দীর্ঘ দেড় মাস পরে ভার্সিটিতে ফেরা।
হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে মনটা কিছুটা ভালো ছিল।কারণ আজ প্রায় দীর্ঘ দেড় মাস পরে ভার্সিটি গেলাম। সবার সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগলো। আজকের আমার দিনটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, তো চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের কোটা বিরুধি আন্দোলনের শুধু থেকে গত শনিবার পর্যন্ত আমাদের ভার্সিটি বন্ধ ছিল। গত সপ্তাহে ভার্সিটির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বন্যা পরিস্থিতির কারণে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয় । ছুটির দিনগুলো ভালোই কেটেছে, শেষের দিকে মনে হচ্ছিল ছুটি যদি আরো পেতাম ভালোই লাগতো। যাই হোক অবশেষে আজ রবিবার ভার্সিটির সব কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। আজ আমার তিনটা ক্লাস ছিল। সকাল ৯.৫০ থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত।তবে ক্লাসের পর গ্যাপ থাকায় সারাদিন চলে যায় তিনটি ক্লাস করতে। সকালে ক্লাস ছিল বলে সকাল সকাল উঠে পরি। কিন্তু অনেকদিন যাবৎ দেরী করে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস হয়ে গেছে, তাই আজকে সকালে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যাই হোক সকাল সকাল উঠে ভার্সিটির উদ্দেশে রওনা দেই। রাস্তার চিরাচরিত জ্যাম পার হয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পৌঁছায়।সবাই ক্লাসের আগে একসাথে হই। অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা।কত কথা জন গেছে সবার মনে , সবাই সেগুলো বলার জন্য ছটফট করতেছে, কত রাজনীতির কথা।
প্রথম ক্লাস শেষ করে এক লম্বা ব্রেক আমাদের। সবার ক্যান্টিনে নাস্তা করে আড্ডায় মেতে উঠি। সবাই যেন এক এক জন রাজনীতিবিদ হয়ে গেছে , কত রাজনীতিক কথাবার্তা। আড্ডা দিতে দিতে কখন যে পরের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে টেরই পাই নাই ।তবে আমাদের কয়েকজন বন্ধুদের আজকে ক্লাস নেই বলে ওরা আজকে বাড়ি থেকে ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছে। তাদের সাথে এখনো দেখা হয়নি।তবে আজকে সবচাইতে বিরক্তিকর ছিল আমাদের ল্যাব ক্লাসটা। দীর্ঘ ২.৩০ ঘণ্টা লম্বা একটা ক্লাস। স্যার আজকে ব্রেক দিতেও ভুলে গেছে মনে হয়, তাই আজকে ১০ মিনিটের জন্যও ব্রেক দেয় নাই। এতদিন পর এত লম্বা ক্লাস করে সত্যিই বিরক্তি ধরে গেসিলো।স্যার ও সেটা শেষের দিকে বুজতে পারছে , সেই জন্য আমাদের বলছিল যে , এত বোর হলে কি চলবে। যাই হোক অনেক কষ্টে ল্যাব ক্লাসটা শেষ করে সবাই বাইরে এসে আগে চা খাই মাথা ছাড়ার জন্য। চায়ের সাথে সাথে আবার আড্ডায় মেতে উঠি।
ঘণ্টা খানেক আড্ডা শেষে আবার সবাই সবার বাসার দিকে রওনা দেই। বিকেলে আসার সময় যেহেতু অফিস ছুটির টাইম ছিল তাই রাস্তায় বেশ অনেক জ্যাম ছিল।বেশ অনেকদিন যাবত এই ওড টাইমে বের হই না দেখে আজকে অনেক বিরক্ত লাগছিলো।মনে হচ্ছিলো যেন রাস্তা আর শেষ হয় না কেন। আবার সাথে ছিল আজকের ভ্যাপসা গরম , দুটা মিলে একবারে বাজে অবস্থা হয়েছিল। এত দিন পর ভার্সিটি গেলাম আসার সময় এত বিরক্ত লাগছিলো, মনে হচ্ছিলো যেন আবার বন্ধ হয়ে যেতো ভার্সিটি। কিন্তু তাই কি আর হবে । আবার এই ব্যস্ত নগরীর জীবনে ফিরে আসতেই হবে।এই ছিল আমার আজকের দিনটির ইতিকথা।
সবাই ভালো থাকবেন। সকলে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন। যথা সম্ভব বন্যার্ত দের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।<\div>
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেরএকজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি।আমি আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ, তোমরা আছ! 🌞 সবাই ভালো থাকবেন। সকলে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন। 🙏
সে আরাফাত হাসান সৌনক। 🤗