গিয়েছিলাম ভরতখালি কালিবাড়ি❤️

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago (edited)

হ্যালো

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20250420_192813.jpg

IMG_20250420_192837.jpg

আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ভরত খালি কালিবাড়বতর যাওয়া গল্প । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত বোনার পাড়ার ভরতখালী অবস্থিত। ভরত খালির সাথে ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। ছোটবেলায় যখন বুঝতাম না তখন থেকে এই ভারতখালী মেলায় যাওয়া হয় আমার দিদুর হাত ধরে। বিদ্যুত সত্যি বছর ভারত খালীতে যেতেন। ভারত খেয়ালী কালীবাড়ি অনেক জাগ্রত একটি কালীমন্দির।ছোট বেলায় দেখতাম দিদু মাঝে মাঝেই পাঠা মানক করতো কালিবাড়িতে।সারাবছর প্রতি
শনি, মঙ্গলবার কালীপূজা ও বলি হয়ে থাকে।এই কালি মন্দির তৈরি হওয়ার পিছনে একটি সুন্দর গল্প আছে তা অন্য কোনদিন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।

আমার মেয়ের বয়স যখন এক বছর কি দের বছর তখন পাঠা নিয়ে গিয়েছিলাম এবং মেয়ের চুল ফেলিয়েছিলাম ভরতখালিতে গিয়ে। আবারও মেয়ের জন্য মানত করে এসেছি জোরা পাঠা নিয়ে যাবো মেয়ের বয়স একযুগ হলে।

এবার কালিবাড়িতে যাওয়া আমার বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে।আমার মা মানত করেছিলেন পাঠা দেবেন কালিবাড়িতে গিয়ে।প্রতি সপ্তাহে শনি,মঙ্গলবার পুজা হলেও বৈশাখ মাসের শনি,মঙ্গলবার ঠাসা মেলা হয়ে থাকে।আমার সব সময় মেলায় যেতে মন চায়। মা অন্য সময়ে কালিবাড়িতে যেতে চাইলেও আমি বলেছি বৈশাখ মাসে যেতে আর সেজন্য বৈশাখে যাওয়া।

এবারের প্রথম মঙ্গলবার পড়েছে পহেলা বৈশাখের দিন।আমরা পাঠা নিয়ে তাই পহেলা বৈশাখের দিন টিকেই বেছে নিয়েছি।সকালে উঠে বাড়ির পুজা সেরে রেডি হয়ে সবাই মিলে চলে গেলাম কালি বাড়ির উদ্দেশ্যে।

প্রচুর ঠাসা মেলা হয় এই বৈশাখ মাসে।আজকেও মেলা বসেছে লোকজন হয়েছে তবে ঠাসা তিল ধরার ঠাই নেই এরকম নয়।এরকম ঠাসা মেলা আজ না হওয়ার পিছনে একটাই কারণ আর তা হলো পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখের দিন অনেই বাড়িতে পুজা দেয় এবং অনেকের দোকানে পূজা থাকে সেজন্য একটু কম মানুষ।

আমরা মেলায় গিয়ে প্রথমে হাতমুখ পা ধুয়ে মন্দ দিরে গিয়ে প্রথাম করলাম এবং তারপর মেলা ঘুরতে গেলাম।মেলার সাচ বাতাসার ফটোগ্রাফি করলাম।কেন জানি তেমন কিছু কেনার ইচ্ছে হলো না শুধু টিপ কবনলাম কয়েক পাতা ও তালপাখা কিনলাম দুটো।

IMG_20250420_192728.jpg

আমার মেয়েও কিছু কিনতে চাইলো না মেয়ের এমন পরিবর্তন দেখে বুঝতে পেলাম মেয়ে রড়ো হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় যখন মেয়েকে নিচগিয়েছিলাম তখন মেলায় দোকানে গিয়ে গাছ কৌটা দেখে হাতে নিয়ে বলেছিলো মা এটা নাও আমার বিয়েতে লাগবে। গাছ কৌটা টি নিয়ে সযত্নে রেখেছি আলমারিতে সৃষ্টিকর্তা চাইলে এই গাছকৌটা দিয়েই বিয়ে হবে।

IMG_20250420_192654.jpg

মেলা ঘুরে ঘুরে দেখতে ভালোই লাগছিলো। আমার মনের সুখে জিওগ্রাফিও ফটোগ্রাফি করলাম। পুজো শেষে বলির সময় চলে আসলো তাই আমরা মন্দিরের সামনে চলে আসলাম। পাঠা বলি সম্পূর্ণ হল তাই আমরা বাড়ি থেকে কোরে নিয়ে যাওয়া লুচি ও আলুর দম খেলাম। আমরা মঙ্গলচন্ডীর উপোস ও ছিলাম সকালেই মঙ্গলচন্ডীর পূজো এবং পাঁচালী পড়েই গেছি তাই পাঠাবলির পর ওখানে খেতে পেরেছি ।

এই ছিলো আমার ভরতখালি কালি বাড়িতে কাটানোর গল্প আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।

সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250418_200933.png

IMG_20250416_210039.png

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.25
JST 0.032
BTC 93786.23
ETH 1803.71
USDT 1.00
SBD 0.86