ভ্রমণ :- ফেনী টু ঢাকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
বেশ কয়েকদিন আগে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম এটা আপনারা সবাই কিন্তু জেনে গিয়েছেন। তবে কোথায় ঘুরতে গিয়েছি এই বিষয়গুলো আস্তে আস্তে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। প্রথমেই ফেনী থেকে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্তটা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। সত্যি বলতে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কোন প্ল্যানিং ছিল না। এমনিতে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের অনেক সদস্যের সাথে বেশ ভালই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমাদের। মনেই হয় না যে আমরা আসলে অপরিচিত কিংবা কখনো কাউকে দেখিনি।
হঠাৎ করেই আমরা বলতেছিলাম আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে দেখা করবো। মাকসুদা কাওসার আপুর সাথে এমনিতেই মাঝেমধ্যে আমার হাজবেন্ডের সাথে কথা হয়। উনি অনেকবার বলে ঢাকা যাওয়ার জন্য। তবে যাবো যাবো বলে আর যাওয়া হয় না। হঠাৎ করেই আমরা চিন্তা করলাম বাংলা ব্লগের পরিবারের উদ্দেশ্যে ঘুরতে বের হবো। যেই কথা তেমনি হঠাৎ ডিসিশন। তবে আমরা ঠিক করেছিলাম প্রথমে ঢাকা যাব মাকসুদা আপুর বাসায়। এরপর সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেহেরপুর যাওয়া হবে।
ওইখানে আমাদের পরিচিত অনেক ব্লগার রয়েছে। তো এই কথাগুলো ঠিক করতে করতে একেবারে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো ঠিক করলাম। আমরা একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। সবাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম। এদিকে আবার আগে থেকেই লাগেজ গুলো গুছিয়ে রেখে ছিলাম। আমাদের সাথে আবার আমার দেবর যাবে সে ঢাকায় থেকে যাবে। তাই জন্য ওর জিনিসপত্র এমনকি একটা কম্বল নিয়েছিল। সব জিনিসপত্র নিয়ে আমরা চলে গেলাম আমাদের এখানকার বাসস্ট্যান্ডে।
আমরা সকালে উঠেই টিকেট কেটে নিয়েছিলাম ফোনে। আমরা সকাল ছয়টা বিশ মিনিটে টিকিট কেটেছি। তো তার আগেই একটা রিক্সা করে পৌঁছে গেলাম। এরপর আমরা বাসের জন্য একটু অপেক্ষা করছিলাম। শীতের সকাল তাই খুব ঠান্ডা ছিল। তবে শীতের সকালের একটা মুহূর্ত উপভোগ করে নিলাম। সত্যিই সকালের মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগলো। অল্প কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই দেখলাম আমাদের বাস চলে আসলো। তার জন্য তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে বসলাম। এমনিতে বাসে উঠতে আমার একটু অসুবিধা হয়।
কিন্তু তারপরেও কি করার। মেয়েটাও দেখছি আমার মত হয়েছে। বাসে উঠে একদমই পছন্দ করে না। তো আমাদের বাসটা ছেড়ে দিল। আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাস থেকে যাওয়ার পথে কয়েকটা ফটোগ্রাফিও করে ফেলেছি। আসলে যেহেতু শীতের সকাল ছিল তাই জন্য রাস্তায় সেরকম কোন জ্যাম ছিল না। এই দিক দিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে। তবে ঘন্টার পর ঘন্টা বাসে জার্নি করতে আমার অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায়। তবে আমার মনে হয় গরমের দিন হলে আরো বেশি কষ্ট হতো। শীতকালে একটু কম খারাপ লেগেছিল। তো এর পরবর্তী কিছু মুহূর্ত এর পরে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু জার্নি করার ভয়ে দূরে কোথাও তেমন যাওয়া হয় না। আসলে আপু আমি ও কয়েক দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিল তবে বাসে অনেক খারাপ অবস্থা ছিল। যাইহোক আপু মাঝে দেখা করলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা দেখছি বেশ সকাল সকাল রওনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম।
আপু আপনারা ঢাকায় এসেছেন শুনেছি কিন্তু দুঃখের বিষয় তখন আমি গ্রামের বাড়ি বেড়াতে চলে যাই। যদি আগে থেকে জানতে পারতাম তাহলে হয়তো দেখা হতো। তবে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আসলে দেখা হবে। গাড়িতে লং জার্নি করতে আমার কাছেও ভালো লাগে না। তাইতো কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করলে দশবার ভাবতে হয়। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু ঢাকা ভ্রমণের গল্প শেয়ার করার জন্য।
ইনশাল্লাহ অবশ্যই পরবর্তীতে দেখা হবে।
শীতের সময়টা ভ্রমণ করার জন্য উপযুক্ত। তবে এই মুহূর্তে অনেক কিছু সঙ্গে নিতে হয়। এদিকে বাচ্চারা সাথে থাকলে তো আরো একটু ঝামেলার বিষয়। তবে আপনাদের ভ্রমণ পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। আশা করবো পরবর্তী পোস্টে আরো অনেক কিছু জানার সুযোগ এনে দিবেন।
হ্যাঁ বাচ্চারা থাকলে অনেক বেশি ঝামেলা হয়।
আপনাদের ফেনী থেকে ঢাকায় আসার অনুভূতিটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা বেশ দীর্ঘ দিন ধরেই ভ্রমণ করেছেন। এভাবে ভ্রমণ করতে পারলে দেশের অনেক কিছু দেখতে পারা যায়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন এভাবে ভ্রমণ করলে অনেক কিছুই দেখা যায়।
আপু আপনারা ফেনী টু ঢাকায় ভ্রমণে গেছিলেন সেটা জানি। কিন্তু এর ভিতরে কিছু কিছু জায়গায় ঘুরেছিলেন সেটা জানি তবে বিস্তারিত বিষয় জানিনা। তবে আপনারা বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছিল তখন। আশা করি আপনি কোথায় কোথায় ঘুরলেন বিস্তারিত শেয়ার করবেন। আপনার ব্লগগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
অবশ্যই বিস্তারিতভাবে শেয়ার করবো কোথায় কোথায় ঘুরেছি।
আপু আপনারা ঢাকায় এসেছেন জেনেছিলাম।পরিবার মিলে এভাবে ঘুরতে এলে ভালো ই লাগে । আশাকরি সবাই মিলে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েেছেন। এবার ধীরে ধীরে আপনার অনুভূতি গুলো জানা যাবে আশাকরি।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
ডিস্কোর্টে ম্যাসেজর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আপানারা অনেক জাগায় ঘুরেছেন। আমাদের বেশ কয়েকজন ব্লগারের বাসায় গিয়েছেন। সবার সাথে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ।
আসলে লং জার্নি করতে অনেকেই পছন্দ করে না। আমার ওয়াইফের একই অবস্থা। যাইহোক আপনারা প্রথমে মাকসুদা কাউসার আপুর বাসায় গিয়েছেন এবং তারপর মেহেরপুর গিয়েছেন তাহলে। আশা করি সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।