কৃষি কার্যক্রম - গ্রামীণ সৌন্দর্য।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আলহামদুলিল্লাহ একটা রোজা সম্পন্ন হল। একটুখানি ঘুরতে ঘুরতে নদীর পানি সরে যাওয়া অঞ্চলের মাঠে কৃষি কর্মব্যস্ততা দেখছিলাম। ছায়ায় দাঁড়িয়ে কর্মযজ্ঞ দেখছিলাম আর কয়েকটা ফটো তুললাম। যদিও ফটোগুলো জুম করে তোলায় কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলার প্রতিটি গ্রাম এখন কর্মচঞ্চল। মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন ফসলাদি রোপনের কাজ চলছে দুর্বার গতিতে । কৃষকরা অতীব ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই সময়টাতে। কিছুদিন পরেই মাঠগুলো সবুজের চাদরে ঢেকে যাবে। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরো মাঠ জুড়ে চলে কৃষকদের অবিরাম পরিশ্রম।
বিভিন্ন টাইপের কাজকর্মের দেখা মেলে। কোন জমি এখনো চাষ দেওয়া হয়নি, কোনোটায় আবার ধান রোপন চলছে , কোন জমিতে আবার পানি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান। তবে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। সর্বোচ্চ দুই এক দিনের ব্যবধানে পুরো মাঠে কাজের গতি সমান হয়ে আসে।
খুব ভোরে বাড়ি থেকে কোন মত আহারটা গ্রহণ করেই সোনালী রোদে ভেজা জমিতে পা দিয়ে পরিশ্রমী কৃষকরা কাজ শুরু করে দেয়। একদল কৃষক মনোযোগ দিচ্ছে শুধুমাত্র জমি চাষ করার দিকে। কোন কোন কৃষক আবার জমি কেটে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কেউবা পরম যত্নে ধানের চারাগুলো রোপন করছে নরম মাটিতে। এই কাজগুলো সাধারণত করতে দেখা যায় দলগতভাবে।
সম্মিলিতভাবে কৃষকদের এই কার্যক্রমগুলো যেন গ্রামীণ সৌন্দর্যকে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। কৃষি কাজ মূলত সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতীক। পূর্ণতা দিতে প্রত্যেককে কোন না কোন কাজ বেছে নিতে হয়। কেউ জমিতে সার দিচ্ছে, কেউ নাঙ্গল টানছে, কেউবা আবার বীজতলা থেকে চাঁরা তুলছে। কারো দায়িত্ব পড়েছে আবার বাড়ি থেকে খাবার আনার জন্য। দুপুর হলেই খাবার বেঁধে নিয়ে মাথায় করে জমিতে চলে আসে।
দুপুরের খাওয়াটা সবাই একসাথে বসেই খায়। ছোটবেলায় আমার চাচার সাথে আমি মাঠে বসে খেয়েছি। বাড়ি থেকে আম্মু খাবার দিয়ে দিত মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভাত দিতে গিয়ে আমি কাকুদের সাথেই খেয়ে নিতাম। ওই স্মৃতি গুলো এখনো মনে আছে আমার।
যাইহোক সারাদিনের কর্মযজ্ঞ শেষে একজন কৃষক যখন ক্লান্তি ভরা চেহারা নিয়ে বাড়ি ফিরে তখন তোর চেহারায় ক্লান্তি থাকলেও বুক ভরা থাকে তৃপ্তি। এরকম আরো বহুবার এই মাঠে এসে তার শ্রম দেয়ার মাধ্যমেই এই ধানগুলো পেকে সোনালী স্বর্ণে রূপান্তরিত হবে। সুন্দর এই দৃশ্যগুলো অবলোকন করার পর বাড়ি ফিরেছি। ভালো লাগলো ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

গ্রামীণ সৌন্দর্য মানেই সবুজ ও সোনালী ফসল।কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সোনালী ফসল ঘরে উঠে।সারাদিন পরিশ্রম করার পর যখন মাঠে সবুজ ফসল বাতাসে দোল খায় তখন ই কৃষকের মুখে হাসি ফোটে।কৃষক হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। কৃষক আছে বলেই আমরা মাঠ ভরা সোনালী ফসল পেয়ে থাকি।এই কৃষকদের সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিষয় গুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে লেখার মাধ্যমে। আর সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুন লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য।
0.00 SBD,
0.62 STEEM,
0.62 SP
গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য বরাবর আমাদেরকে মুগ্ধ করে আসছে। আপনার ফটোগ্রাফিতে কৃষকের কর্মব্যস্ততার বেশ কিছু চিত্র দেখতে পেলাম। বাংলার কৃষকেরা সারা বছরই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত। কৃষকেরা যখন দুপুরবেলায় একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করে ব্যাপারটা দেখতে দারুন লাগে। আপনি ছোটবেলায় আপনার চাচার সাথে মাঠে খাওয়া-দাওয়া করতেন জেনে ভালো লাগলো। এই মুহূর্তগুলো সত্যি খুবই স্মৃতিময়। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
0.00 SBD,
0.61 STEEM,
0.61 SP
ছোটবেলায় যখন ধান রোপন দেখতে যেতাম মাঠে বা ধান কাটা হতো যখন কি অপূর্ব সব দৃশ্য। আজও বিভিন্ন ধরনের চাষ হয় এই শীতের দিনে মানে বোর চাষ যেটাকে বলি, সেই চাষে ধানের পাশাপাশি নানান ধরনের দানা শষ্য চাষ হয়। কিন্তু আমি তো আমার গ্রাম থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে থাকি এবং শহরেই থাকি। ফলে সেই সমস্ত ছবি আর এবারের কারো সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। যাই হোক আপনার ব্লগটা পড়ে খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়লো। ছবিগুলো বেশ উপভোগ করলাম।
0.00 SBD,
0.59 STEEM,
0.59 SP
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। আসলে কৃষকেরা প্রচুর পরিশ্রম করে। তারা আছে বলেই তো আমরা চমৎকার দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে পারি। তাছাড়া তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বলেই তো আমরা খাবার খেতে পারছি। তবে আমাদের দেশের কৃষকেরা একেবারেই অবহেলিত। তাদের জন্য মাঝেমধ্যে খুব খারাপ লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই অনেকসময় জুম করে তোলার জন্য ফটোগুলি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি তো দারুণ হয়েছে দাদা, তাছাড়া আপনাদের ওখানে এখন চাষ হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো।যদিও আমাদের এখানে ধান রোপন করা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। এই সকল ফসল এবং ক্ষেত গ্রামের সৌন্দর্যকে আরো অনেক অংশে বৃদ্ধি করে দেয়। তাই প্রত্যেকটি গ্রামে ফসলের ক্ষেতকে আরো সুন্দর করে পরিচর্যা করা উচিত বলেই মনে করি। এখন ফসল রোপনের সময় চলেছে। আর প্রত্যেকটি ছবিতে সেই ক্ষেতের ছবিগুলি ভীষণ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এত সুন্দর একটি গ্রামীন পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
বিশাল এলাকা জুড়ে কৃষির কর্মযজ্ঞ চলছে। তবে আমাদের দিকে কৃষি জমি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সবাই বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি ঘর তৈরি করে ফেলছে। কৃষি মাঠে কাজ করা ও কৃষি মাঠে খাবার খাওয়ার অনুভূতি অভিজ্ঞতা আমারও ছোট সময়ের রয়েছে। সেই স্মৃতি মাঝেই মাঝেই মনে পড়ে। কৃষি কাজ ও কৃষক নিয়ে অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।