ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ💖- সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।💖
সবাইকে শুভ সকাল,
আশা করি বন্ধুরা আপনারা সকলে ভালো আছেন দিনের শুরুতেই? সবাইকে জানাই ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আপনাদের দিনকাল কেমন গেল ভালোবাসা দিবসে। আশা করি সকলের দিনকাল ভালোই গেছে। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন পরিবারকে নিয়ে দিনশেষে ভালো থাকি। যখন ভালো থাকার প্রচেষ্টায় আমরা সফলতা পাই তখন মনটা অনেক বেশি ভালো থাকে। কারণ অনেক সময় আমরা চেষ্টা করি ভালো থাকার। চেষ্টা করার পরেও কেমন জানি নিজেদের মধ্যে একটি খারাপ অবস্থা বিরাজ করে। সেটা হয়তো বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক সমস্যা হতে পারে। হতে পারে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সমস্যা। তাছাড়াও হতে পারে সম্পর্কের খারাপ বন্ধন। যাক সবকিছু মিলিয়েই যখন ভালো আছি তখনই আলহামদুলিল্লাহ বলাটাই আমাদের জন্য কর্তব্য।
আজ আমি আলোচনা করব ভালোবাসা দিবস নিয়ে। এই ভালোবাসা দিবসটা নিয়ে আসলেই কিছু কিছু মানুষ এত বেশি খারাপ প্রক্রিয়া ঘটায় যা পরিবেশের জন্য অনেক বেশি অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তখনই বলা যায় যখনই এই সুন্দর আবহাওয়াকে এই সুন্দর চলাচলের মধ্যে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কিছু কিছু তরুণ-তরুণীরা এই দিবসটিকে এতই বিশ্রী ভাবে উদযাপন করে যা আসলেই ১৪ই ফেব্রুয়ারির ভালবাসা দিবসকে অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখেন। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের জীবনে ভালোবাসা থাকে। সেটা শুধু যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আবদ্ধ থাকবে। অথবা শুধু যে একজন তরুণ বা তরুনীর মধ্যে আবদ্ধ থাকবে সেটা আমি কখনো বিশ্বাস করি না। এছাড়া আমি কখনো বিশ্বাস করবও না। কিন্তু আমাদের ইসলামের দৃষ্টিতে সেটা মোটেও বৈধ না।
কিন্তু আমরা পাশ্চাত্য দেশের কিংবা বর্তমান এই ডিজিটাল যুগের প্রভাবের কারণে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি গুলো আমাদের দেশেই মিশিয়ে যাচ্ছে। যখন সমুদ্র সৈকতে কিংবা কোন পার্কে যাবেন তখনই বুঝতে পারবেন এই ভালবাসা দিবসের কর্মকাণ্ড। এই দিবসে আসলে বের না হওয়াই ভালো। যাদের ছোট বাচ্চারা আছেন পরিবার-পরিজন আছেন ওইসব মানুষেরাই বের না হলেই যথেষ্ট মনে করি। কারণ রাস্তা-ঘাটে কিংবা সমুদ্র সৈকতে অথবা পার্কের মধ্যে যে ধরনের কাজকর্মগুলো দেখা যায় মনে হয় যে পৃথিবীটা আসলেই কোন পর্যায়ে চলে গেছে হা হা হা। কেন এই ভালোবাসা দিবস সেটা তো পড়েছিলাম একদিন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সেই দিবসটাকে এত প্রসেসিং করতে করতে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলো আসলে নোংরামি ছাড়া কিছু না। ভালবাসা মানে পবিত্র। ভালবাসা মানের একে অপরের প্রতি দয়াবান হওয়া। একজনের প্রতি অন্যজনের সম্মান করা। হয়তো এর পরিণামে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমরা ভালোবাসা দিবস টাকে খুব সুন্দর ভাবে পালন করতে পারি। সেটা ভাই বোনদের প্রতি ভালোবাসা হতে পারে। বোনের প্রতি বোনের ভালোবাসা হতে পারে। হতে পারে স্বামী স্ত্রীর পবিত্র ভালোবাসা। এছাড়াও হতে পারে একজন বন্ধুর কাছে অন্য একজন বন্ধুর ভালোবাসা। ঠিক আছে ভালোবাসা দিবস বুঝলাম।
এই ভালোবাসা দিবসের দিন একটু বের হয়ে হয়তো বন্ধুকে একটু ফুল দেওয়া যায়। এক সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করে আড্ডা দেওয়া যায়। দিনটাকে সবাই মিলে সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। তার মানে এই নয় যে এটা নিয়ে এত মাতামাতি করার। এসব হাবিজাবি করার জন্য আসলে মানুষ নিজ এলাকায় থাকে না। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলে যায়। যার কারণে সেখানে চেনা জানা মানুষ থাকে না। তাই নিজের মতো করে চলাফেরা করতে পারে। সেটা কেন বলতেছি জানেন? ভালোবাসা দিবসের আগের দিন আমি একটু বের হয়েছিলাম মার্কেটে গেছিলাম। দেখলাম রিক্সাতে একজন মেয়ে বসেছিল একটা ফুলের দোকানের সামনে। এই মেয়েটা এত প্রসেসিং করেছে চেহারাকে বাপরে বাপ দেখে তো গায়ে জ্বালা দিয়ে উঠলো। চুল গুলো তো আয়রন করাইছে তা ঠিক আছে।
তাছাড়াও এত সাজুগুজু করছে বলার মত না। ওই মেয়েটি ফুলের দোকানে ফুল অর্ডার করে অপেক্ষা করছিলেন। তার পোশাক দেখেই আমার মেজাজটা একদম খারাপ হয়ে গেছিল তখন। তাও আবার একটা খোলামেলা জায়গায় এদিক ওদিক গাড়ি চলাচল করতেছে। মেয়েটি কোন বাধা না মেনে নিজের মত করে রিক্সার মধ্যে সেলফি নিতে থাকছে। তখন মনে হয় সেই দিন টি ছিল কিস দিবস! হি হি হি। বুঝতেই পারছেন ফুল নিয়ে যাচ্ছে কোথায়। হয়তো কোন রেস্টুরেন্টে বসবে অথবা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দিকে চলে যাবে। তো সেটা আসলেই আমার কাছে তেমন একটা ভাল লাগেনি।
যেহেতু যারা টাউনে থাকেন তারা বুঝতে পারবেন এই দিবসটি টাউনের মধ্যে কত ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। তো বন্ধুরা অনেক কিছু বলে ফেলেছি। আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে না আমার লেখাগুলো পড়ে। কারণ আমরা মানুষ আমাদের বিবেক থাকা উচিত। আমরা মানুষ আমাদের একটু লজ্জা শরম থাকা উচিত। আমরা মানুষ দিন শেষে আমাদেরকে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে হয়। আমি মনে করি সমস্ত প্রাণীর প্রতি আমাদের একটু যত্নশীল হওয়া উচিত। সমস্ত জীবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকা উচিত। মানুষের প্রতি মানুষের আমরা যেমন যত্নশীল হই। তেমনি আমাদের উচিত পশুপাখির প্রতিও যত্নশীল হওয়া। আমাদের চারপাশের পরিবেশের প্রতি আমাদের যত্নশীল হওয়া উচিত।
এটা আসলে শুধু উচিত না আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। একটা যখন সুন্দর পরিবার থাকবে আপনার কাছে, একজন যখন ভাল জীবন সঙ্গী থাকবে আপনার কাছে। তখন মনে হবে প্রতিদিনই আপনার কাছে ভালোবাসা দিবস। আর আপনার জীবনে যখন একটা ভাল জীবন সঙ্গী থাকবে না। আপনার পাশে যখন একটি ভাল পরিবার থাকবে না। আপনার চারপাশের মানুষ যখন ভালো থাকবে না। তখন আপনার কাছে মনে হবে আপনার প্রতিটি দিন যেন ২৬শে মার্চের কাল রাত্রির মত হি হি হি😂😝🤣। সংগ্রাম আর সংগ্রাম। তাই আমরা মানবিক হয়ে উঠি। আমরা সচেতন হয়ে উঠি। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের প্রতি যেন যত্নবান হয়ে উঠি।
তাহলে আমাদেরকে ভালোবাসা দিবস পালন করার জন্য আলাদাভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারির দরকার হবে না। আমাদের জীবনের প্রতিদিনই হবে ভালোবাসা দিবস। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, অসংখ্য ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করার জন্য।
লেখার উৎস | অভিজ্ঞতা থেকে |
---|---|
ডিভাইস | Wiko-T3 |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু আপনাকেও জানাই ভালবাসা দিবসের লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। ভালোবাসার দিনে সবাই সবার ভালোবাসার অনুভূতি শেয়ার করে। এতে পূর্ণতা ভালবাসার একটা খুব সুন্দর ভালোবাসার বিনিময় ঘটে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
দারুন লিখেছেন আপু, মূলত প্রেম ভালোবাসা আল্লাহ তার প্রিয় হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উৎসরিত। ভালোবাসা স্রষ্টা-সৃষ্টির সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। শঙ্কিত মানবতা, বিপন্ন পৃথিবী হতে আলোকৃত মানুষ গড়তে ভালোবাসার বিকল্প কিছু নেই। ভালোবাসা এক প্রবিত্র প্রেমময়, আনন্দময়, আবেগ অনুভূতি। ভালোবাসা মানুষের নিত্য দিনের প্রতিনিয়ত সঙ্গী। ভালোবাসা কোন এক নিদিষ্ট দিনের নির্ধারিত সীমাবদ্ধ কোন বিষয় নয়। ভালোবাসার আবেশ অসীম,ব্যাপ্তি সর্বময়।
অনেক ভালো লেগেছে আপনার মূল্যবান কথা গুলো পড়ে।
সত্যি আপু ভালোবাসার আবার কখনো দিবস হয় নাকি।তবে ডিজিটাল যুগ হিসেবে আমরা পালন করি আরকি।তবে বর্তমান যুগে তরুণ তরুণীরা এই দিবসকে একেবারে নোংরামি করে তুলেছে। যা অনেক সময় দেখার মতো নয়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
একদম আপু প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রতিদিনই ভালোবাসা দিবস আমি এটা মনে করি।
কি যে একটা অবস্থা আপু। ভালোবাসায় এখন নোংরামি চলে আসছে। অথচ বিষয়টা ছিল পবিত্র! দুটি মনের মিলন যেখানে হবে, যেখানে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকার কথা! পশ্চিমা সভ্যতা এখন পুরোপুরি বাংলাদেশে চলে এসেছে। মানুষের শরম আজ নেই! সমাজের চিত্র ভয়াবহ বলতে হয়। বাচ্চারা যে কি শিখবে সেটাই দেখার বিষয়
১৪ ফেব্রুয়ারির দিন বের হলে বুঝা যায় দিনটি কেমন আছে।
প্রথমে আপনাকে আপু, ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই- সকলের প্রতি ভালোবাসা অবিরাম। প্রত্যেক হৃদয়ে ভালোবাসা থাকা উচিত কারণ ভালোবাসা মানুষকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। ভালোবাসা থাকলে হৃদয়ের মাঝে আবেগ, অনুভূতি, স্বপ্ন জাগ্রত হয়। সকালের ভালোবাসা পূর্ণতা পাক ভালোবাসা আরো হৃদয়ের মাঝে গভীর হোক এইটাই প্রত্যাশা করি । ভালবাসার অনুভূতি গুলো প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও আপনার জীবন ভরে যাক পবিত্র ভালবাসায়।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1758218514694127680?t=0mKq7RNgJWuzr2Q5Eog_Xg&s=19