বর্তমান গ্ৰাম পরিস্থিতি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ০৩ ই মার্চ ২০২৫ ইং
এক সময় আমাদের দেশের গ্ৰাম ছিল আমাদের দেশের একটি রোল মডেল। কিন্তু এখন আর সেই আগের গ্ৰাম নেই। এখন সব কিছু একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন গ্ৰামের যুবক ছেলে মেয়েরা আর আগের মতো নেই। এখন গ্ৰামের যুবক ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের নেশা এবং গেইমের মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা আসলেই আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার। আমাদের গ্ৰামীন যুব সমাজ আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অতীতে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তাহলে আমরা দেখতে পারবো অতীতে গ্ৰামের ছেলে এবং মেয়েরা তাদের ফ্রি সময়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা ধুলা করতেন। সময়ের পরিবর্তনের কারণে এখন সব কিছু একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
এখন গ্ৰামের প্রতিটি ছেলের হাতে হাতে স্মার্টফোন।যে কোন জায়গায় বেশ কয়েকজন ছেলেরা একত্রিত হলে সকলেই তাদের স্মার্টফোন গুলো বের করে তাদের স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করে। কিন্তু অতীতে যখন আমাদের গ্ৰাম এলাকার মধ্যে স্মার্টফোন ছিল না, তখন আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা একত্রিত হলে বিভিন্ন ধরনের গল্প গুজব ও খেলা ধুলা করতেন। সেই সময় টি আমাদের গ্ৰামের মানুষের একটি সোনালী সময়। সেই সময় টি চাইলে ও আমরা কখনো আর ফিরে পাবো না। এখন গ্ৰামের ছেলে এবং মেয়েরা ফ্রি সময়ে খেলা ধুলা করার পরিবর্তে মোবাইলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গেইম খেলে।
এক সময় আমরা আমাদের গ্ৰাম এলাকা গুলো কে নিয়ে গর্ব করছিলাম। কিন্তু এখন আর আমরা আমাদের গ্ৰাম এলাকা গুলো নিয়ে গর্ব করতে পারি না।গ্ৰামের একজন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলের হাতেই মোবাইল ফোন। এখন পড়ালেখার থেকে মোবাইলের পিছনে বেশি সময় পার করেন তারা। আমার দেখা মতে আমাদের গ্ৰামের অনেক ভালো ভালো ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইল হাতে পেয়ে পড়ালেখা থেকে পিছু টেনেছে। যখন তাদের হাতে কোন ধরনের ফোন ছিল না, তখন তারা পড়ালেখায় বেশ ভালোই মনযোগী ছিলেন। কিন্তু যখন তারা তাদের হাতের মধ্যে একটি স্মার্টফোন পেয়েছেন, তখন তারা ধীরে ধীরে পড়াশোনা থেকে পিছাতে শুরু করে দিয়েছেন।
এরকম ভাবে আমাদের দেশের অনেক গ্ৰামের ছাত্র ছাত্রীরা পড়ালেখা থেকে দূরে সরে এসেছে। বিশেষ গ্ৰামের ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গেইম এ এখন অনেক আসক্ত। এছাড়া ও গ্ৰামের অনেক ছাত্র ছাত্রীরা অনলাইন জুয়ার মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমাদের গ্ৰাম এলাকা তখনই ভালো ছিল, যখন আমাদের গ্ৰামের মধ্যে ছিল না কোন ধরনের ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন। যখন গ্ৰামের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইন্টারনেট, তখন থেকেই গ্ৰামের ছেলে মেয়েদের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে গ্ৰামের যুব সমাজ আরো ভয়ংকর রুপ ধারণ করবে।
ধীরে ধীরে গ্ৰাম এলাকার মধ্যে মোবাইল এবং ইন্টারনেট নামক ভাইরাস বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর এই ভাইরাস গ্ৰাম এলাকার অল্প বয়সের ছেলে এবং মেয়েদের কে আক্রমণ করছে।এর ফলে গ্ৰাম এলাকার ছেলে মেয়েদের কে একদম ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।এক সময় আমাদের গ্ৰাম ছিল একদম নিরাপদ। কিন্তু এখন আর নিরাপদ নেই। ভবিষ্যতে আরো খারাপ রুপ ধারণ করবে এই গ্ৰাম এলাকা গুলো।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
ডেইলি টাস্ক রাতের বেলা করবো ✅।
https://x.com/Riyadx2P/status/1896518107734405305?t=uSoiHycBr8GvU_qpSs4W5A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই শুধু আপনাদের গ্রামের অবস্থা এরকম তা না। সারা বাংলাদেশের অবস্থায় এরকম। সবার হাতে মোবাইল। যে যেখানে বসে থাকে শুয়ে থাকে দাঁড়িয়ে থাকে, সবাই মোবাইল ব্যবহার করে। কেউ কারো দিকে তাকানোর সুযোগ পায় না। কি একটা অবস্থা শুরু হয়েছে। ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামীণ সমাজের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে। প্রযুক্তির প্রভাবে আজকাল গ্রামের যুব সমাজ অনেকটাই বিপথে যাচ্ছে, এবং এর কারণে তারা নেশা ও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অতীতে গ্রামে একত্রিত হয়ে খেলা, গল্প করা ছিল এক ধরনের সামাজিকতা, যা আজকের প্রযুক্তির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করতে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। যদি সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়া যায়, তাহলে গ্রামীণ সমাজের জন্য ভবিষ্যত আরো কঠিন হতে পারে। আমাদের মাঝে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামে এখন আর ঐ পরিবেশ নেই ভাই। বাংলাদেশের সব গ্রামের ঐ একই অবস্থা। আগে সবাই এক জায়গা হলে গল্প করত আড্ডা দিত। কিন্তু এখন এমন অবস্থা ঐ শুধু ফোন টেপে হা হা। ব্যাপার টা খুবই দুঃখজনক।