ভোটের দিন কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

1000002964.jpg

আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো গত পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ভোটের দিন সকালে আমার তোলা বেশ কিছু কবুতরের ফটোগ্রাফি এবং বিকেলে কবুতরের কারিশমার একটি শর্ট ভিডিও। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে মূলত শেয়ার করব ভোটের দিনটা আমার কিভাবে কেটেছিল সেই বিষয় নিয়ে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে এবারে মূল বিষয়ে আসা যাক।

তো সেদিন জিহাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা দুজনে মিলে চলে গেলাম ভোট সেন্টারে দিকে। তো সেখানে গিয়ে দেখি অনেকেই নিজের নিজের আইডি কার্ড নিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য চলে এসেছে। তো যাই হোক তারপর আমরা আমাদের বাকি কয়েকটা বন্ধুকে খুঁজতে থাকলাম । তো আশেপাশে একটু খুঁজে দেখলাম অনেকেই আছে। তো এখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে চলে গেলাম আমরা অন্য একটি সেন্টারে। তো সেখানে দেখি বাড়ির আশেপাশের আরো বেশ কয়েকটা ছেলেপেলে আছে। তারপর তাদের সাথে বসে বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম। আসলে এভাবে আড্ডা দিতে বেশ ভালোই লাগছিল কারণ অনেকদিন পর একটা ছুটি পেয়েছিলাম।

1000002960.jpg

1000001400.jpg

তো তারপর আমি সবাইকে লাইন ধরে বসিয়ে কয়েকটা ছবিও তুলে নিয়েছিলাম। তো সেই ছবিগুলো উপরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম। তো এভাবে আড্ডা দিতে দিতে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে করতেই দুপুর হয়ে গেল। যেহেতু দুপুর হয়ে গেল তাই আর ওখানে না থেকে আমার বন্ধু পলকের সাথে গল্প করতে করতে বাড়ি চলে আসলাম। তবে জিহাদ ওখানেই রয়ে গিয়েছিল। তো দুপুর বেলায় বাড়িতে এসে নিজের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিলাম। তো এভাবে বাড়িতে কিছুক্ষণ শুয়ে বসে কাটাতে কাটাতে দেখি তিনটা বেজে গেছে। তো তখন আর কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না তাই এক জায়গায় যাওয়ার জন্য গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। তবে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। আর আমিও জানতাম যে ভোটে দিন দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়ি পাওয়া যাবে না।

1000002962.jpg

তো তারপর দেখি হঠাৎ করে জিহাদ আমার সামনে দিয়ে একটা ভ্যানে করে বাজারের দিকে যাচ্ছে। তারপর আমিও জিয়াদের পিছু পিছু বাজারের দিকে ছুটলাম। তো তারপর আবারো দুজন মিলে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করতে থাকলাম। তারপর জিহাদ বলল চল কিছু একটা খাওয়া যাক আমিও বললাম চল তাহলে। তো সেই দিন একে একে অনেক কিছুই খেয়েছিলাম তবে আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছিল লবণ দিয়ে পেয়ারা এবং সামোসা। তবে প্রথমে বেশ কিছু পেয়ারা খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেলেছিলাম বলে সামোসা শুধুমাত্র একটাই খেয়েছিলাম

1000002964.jpg

তো যাই হোক দেখতে দেখতে ভোটের রেজাল্ট দেওয়ার সময় চলে আসলো। তো আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করলাম। তবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর দেখি রেজাল্ট দিতে দেরি করছে আর চারিপাশের পরিবেশটা খুব একটা ভালো লাগলো না। তাই আমি আর জিহাদ ভাবলাম এখানে না থেকে বাড়ির দিকে যাওয়াই ভালো। তাই আর সেখানে না দাড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো এটাই ছিল মূলত আমার ভোটের দিনে কাটানো মুহূর্তের সামারি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালোই লাগবে। তো যাই হোক আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আমি তো ভেবেছিলাম ভোট দেবো না, একদম দুপুরে ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর সব বন্ধুরা যখন ফোন করল তারা ভোট দিয়েছে, আমি ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বের হলাম। আগে বিরিয়ানি খেয়েছি তারপর গিয়ে ভোট দিয়েছি হাহাহা।

 last year 

আমিও চাইলে অবশ্য বিরিয়ানি খেতে পারতাম তবে দেখলাম এগুলো অ্যাভয়েড করাই ভালো। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.10
TRX 0.22
JST 0.029
BTC 75146.83
ETH 1463.93
USDT 1.00
SBD 0.84