বন্ধুদের সাথে ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আসলে বেশ কয়েকদিন আগেই ওয়াজ মাহফিলটা হয়েছিল। বন্ধুদের সাথে সেখানে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে দেখি আমার মোবাইলে চার্জ নেই, তার জন্য আমি আমার বন্ধুদেরকে বললাম তোরা যেতে থাক আমি মোবাইলটা চার্জে দিয়ে আসি। যার কারণে আমি সেই সময় বাড়ি এসে আমার একটা মোবাইল চার্জে দিয়ে আরেকটা মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলাম। কারন সেই সময় আমার কাছে দুইটা মোবাইল ছিল। যাই হোক মোবাইলটা চার্জে দিয়ে সোজা রওনা হয়ে পড়লাম মাহফিলের উদ্দেশ্যে। মাহফিলে গিয়ে বন্ধুদেরকে কল,মেসেজ দেওয়াতেই জানলাম যে ওরা মাহফিলের জন্য যেখানে বিভিন্ন স্টল বসেছে সেখানেই আছে। আমি ওদের কথা মতো সোজা সেখানে চলে গেলাম এবং ওদেরকে খুঁজতে থাকলাম।
সেখানে গিয়ে একটু খোঁজার পর এক পর্যায়ে ওদেরকে খুঁজে পেয়ে গেলাম। তো ওদেরকে খুঁজে পাওয়ার পর দেখি ওরা ফুচকার অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা ফুচকা হাতে পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ফুচকা গুলো শেষ করে এরপর সবাই মিলে অন্য কিছু খাওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম। মাহফিলে খাওয়ার মত বেশ কয়েকটা আইটেম ছিল। কিন্তু সব সময় তো আর সব আইটেম খেতে ভালো লাগে না তাই আমরা এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম পেঁয়াজ বড়া খাব। তাই সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আমাদের এলাকার এক চাচার কাছ থেকে বড়া অর্ডার দিলাম।
আপনারা এখানে এত এত ছবি দেখে ভাবতে পারেন যে ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চের কোনো ছবি নেই কেনো? আসলে ছবি না থাকার কারণ হচ্ছে সেই ছবিগুলো আমি অন্য একটা ফোনে তুলেছিলাম। আর যে ফোনটা দিয়ে ছবি তুলেছিলাম সেই ফোনটাও এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই আর ছবিগুলো নেই। তাই যেগুলো আছে এগুলোই শেয়ার করলাম।
বড়াটা খেতে ভালই ছিল কিন্তু অতিরিক্ত অর্ডার দেওয়ার কারণে আমরা চারজন সেগুলো খেয়ে শেষ করতে পারছিলাম না। তাই আমরা আশেপাশেই চেনাজানা কাউকে দেখলেই বড়া খাওয়ার জন্য বলছিলাম। কিন্তু কেউই খেতে চাচ্ছিল না। তবে সেই সময় আমাদের আরো কিছু বন্ধু আসছিল তাদেরকে আমরা বললাম তাড়াতাড়ি চলে আসতে। কিছুক্ষণ এর মধ্যে তাঁরা চলে আসলো এবং শেষ পর্যন্ত তারা এসে বড়া গুলো শেষ করল। আসলে যার রিজিকে থাকবে সেই খাবে। তো যাই হোক এরপর বড়া শেষ করে আরো কিছু খাবার প্লান করেছিলাম কিন্তু সেই সময় বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্ব তার মধ্যে ভুগছিলাম কি খাব কি খাব। আর জানিনা কেন সেই সময় পেট ভর্তি হয়ে ছিল। তো যতটুকু মনে আছে শেষ দিকে আমরা লেবুর শরবত এবং জিলাপি খাওয়ার মাধ্যমে খাওয়া-দাওয়ার পর্বটা শেষ করি।
যাই হোক এরপর আমরা ওয়াজ মাহফিলের এরিয়ায় একটা সুন্দর জায়গা দেখে সবাই সেখানে গিয়ে যে যার মত ফটো তুলছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফটো তোলার পর আমরা বাইরের দিকে আসলাম। বাইরের দিকে আসার সময় আমি সবাইকে বললাম আমার মোবাইল চার্জ হয়ে গেছে হয়তো তোরা থাক আমি মোবাইলটা নিয়ে আসি। তারপর আমি বাড়িতে এসে মোবাইলটা নিয়ে তারপর আবারো সবাই একসাথে যুক্ত হলাম। এরপর বন্ধুরা মিলে আরো অনেক কিছুই করেছিলাম। তারপর আমরা ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চে গিয়ে একটু দাঁড়ালাম। এবং এরপর হয়তো আবারো কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আসলে সেই দিন ওয়াজ শোনার থেকে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম বেশি। তো এভাবেই করতে করতে ওয়াজ শেষ হওয়ার টাইম চলে আসলো,তখন সবাই যে যার মত দোয়া করলো এবং আমি আমার মত দোয়া করে ওয়াজ মাহফিল টা শেষ করে যে যার মতো বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
** প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। সেই দিন বেশ মজা করেছিলাম যেটা হয়তো লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। তারপরও যতটুক সম্ভব আপনাদের মাঝে চেষ্টা করেছি উপস্থাপন করার। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।**
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াজ মাহফিলের ঘোরাঘুরি করে সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো। তোমার পোষ্টের লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। ওয়াজ মাহফিলের দিনে এরকম বড় ভাজা খেতে বেশ ভালই লাগে। পাশাপাশি অন্যান্য খাবারেরও দোকান বসে। যা হোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে ওয়াজ মাহফিলে ঘুরতে গেছেন এবং সেখান থেকে আপনি অনেকগুলো ফটো ধারণ করেছেন। বিস্তারিত আলোচনা করেছেন খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত নিয়ে। যেখানে ফুচকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের রেসিপি দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগলো অসাধারণ এই ওয়াজ মাহফিলের অনুভূতি দেখে।
জি,বেশ কয়েক ধরনের খাবার খাওয়া হয়েছিল।
বন্ধুদের সাথে দেখছি ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি। আর ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়াও ভালোভাবে করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের ফুচকা খাওয়ার মুহূর্তটা দেখে আমার তো এখনো খুবই ফুচকা খেতে ইচ্ছে করতেছে। আসলে খাবারের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে আর খেতে ইচ্ছে করে না। আপনার আরো বন্ধুরা আসার কারণে তাদেরকে এগুলো দিয়ে ভালোই করেছেন। ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। আপনাদের পুরো সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি।
আপনি ঠিক বলেছেন হয়তোবা কোনো কিছু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম যার কারণে পরে আর কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না।
আপনি এই পোস্টে ব্যাক্যের শুরুতে বা মাঝে তো ব্যবহার করেছেন ২৬ বার। একটু বেশি হয়ে গেলো মনে হয়।
ধন্যবাদ ভাই কমেন্ট এর মাধ্যমে বিষয়টা আমাকে জানানোর জন্য। পোস্টটি এডিট করে যতটুকু সম্ভব ঠিক করে নিয়েছি।
👍🙏 ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। খুব মজার কিছু খাবার খেয়েছেন দেখছি। মচমচে পেঁয়াজু খেতে ভালোই লাগে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগলো। সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি মচমচে পিঁয়াজু ভাজা খেতে বেশ ভালোই লাগে।
বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে। আর আপনারা সবাই তো দেখছি ওয়াজ মাহফিলের ওখানে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে অনেক দোকান বসে ছিল মনে হয়। আপনারা খাবারও খেয়েছেন দেখছি সবাই একসাথে। খাবার দেখে তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। বড়া দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল। এরকম বর্ডার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আর ফুচকা দেখে ও লোভ সামলাতে পারতেছিনা। খাওয়া-দাওয়া নিশ্চয়ই জমজমাট হয়েছে আপনাদের।
জি বেশ কয়েক ধরনের খাবারের আইটেমের দোকান ছিল। আর যেগুলো খেয়েছিলাম শরবত বাদে সবগুলোই মোটামুটি ভালই লেগেছিল। তবে ফুচকাটা খেতে একটু বেশি ভালো লেগেছিল।