ভ্রমণ :- আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক ( কুষ্টিয়া ) ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
কুষ্টিয়া ঘুরতে গিয়ে এই পার্কের ভেতরে বেশ ভালই এনজয় করেছিলাম। যদিও এর আগে বেশ কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজকে চলে আসলাম শেষের কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করতে। নাশিয়াতো অনেক বেশি খুশি ছিল। প্রথমে মূলত ভিতরে নাশিয়া শুধুমাত্র একা ছিল। এজন্য বেশ কিছুক্ষণ ধরে একা একাই দৌড়াদৌড়ি করে খেলতেছিল। পরবর্তীতে দেখলাম ওর মত আরো একজন খুব কিউট মেয়ে আসলো ওর বাবা মায়ের সাথে। তো ওনারাও টিকিট কেটে বাচ্চাটাকে ভেতরে দিয়েছে খেলা করার জন্য।
নাশিয়া একজন বন্ধুকে পেয়ে গেল । এরপরে শুরু হলো ওদের দুজনের একসাথে খেলা করার মুহূর্ত। ওরা দুইজনে বেশ কয়েকটা রাইডে চড়তে ছিল। আমার কাছে দেখে ভীষণ ভালোই লাগতেছিল। আবার দুইজন একসাথে খুব সুন্দর একটা একটা রাইডে উঠে বসলো। আর তখনই আমি কিছু ফটোগ্রাফি ও করে নিলাম। আমার কাছে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে ছোট বাচ্চাদের এরকম ইনজয় করার মুহূর্তগুলো বেশ ভালো লাগে। ওরা সব সময় খেলাধুলা করতে বেশি পছন্দ করে।
আমি মনে করি এই জন্য বাচ্চাদেরকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাওয়ার প্রয়োজন। তাহলে ওরা তাদের পছন্দমত ঘোরাঘুরি করতে পারে এবং খেলাধুলা করতে পারে। আর বাচ্চারা যত বেশি খেলাধুলা করবে ততই ভালো। এই পার্কের ভেতরে জায়গাটা ছিল খুবই বড়। বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পর নাশিয়াকে বলতেছিলাম বের হয়ে আসার জন্য। কিন্তু সে তো কিছুতেই বের হতে চাইছে না। আসলে বেশ অনেকটা সময় হয়ে গেছিল। এজন্য আমি চেয়েছিলাম বের হয়ে আসলে বাইরের দিকটা একটু ঘুরে দেখবো।
কিন্তু সে কিছুতেই বের হতে চাইলো না। তার সাথে আর বাবুটাকেও ওর মা বাবা বের হতে বললো। কিন্তু সেও বের হবে না। আসলে ওরা একসাথে অনেক বেশি আনন্দ করতে ছিল। তারপর একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে বের করে নিয়ে আসলাম। যদিও বের হওয়ার পর এখানে আর প্রবেশ করার সুযোগ নেই। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে আমরা চারপাশে একটু হেঁটে দেখছিলাম। এর ভিতরে বড় একটা পুকুর রয়েছে। আর পুকুরের চারপাশটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো। অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে জায়গাটা।
আমার কাছে মনে হয়েছে এরকম একটা জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালোই লেগেছে। এরপর ভেতরের দিকে আরো কিছুটা জায়গা আমরা ঘুরে দেখছিলাম। পুরো জায়গাটায় ঘোরাঘুরি করা শেষ হলে ভাবলাম বের হয়ে যাই। কারণ এখান থেকে আমাদের আরো এক জায়গায় যেতে হবে। সেদিন পুরোটা দিন আমরা ঘোরাঘুরি করতে বের হয়েছিলাম। এখানে যদি বেশি সময় কাটিয়ে ফেলি তাহলে হয়তো বা আর একটা জায়গায় যেতে পারব না। পরবর্তীতে আমরা অনেক তাড়াতাড়ি করে পার্ক থেকে বের হয়ে গেলাম। কিন্তু এরপর আমরা কোথায় ঘুরতে গিয়েছি সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পরবর্তীতে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/TASonya5/status/1896952166730113228?t=OGmCQObfoxB-kNTV_nUMhg&s=19
কুষ্টিয়ার এই সুন্দর পার্ক সম্পর্কে আমার তেমন কোন একটা ধারণা ছিল না। তবে এখন ইন্টারনেটে সার্চ করে সুন্দর এই লোকেশন টা দেখতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে আমার। কোন একটা সময় চেষ্টা করব সুন্দর এই পার্ক ভ্রমণ করে বিভিন্ন সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করে রাখার এবং আপনাদের দেখানোর। অনেক ভালো লাগলো চমৎকার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেরে।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও চমৎকার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনে হলো যেন আমিও কুষ্টিয়ার এই পার্কে ঘুরে এলাম! বিশেষ করে শিশুদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। প্রকৃতির মাঝে এমন সুন্দর সময় কাটানো সত্যিই প্রশংসনীয়।
শিশুদের আনন্দঘন মুহূর্ত আসলেই মন ছোঁয়ার মতো ছিল।
বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে গেলে বেশ ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায় তাদের আনন্দ দেখে। আপনি আপনার বাবুকে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়ার একটা পার্কের ভ্রমণ করেছেন দেখে খুশি হলাম। এই জেলাটা আমাদের জেলার নিকটে। কুষ্টিয়া জেলাতে অনেক কিছু রয়েছে জানি। বেশ অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে যাবত। এ পার্কে কখনো যাওয়া হয়নি আমার। ভালো লাগলো না দেখা একটি পার্ক দেখে।
না দেখা একটি পার্ক দেখে আপনার ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।
বাহ,পার্কের ভিতরের থেকে বাইরের দৃশ্যটি খুবই সুন্দর মনে হচ্ছে।তাছাড়া বাচ্চারা অন্য বাচ্চাদের পেলেও খুশি হয়।আমি তো ভেবেছিলাম অন্য বাচ্চাটি মনে হয় bdwomen আপুর।ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চারা আসলে ই খুশি হয় একে অপরকে পেলে। না আপু ওইটা আরেকটা বাচ্চা।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন আপনি বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করার প্রয়োজন। আজকে আপনি দেখছি আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্কে ঘুরতে যাওয়ার শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। আসলে পার্কে গেলে ছোট বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। এটি শুনে ভালো লাগলো পার্কে গিয়ে নাশিয়া একজন বান্ধবীও পেয়েছেন। আর আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।