ভাপা পিঠা রেসিপি❤️
হ্যালো
ভাপা পিঠা শীতকালীন জনপ্রিয় পিঠা।ভাপা পিঠা ভালো বাসে না এমন মানুষ পাওয়া মুসকিল। রাস্তার, মোড়ে।হাটে বাজারে, শহরে সব জায়গায় শীতকালে এই পিঠা তৈরি করে এবং সিরিয়াল ধরে থাকতে হয় কাঙ্খিত ভাপা পিঠা খেতে হলে।
আমি বরাবরই বাইরের জিনিস খাই না তাই চেষ্টা করি ঘরেই তৈরি করতে।হঠাৎ মনে হলো ভাপা পিঠা খাব বরকে নারকেল আনতে বল্লাম। নারকেল আনলেন, খেজুড়ের গুড় আনলেন,চালের আটা গুড়ি করে আনা হলো মিল থেকে।এর আগে ভাপা পিঠা তৈরি করার জন্য মাটির হাড়ি কিনেছিলাম।সেই হাড়িতে করে ভাপা পিঠা বানানো শুরু করে দিলাম।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
মাটির হাড়ি |
---|
চালের গুড়ি |
নারকেল কোড়া |
খেজুরের গুড় |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ভাপা পিঠার জন্য কিনে আনা মাটির হাড়িটি ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন নারিকেল কুড়ে নিয়েছি কুরুনির সাহায্যে।
তৃতীয় ধাপ
চালের গুড়িতে নরমাল জল দিয়ে মেখে নিয়েছি এবং একটি স্টিমারের সাহায্য চালের গুড়ি গুলো চেলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
চালের গুড়ি গুলো চেলে নেয়ার কারণে ঝড়ঝড়ে ও মিহি হয়েছে। ভাপা পিঠা তৈরির জন্য উপযুক্ত হয়ে গেছে।
পঞ্চম ধাপ
এখন মাটির হাঁড়িতে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও চুলায় বসিয়েছি। চুলায় বসিয়ে হাইহিটে জল ফুটিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন খেজুরের গুড় গুলো কেটে নিয়েছি ছোট করে।এরপর একটি ছোট বাটি নিয়েছি। বাটিতে চালের গুঁড়ি দিয়েছি প্রথমে তারপর নারিকেল কোঁড়া দিয়েছি।এরপর আবার চালের গুঁড়ি দিয়েছি এবং সুতি সাদা একটি মার্কিন কাপরের সাহায্যে বেঁধে নিয়ে মাটির হাঁড়িতে যে ফুটা যুক্ত মুখ আছে সেখানে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন কিছু সময় অপেক্ষা করার পর কাপড়টি খুলে দিয়েছি এবং আবারও একটু সময় অপেক্ষা করেছি।
অষ্টম ধাপ
আমার ভাপা পিঠা তৈরি হয়ে গেছে পুরাপুরি।এভাবে একে একে সব গুলো পিঠা বানিয়ে ফেল্লাম। অনেক সুন্দর ও তুলতুলে হয়েছে পিঠা গুলো।দেখতে যেমন সুন্দর খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে নারিকেল ও খেজুরের গুড় ব্যাবহারের ফলে।
নবম ধাপ
এখন পিঠা গুলো বানিয়ে পরিবেশ করে দিয়েছি।
পরিবেশ
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বাবা পিঠের মজাদার রেসিপি দেখতে পেলাম। আসলে শীতের ভিতরে এই পিঠা রেসিপি অনেকেই বাড়িতেই তৈরি করে। তবে এখন আর বেশি তৈরি করা হয় না।আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো।
আমি শীতে তৈরি করিনি তাই এখন তৈরি করে খেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
বাইরের খাবার না খেয়ে বাসায় তৈরি করে যে কোন খাবার খেতে ভীষণ মজা লাগে। ভাপা পিঠা আমার পছন্দের একটি পিঠা। খেতে ভীষণ মজা লাগে। গরম গরম খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাইরের খাবার না খেয়ে বাসায় তৈরি যে কোন খাবার খেতে মজা লাগে।
আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে এসেছেন। শীতকালীন সকল পিঠাই খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে ভাপা পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে।আপনি আজকে খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে বর্ণনা করার মাধ্যমে ভাপা পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমারও আপনার মতো ভাপা পিঠা খেতে বেশি ভালো লাগে।
আপনি শীতকাল শেষে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন, দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাপা পিঠা শীতকালে অনেক বেশি ভালো লাগে। শীতকালে গ্ৰামের প্রায় সব জায়গায় এই ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভাপা পিঠা আমার অনেক বেশি প্রিয়। আমি আমার আম্মুর হাতে বানানো ভাপা পিঠা এবছর শীতকালে অনেক বার খেয়েছি।
আপনি আন্টির হাতের ভাপা পিঠা অনেকবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
শীতকালের সময় ভাপা পিঠা জনপ্রিয় এবং আজকে আপনি আমাদের মাঝে ভাপা পিঠা রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। এটা দেখেতো আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। উফ দারুন ভাবে পরিবেশনাও করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
শীতের ঋতুতে ভাপা পিঠা ভীষণ ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ঢাকা শহর থেকে ভাপা পিঠা কিনে খেতাম সত্যিই অনেক দারুন লাগতো। আপনার তৈরি ভাপা পিঠার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
মাঝে মাঝে ঢাকায় ভাপা পিঠা কিনে খেলতেন জেনে ভালো লাগলো।
এ অসময়ে ভাপা পিঠা! তবুও বেশ ভালোই করেছেন এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে। আপনার ভাপা পিঠা দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। বেশ সুন্দর করে ভাপা পিঠার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শীতের আমেজ এখনো যায়নি আপু।আমার রেসিপিটি লোভনীয় লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
ভাপা পিঠা বেশ লোভনীয় লাগছে। আসলে ঢাকা থাকার জন্য পিঠা খেতে হলে কিনে খেতে হয়েছে। আপনার পিঠা তৈরির রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভাপা পিঠা কিনে খেতেও মজা লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শীতকালের জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। ভাপা পিঠা বাঙালির অনেক পছন্দের একটি পিঠা। আর এই পিঠাটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার তৈরি পিঠাটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছে। খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করলে খেতে সব থেকে বেশি মজা লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা খেতে বেশি মজা লাগে।
শীতকালে খুবই মজাদার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ভাপা পিঠাগুলোকে দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। ভাপা পিঠার মধ্যে গুড় ও নারিকেল দেওয়ার কারণে খেতে আরো মজার হয়। শীতকালের মজাদার একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ভাপা পিঠায় গুড় নারিকেল দেয়ার কারণে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়।