রিয়াল মাদ্রিদের স্বস্তির জয়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে আমি রিয়াল মাদ্রিদ কে নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম। যেটা ফিচার্ড পোস্ট হিসেবে সিলেক্ট হয়েছিল। আমার লেখা টা হয়তো সত্যি সত্যি সিরিয়াসলি নিয়েছে মাদ্রিস্তিরা হা হা। সত্যি সত্যি তাদের প্রত্যাবর্তন হয়ে গিয়েছে হা হা। কেন বলছি কথাটা এখন বলব আপনাদের। গতকাল চ্যাম্পিয়ন লীগে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার সাথে। আটালান্টা অসাধারণ খেলছে এই সিজেনে। দ্বিতীয়ত রিয়াল মাদ্রিদ রয়েছে টেবিলের ২৪ নাম্বারে। এবং তার উপর ম্যাচ টা আটালান্টার ঘরের মাঠে। ম্যাচটা অনেক টা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে চ্যাম্পিয়ন লীগে টিকে থাকার ম্যাচ ছিল। ম্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত দুই টার সময়। রিয়াল মাদ্রিদের জন্য ভালো খবর ছিল ইঞ্জুরি কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরেছিল তাদের সবচাইতে বড় তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
এই ম্যাচে কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-৪-২ ফর্মেশনে। যেখানে ফ্রন্ট লাইনে ছিল ভিনিসিয়াস এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। অন্যদিকে আটালান্টার ফর্মেশন ছিল ৩-৪-২-১। একেবারে যথা সময়ে ম্যাচ টা শুরু হয়। ম্যাচের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মধ্যে পাশ খেলছিল। এবং বলটা নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রথমেই কয়েকটা আক্রমণ করে। এবং ম্যাচের মাএ ১০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে যায়। সেখান থেকে দারুণ এক ফিনিশ করে দলকে ০-১ গোলের লিড এনে দেয়। এরপর ঠিক দুই মিনিট পর আরেকটা অসাধারণ বল পেয়ে যায় এমবাপ্পে। ভিনিসিয়াস কে পাস না করে এমবাপ্পে নিজেই শর্ট নিলে গোলকিপার সেটা প্রতিহত করে। কিন্তু ভিনিসিয়াস কে পাস দিলে গোলটা হতে পারত।
গোল খাওয়ার পরে আটালান্টা বেশ ভালো খেলতে শুরু করে। আটালান্টা রিয়াল মাদ্রিদের উপর হাই প্রেসিং করতে শুরু করে। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু কর্তোয়ার কাছে ধরাশায়ী হয় তারা। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ইঞ্জুরির জন্য মাঠ ছাড়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে। এমবাপ্পের পরিবর্তে মাঠে আসে রদ্রিগো। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৬ মিনিটে একটা পেনাল্টি পেয়ে যায় আটালান্টা। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় নিয়ে আসে আটালান্টা খেলোয়ার কেটেলারে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই চমকে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে বল পেয়ে অসাধারণ এক ফিনিশ করে ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আসা ভিনিসিয়াস। গোল করে আবারও রিয়াল মাদ্রিদকে লিড এনে দেয় ভিনিসিয়াস।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে অসাধারণ একটা লং বল দেয় ভিনিসিয়াস। বল টা পেয়ে যায় বেলিংহাম। এবং একক প্রচেষ্টায় বেশ সুন্দর একটা গোল করে বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদ তখন আটালান্টার ঘরের মাঠে পুরোপুরি ১-৩ গোলে এগিয়ে। এরপর যেন আটালান্টা হাই প্রেসিং শুরু করে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে লুকম্যান অসাধারণ একটা গোল করলে ম্যাচে ফিরে আসে আটালান্টা। একেবারে উঠেপড়ে লাগে আটালান্টা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু তারা আর কোন গোল করতে সক্ষম হয়নিনি। শেষ পযর্ন্ত ২-৩ গোলে শেষ হয় ম্যাচটা। পুরোপুরি তিন পয়েন্ট অর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। এটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিল। এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের ১৬ তে চলে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের হাতে এখনও রয়েছে দুই ম্যাচ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
.png)
Daily Task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি যে ফুটবল খেলা বেশ ভালোবাসেন তা বোঝাই যায়। রিয়াল মাদ্রিদ ভীষণ ভালো একটি দল বরাবর। আটলান্টা ভালো খেলেছিল বলেই মনে হয়। কিন্তু তাও যোগ্য দল হিসেবে মাদ্রিদ জয়লাভ করলো। আপনার ধারা বিবরণী পড়ে বেশ ভালো লাগলো।