এসে গেছে। হরেক রকমের পিঠাও পাওয়া যাবে 🥰
তাহলে তো বেশ ভালই অবস্থায় আছেন আপনি।
শীতকাল আমার পছন্দের ঋতু। কিছুদিন আগে আমি যখন গ্রামে গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম সকালে কুয়াশা পড়ছিল। যদিও শহরে তেমন কিছুই বুঝতে পারছি না এখনও। পুরোপুরি শীত পড়তে খুব বেশি দেরি নেই। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যখন একদম ভোরে উঠেছি আপু তখন কুয়াশায় ঢেকে গেছিল।
Twitter