ভ্রমণ :- আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক ( কুষ্টিয়া ) ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
আমরা যখন কুষ্টিয়া ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন মোস্তাফিজুর ভাইয়া এবং কিবরিয়া ভাইয়া তারা দুজনে একটা গাড়ি ভাড়া করে নিল তাদের কুষ্টিয়ায় কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। যদিও তারা সেখানকার আরো সব ইউজারদেরকে বলেছিল যাওয়ার জন্য। কিন্তু সবাই সবার বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে যেতে পারবে না বলেছে। পরবর্তীতে আমরা সকালবেলা রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্য। আমরা প্রথমে বাইকে করে চলে গেলাম মোস্তাফিজুর ভাইয়ের বাসায়।
এখান থেকে সবাই একসাথে বের হলাম। এরপর তার বাড়ির সামনে গাড়িতে আসলো। এবার আমরা সবাই গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। প্রথমে আমাদের ঝিনাইদহ একটা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সেখানে যেতে অনেক বেশি সময় লেগে যাবে তার জন্য আর সেখানে না গিয়ে অন্য আরেকটা পার্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। তখন আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী নামে একটি পার্কে গিয়ে গাড়িটা থামল। কিন্তু এই পার্কটাও ভাইয়াদের এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিল। কিন্তু ভালোভাবে এরপরে পার্কে প্রবেশ করার জন্য সবার জন্য টিকিট নেওয়া হলো।
এখানে একটা টিকিটের মূল্য ছিল ৫০ টাকা। এরপর আমরা সবাই মিলে রেপারে প্রবেশ করলাম। দেখলাম পার্কের ভিতরের জায়গাটা বিশাল বড়। এমনকি খুব সুন্দর ভাবে পুরোটা ডেকোরেশন করা হয়েছে। এখানে অনেক বড় একটা পুকুর ও রয়েছে। আর চার কাছে বেশ সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছে। ভেতরে দেখলাম খুব সুন্দর কিছু ময়ূর। ময়ূর গুলো দেখে আমার কাছে অনেক বেশি অসাধারণ লেগেছে। বিশেষ করে ময়ূর গুলো অনেক বড় বড় ছিল। তার জন্য সেখানে গিয়ে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এছাড়াও দেখলাম চারপাশের জায়গাটা খুব সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে আমার কাছে ভালো লেগেছে অনেক বড় একটা জায়গার মধ্যে পার্কের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এরপরে আমরা দেখলাম খুব সুন্দর বাচ্চাদের জন্য অনেকগুলো রাইড এর ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর আমরা সামনের দিকে গিয়ে দেখলাম। সব থেকে বেশি খুশি হয়েছে নাশিয়া। ওতো একেবারে দোড়ে গিয়ে উঠে পড়ল। যদিও দেখলাম এখানে কেউ ছিলনা। আর এটা চালানোর জন্য কাউকে দেখলাম না।
কিন্তু সহ উঠে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুবই সুন্দর আসছিল সেখানকার। তবে এত বড় একটা পার্কে দেখলাম মানুষের সংখ্যা খুবই কম ছিল। আসলে আমরা যেতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। তাই জন্য মনে হয়েছে মানুষজনের সংখ্যা কম ছিল। এরপর আমরা সেখান থেকে নেমে আবারো একটু সামনের দিকে গেলাম। দেখলাম এখানে তো আরো বিশাল একটা ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এ পার্কে আমরা আরো কি কি দেখলাম এমন কি কি এনজয় করলাম সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকে পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক এ দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখতে পাচ্ছি আপনার পোস্টে। নাশিয়া দেখতেছি ভীষণ খুশি হয়েছে। সবথেকে ভালো লাগলো সেখানে আপনাদের মুস্তাফিজুর ভাই এবং কিবরিয়া ভাই ঘোরার জন্য সহযোগিতা করেছিলো জেনে। যাই হোক বাংলা ব্লগের মেম্বারদের সাথে চমৎকার সময় কাটানোর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা দেখে আপনার ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।
https://x.com/TASonya5/status/1889504534353027287?t=CxlWzFU_LaME7wCG_86ppQ&s=19
আলাউদ্দিন আহমেদ পার্কে দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু। বেশ কিছুদিন আগে এই পার্কে আমরা গিয়েছিলাম। কালকে আমরা যখন শিলাইদাহ কুঠিবাড়ি থেকে আসছিলাম তখন এখানে যাওয়ার কথা ভেবেছিলাম। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা আর এখানে যায়নি। ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্য। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন মনে হয় ৩০ টাকা ছিলো।এই পার্ক অনেক বড়। আলাউদ্দিন আহমেদ পার্কে কাটানো মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেখানে কি কি দেখেছেন সেগুলো শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ওখানে গিয়ে আসলে অনেক ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিল।
কুষ্টিয়াতে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে এছাড়াও দেখার মত অনেকগুলো পার্ক রয়েছে। ঠিক তেমনি একটি সুন্দর পার্কে আপনারা ভ্রমণ করতে গিয়েছেন। তবে কুষ্টিয়াতে এই পার্কটা রয়েছে আমার জানা ছিল না। অনেক সুন্দর একটি স্থান। ভালো লাগলো দেখে।
এই পার্কটা অনেক সুন্দর আমার কাছে ভালো লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক এ ভ্রমণ করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে জায়গাটিতে আমরা অনেক সুন্দর ভাবে কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম। এই জায়গাটা অনেকটাই বিসনেস মাইন্ড কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জায়গাটা আসলেই সুন্দর, আর খুব ভালো সময় অতিবাহিত করতে পেরে ভালো লেগেছিল।
আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্কে ঘুরতে গিয়ে আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। নাশিয়া তো দেখছি খুবই খুশি হয়েছে সেখানে গিয়ে। ময়ূরের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তাছাড়া পার্কটিও খুব সুন্দর। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করেছি ঘুরাঘুরি করার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য।
এই পার্কটা কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল এই পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে। নাশিয়াও খুব খুশি হয়েছিল পার্কে যাওয়ার। ময়ূর গুলো দেখতে সত্যি খুব সুন্দর ছিল। কুষ্টিয়া গিয়ে অনেক জায়গা ঘুরা হয়েছে। সময় গুলোর কথা মনে পড়লে এখনো অনেক ভালো লাগে। তুমি খুব সুন্দর করে এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছো। দেখে খুব ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছ ময়ূর গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
উদ্দিন আহমেদ শিল্পপল্লী পার্ক কুষ্টিয়ায় গিয়ে আপনারা তো তাহলে বেশ আনন্দ করেছেন। আপনার মেয়ে নিশ্চয়ই ময়ূর গুলো দেখে খুব খুশি হয়েছিল এবং আনন্দে লাফাচ্ছিল? ছোট বাচ্চারা এরকম পার্কে গেলে অনেক খুশি হয়ে যায় এবং আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। পার্কের পরিবেশটা আসলেই সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
হ্যাঁ অনেক বেশি খুশি হয়েছিল আমার মেয়ে। তার আনন্দ দেখে খুব ভালো লেগেছিল।