আমরা সবাই এক

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

এরকম একটা পোস্ট আমার নিজের দেশের পক্ষ থেকে একজন সাধারন জনগণ হয়ে লিখতে হবে কখনো ভাবেনি। কিন্তু মনে হলো কিছু কিছু লেখা টাইমলাইনের রাখাই উচিত এবং কিছু কিছু ব্যাপার সম্পর্কে যদি আওয়াজ না তুলি। তাহলে নিজেকে কাপুরুষ এবং দেশদ্রোহী বাদে কিছুই বলা হবে না।

গতকালকে বাংলাদেশ একটি বিজয় পেয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি দারুণ ব্যাপার। আমি রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নিয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এরপরেই যে সমস্যাটি অতিরিক্ত ভাবে দেখা গিয়েছে। সেটা হচ্ছে, সম্প্রদায়িক দাঙ্গা। যেটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। কারণ যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সহপাঠীর পাশে বসে তাদের হাতে হাত রেখে মজা করতে করতে ক্লাস করি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরো শহর ঘুরি, এক প্লেটে ফুচকা খাই কিংবা একসাথে টাকা শেয়ার করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। তাদেরকেই যদি দিনশেষে ক্লাসে ঢোকার সময় না পাই। তাহলে সেই স্বাধীনতা দিয়ে কি লাভ?

দেশের যে ধর্ম সংখ্যায় বেশি, তারা যেমন দেশের সম্পদ। ঠিক তেমনটাই সংখ্যালঘুরাও এই দেশের সম্পদ। তাদের এই দেশে ততোটাই অধিকার রয়েছে যতোটা রয়েছে এই দেশের সংখ্যা বেশি থাকা ধর্মের লোকেদের।শুধু তাই নয়, তারা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, এটা তাদের জন্মভূমি। তাই কেউ যদি কারো জন্মভূমি থেকে তাদেরকে সরাতে চায়।তাহলে সেটা হবে দেশদ্রোহীতা। যেটা কখনোই বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে না।

সত্যিই, আর বিজয় মিছিল নিয়ে বের হওয়া যেনো হলো না। সত্যিই, আর সভ্য যেনো হতে পারলাম না। একজন বাংলাদেশী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে গর্ববোধ করাটাও যেনো আর হলো না।এসব ই মনে হচ্ছে, বর্তমানের একটা দিনের পরিস্থিতি দেখে। তাই আজকে এটাই বলতে আসলাম যে, প্রতিটি এলাকায় দূর্গ গড়ে তুলুন। কেউ যেনো আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের গায়ে একটা টোকাও দিতে না পারে। প্রতিটি মসজিদের মাইকে মাইকে সকল স্থানীয়দের ডাক দিন। তারা যেনো আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের জীবনের এবং মালের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেন। কারণ এখন দেশে কোনো আইন নেই, যেনো কোনো কিছুই নেই। এখন দেশের জনসাধারণেরই সময় দেশের মানুষদের জন্য কাজ করার। কারণ এখন আমাদের পাশে কেউ নেই। আমাদের পাশে রয়েছি শুধু আমরা।

ধর্ম আলাদা হতে পারে। কিন্তু আমাদের রক্ত এক। আমাদেরকে কাটলে সেই লাল রক্ত ই বয়ে বের হবে। আমাদেরকে একসাথে দাঁড়ালে মানুষ হিসেবেই ডাকা হবে। কাউকে মানুষ কাউকে, হিন্দু, কাউকে মুসলমান, কাউকে বৌদ্ধ হিসেবে কিন্তু ডাকা হবে না। তাই আমাদের সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের জীবনের দায়িত্ব আমাদের, একমাত্র আমাদের। কেনো এখন শুধুমাত্র এটা আমাদের দায়িত্ব?

উত্তর,এটা আমরা সকলেই জানি, সকলেই বুঝতে পারছি। কারণ একদল চায় এ দেশ সারা বিশ্বের কাছে মাথা নত হয়ে চলুক। সারা বিশ্বের কাছে এটাই যেনো প্রমাণ হয় যে, এই দেশ কখনোই সংখ্যালঘুদের জন্য ছিলো না। এটা কোনোভাবেই প্রমাণ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ বাংলাদেশ সকলের দেশ, সকল ধর্মের দেশ। এটা আমি বিশ্বাস করি। এটা আশা করি আপনারাও বিশ্বাস করবেন এবং নিজের এলাকার হেফাজত আমাদেরকেই করতে হবে। কারণ ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমরা সবাই এক। আর আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা সারারাত জেগে আমাদের দেশের বিভিন্ন থানা, মন্দির,মসজিদ এই পবিত্র জায়গাগুলো পাহারা দিয়েছেন। তারা সত্যিই প্রকৃত মানুষ, তারাই দেশের সম্পদ। তাদের দেখে সকলের কিছু সেখা উচিত।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।