বসের দেওয়া মনে রাখার মতন এক ট্রিট!!!
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের সকলের দোয়াতে আমিও ভালো আছি। তবে গরম খুবই সমস্যার সৃষ্টি করছে ইদানিং ধরে। আসলে দুপুরের দিকে এমন গরম পরে যা সহ্য করার মতন না। তবে আজ সন্ধ্যার পর একটু ঠান্ডা বাতাস বয়েছিলো তাই ভালো লেগেছিলো অনেকটা। আমি তো অফিস থেকে ফেরার পথে ঠান্ডা বাতাস দেখে হাতিরঝিল ব্রিজ এর উপর বাইক সাইডে রেখে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের অফিসের বসের দেওয়া ট্রিট এর গল্প। আশা করি ভালো লাগবে।
সেদিন আবহাওয়া টা তুলনামূলক ঠান্ডাই ছিলো। যেটা আমার খুবই পছন্দের। প্রতিদিনের মতন অফিস এর জন্য বের হলাম সকাল সকাল। গ্যারেজ থেকে বাইকটা বের করেই শান্তি। কারণ বাইকে যতক্ষন থাকি ততক্ষন ঠান্ডাই লাগে। তবে সেটা চলতে থাকলে। জ্যামে পরলে আবার অবস্থা বাজে হয়ে যায়। যাওয়ার সময় মূলত জ্যাম পরে দুই যায়গায়। বনানী আর মহাখালীতে। এছাড়া বাইক ভালো গতিতে টানা যায় মোটামুটি। তবে বাড্ডা রামপুরা হয়ে যেতে গেলে আমার ১২ টা বেজে যায়। একটু পর পর জ্যাম লেগে থাকে। রাস্তাও যেনো শেষ হতে চায়না একদম। তাই রাস্তা একটু বেশি হলেও আমার পছন্দ বনানী মহাখালী হয়ে অফিস যাওয়া। তো সেদিন স্বাভাবিক দিনের মতই অফিস চলছিলো। হঠাৎ এসে আমাদের সার্ভিস সুপারভাইজর বলে গেলেন রাতে থাকতে হবে। মিটিং আছে। আর বললো ডিনার আছে। ডিনার এর কথা শুনে ভালো লাগলো। অনেক দিন হলো বাইরে খাওয়া হচ্ছেনা। এই সুযোগে একটু খাওয়া যাবে ভালো করে। তো জিজ্ঞেস করলাম যে আমাদের সবাই যাবে কিনা। বললো সবাই। আমার এসিস্ট্যান্ট জিজ্ঞেস করলো ভাই আমাদের ও কি থাকতে হবে। আমি বললাম যে আগে ভালো মতন শুনে নেই। কারণ এখন যদি বলি ওরা যেতে পারবে কিন্তু আদতে যদি না যেতে পারে তখন মন খারাপ করবে। তাই আমি শিওর না হয়ে বলতে চাইনি। পরে সন্ধ্যার সময় জানতে পারলাম যে আমরা যারা ম্যানেজমেন্ট এ আছি তাদের ডেকেছে শুধু।
এইদিন একটু আগে ভাগেই সবার সার্ভিস শেষ করা হলো। আমরাও সব হিসাব মিলিয়ে বসে আছি একটা গাড়ির জন্য। সে গাড়ি তখন ও র্যাম্প এ কাজ চলছিলো। আমাদের টেকনিশিয়ান একজন খুব স্লো। প্রতিদিন দেড়ি করে ফেলায়। তখন রিসিপশনের ইভা ও সার্ভিস সুপারভাইজর মুহিন ভাই মিলে আগে সেলস এ চলে গেলো। আমি, একাউন্টস অফিসার রাব্বি ভাই ও ফ্লোর ইন-চার্জ রতন ভাই অপেক্ষা করছিলাম। ও গাড়ির কাজ শেষ হয়ে ওয়াশ হলে এরপর আমরা বের হই। রাস্তা চিনিনা। শুধু জানি দখিনা কিচেন। এটা গোরান এর ওইদিক পরেছে। যাক আমরা রউনা দিলাম। আমার বাইকে আমি একা। আর রতন ভাই এর বাইকে রাব্বি ভাই বসেছে। আমার প্ল্যান ছিলো আসার সময় আমাদের রিসিপশনিস্ট ইভাকে নিয়ে আসবো
😊😊😊। হেহে কেউ আবার অন্য কিহু ভাইবেন না। মেয়ে কলিগ তো । একটু তো হেল্প করতেই হয় আমাদের। নাহলে মানবতা কোথায় বলুন? তো সেলস এর সামনে যেতেই দেখি সেখানের কলিগরা বাইক নিয়ে রেডি হচ্ছে। সাথে দুইটা হেলপার ছিলো ওরা হেটে যাচ্ছে। আমি একা দেখে ওদের দুজন কে নিয়ে নিলাম। ওরা আবার লোকেশন চিনে। ওরা পথ দেখাই নিয়ে যাচ্ছিলো আমাদের।
সেখানে পৌঁছানোর পর দেখি এক সাথে মামুন স্যার ও জহির স্যার। আমরা একটু দেড়ি করে ফেলেছি। তখন স্যার সাথে সাথে খাবার অর্ডার করলো। অনেক গুলো আইটেম ছিলো। পলাও এর সাথে চিকেন রোস্ট এবং খাসির চুই ঝাল। সাথে সফট ড্রিংস। আমরা সবাই পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো খাবার। বিশেষ করে রোস্টটা আমার মতে বেস্ট ছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই মিলে দাঁড়ালাম। স্যারের সাথে ছবি তোলা হলো আমাদের। তারপর স্যার আমাদের উদ্দেশ্যে কথা বললেন কিছুক্ষন। বললেন আজকের এই ট্রিট কোনো উদ্দেশ্যে নয়। অনেকদিন সবাইকে এক সাথে নিয়ে বসা হয়না তাই এই ছোট্ট আয়োজন। এরপর সেখান থেকে বিদায় নিলেন স্যার রা। এবার আমরা নিচে চলে গেলাম। তারপর আমার সেই মেয়ে কলিগ ইভাকে নিলাম বাইকের পেছনে। পরে খিলগাও এলাকা ঘুরে ওরে ওর বাসার সামনে নামাই দিয়ে আমি আমার বাসায় চলে আসলাম। আবারো বলি কেউ উলটা কিছু ভাবিয়েন না।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
উল্টাপাল্টা ভাবার এখানে কি আছে ভাইয়া মেয়ে কলিগ তো একটু গল্প তো করতেই হবে নাকি বলেন ☺️☺️? তবে অফিসে থাকাকালীন এরকম ট্রিট যদি মাঝে মাঝে পাওয়া যেত তাহলে মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে যেত। আপনার স্যারেরা দেখছি বেশ মানবিক রয়েছেন। নইলে কোন কারণ ছাড়াই কি এরকম ট্রিট দিয়ে থাকেন। সত্যি ভাই আপনি বিশাল বড় ভাগ্যবান এরকম স্যার পেয়েছেন , সাথে একটা মেয়ে কলিগাও পেয়েছেন ☺️। ধন্য ভাই আপনি ধন্য। সুন্দর অনুভূতি ছিল আপনার আজকের পোষ্টের মধ্যে।
তাই তো ভাই। তবুও বলে রাখলাম কেউ যেনো অন্য কিছু না ভাবে।
পোস্টার প্রথমে যাই রাস্তার জ্যামের কথা বল ছিলেন সেটা মানা যাচ্ছিল কিন্তু শেষের দিকে এসে যখন খাসির চুইঝালের কথা বললেন তখন আর মানতে পারলাম না ভাই। খাবারগুলো ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছিল অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে যাই হোক ভাই খাবার গুলোর কথা উল্লেখ না করলেও পারতেন হা হা হা।
আহ কি যে টেস্ট ছিলো ভাই।
ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে সময়টা কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে এমন ট্রিট পেলে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক ভাই । মাঝে মাঝে এমন ট্রিট আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করে দেয়।
বাইকের পিছনে মেয়ে মানুষ থাকলে উল্টা পাল্টা চিন্তা তো মাথায় আসবোই, মাথার কি দোষ? হি হি হি।
না মানে। আসলে আমার সাদা মনে কাঁদা নাই। হেহেহে। মেয়ে কলিগ দেখে আরকি।