ভিডিওগ্রাফি পোস্ট || মিউজিয়ামে থাকা লোকজ বাদ্যযন্ত্র এবং পুরনো কিছু নিদর্শনের ভিডিওগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।
আপনারা অনেকেই জানেন যে, কিছুদিন আগে আমরা সোনারগাঁও জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে সেখানকার দুটি ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আসলে জাদুঘরে ঘুরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ অনেক সুন্দর সুন্দর নিদর্শন দেখার সুযোগ হয়। পুরনো জিনিসপত্র দেখার মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। যাইহোক আজকের ভিডিওগ্রাফিতে আপনারা বিভিন্ন ধরনের লোকজ বাদ্যযন্ত্র এবং লোহা, তামা,কাসা,পিতলের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখতে পাবেন। তাছাড়া লোকজ অলংকারও দেখতে পাবেন। সোনারগাঁও মিউজিয়ামে ছোটবেলা থেকেই আমার যাওয়া হয়। তবে এসব নিদর্শন বারবার দেখার পরেও দেখতে ইচ্ছে করে। তাইতো বারবার ছুটে যাই সোনারগাঁও মিউজিয়ামে। তবে আমার কাছে লোকজ বাদ্যযন্ত্র গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি যেহেতু গান প্রেমী একজন মানুষ, তাই আমার কাছে এসব জিনিসপত্র ভালো লাগাটা একেবারে স্বাভাবিক।
তবে এবার আমি প্রথমবারের মতো ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম শুধুমাত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড দূর করে কোনো গান অ্যাড করে দিতে পারতাম। তাহলে আপনারা অরিজিনাল সাউন্ড মিস করতেন। সেটা ভেবেই আমি অরিজিনাল সাউন্ড রেখে দিয়েছি। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
👇ভিডিওগ্রাফির লিংক👇
ভিডিওগ্রাফিটা ইনশট অ্যাপ দিয়ে এডিট করা হয়েছে
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভিডিওগ্রাফি |
---|---|
ভিডিওগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৯.২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ভাইয়া আসলে জাদুঘরে অনেক পুরনো জিনিসগুলো রাখা আছে। যেগুলো এখনকার প্রজন্মের মানুষগুলো দেখলে অবাক হয়ে যায়। আসলে এগুলো দেখা খুবই আনন্দের একটা বিষয়। তবে আপনি সেখানে অনেক বাদ্যযন্ত্রের অস্ত্রসহ অনেক ছবি সংগ্রহ করেছেন সাথে একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই আগের দিনের অনেক জিনিসপত্র দেখে বর্তমান জেনারেশনের অনেকেই বেশ অবাক হয়ে যায়। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক পুরনো সব জিনিসপাতি জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকে। আগের যুগের জিনিসগুলো দেখতেও ভালো লাগে। আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পারলাম ভাইয়া 🌼
ঠিক বলেছেন ভাই, আগের যুগের জিনিসপত্র গুলো দেখতে আসলেই ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটি দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কতরকমের বাদ্যযন্ত্র এর সমাহার যে দেখলাম, এর বেশির ভাগই অবশ্য আমি চিনি না। একেক্টার একেক রকম আকৃতি দেখে মনে হলো নামগুলোও বেশ ভিন্ন হবে হয়তো। আগের দিনের ব্যবহৃত জিনিস গুলো আমাকে বরাবরই টানে। কী সুন্দর সুন্দর সব পানসাজানী, খড়ম, কোসা-কুসি, মোমবাতি স্টান্ড মনে হলো! দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
আমিও সবগুলো বাদ্যযন্ত্রের নাম জানিনা আপু। তবে এতো ধরনের বাদ্যযন্ত্র দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটি দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।