পাবজি মোবাইল গেম এর সেই মামুর বাড়ি ভ্রমন। পর্ব-২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার পর আজ আবহাওয়া একটু শুকনা ছিলো। আজ অবশ্য শেয়াল এর বিয়ের আবহাওয়া ছিলো। রোদের মাঝেই বৃষ্টি। তো যাই হোক আজ শেয়ার করবো পাবজি মোবাইলের সেই মামুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কাহিনীর ২য় পর্ব।
তো সেদিন ফেরি থেকে নেমে আমরা কিছু সামনে যেয়ে বাইক থামিয়ে একটু রেস্ট নেই। কারণ আরো অনেকটা পথ বাকি তখনো। সবাই একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর আবার গুগল ম্যাপ দেখে নিলাম ঠিক মতন রাস্তা কোনটা ধরে যাবো তা জানার জন্য। কারণ অচেনা রাস্তা ভুল হলে সমস্যার পরে যেতে হবে। তবে একদিক দিয়ে শান্তি ছিলো যে আমরা সাইদুল মামুর শেয়ার করা সেই লোকেশন এর দিকে আগাচ্ছিলাম। কিন্তু গুগল মামা তো মাঝে মাঝে বন্ধ রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে এমন দেখায়। সব কিছু দেখে আমরা রউনা দিলাম আবার। এইদিকে সাইদুল মামু আমাদের রিসিভ করার জন্য এগোচ্ছিলো। তিনিও বাইক দিয়ে এগোচ্ছিলেন। এইদিকে এই রাস্তায় রাইড করে তো আমাদের অবস্থা খারাপ। রাস্তার অবস্থা অনেক বাজে। এইদিকে ভাঙ্গা ঐদিকে গর্ত। খুবই আতঙ্কে ছিলাম। এরপর হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি। বাইক দুইটা সাইড করে গাছের নিচে রাখলাম যেনো না ভিজে। ভাগ্য ভালো ছিলো একটু পরই বৃষ্টি কমে যায়। এরপর আমরা আবার যাত্রা শুরু করি। রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ ছিলো। আমাদের অন্য বাইকে দুজনই বাইক চালাতে পারে। আর আমার বাইকে শুধু আমি পারি। তাই রাইডার পাল্টাতেও পারছিলাম না।
এবার আমরা বাজার খুজতেছিলাম। কিছু কিনে নেওয়ার জন্য। দাওয়াত খাইতে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায়না। কিন্তু পরে গেলাম আরেক সমস্যায়। এই গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাজার খুজে পাচ্ছিলাম না। তবে আশা ছিলো পাবো কারণ তখনো ২৫ কিলোমিটার এর মতন রাস্তা বাকি। একটা বাজার পেয়েছিলাম মাঝে। কিন্তু ওখানে শুধু মালটা ছিলো। তাই আর নেইনি। আরো ৫ কিলোমিটার সামনে যেতে মোটামুটি বড় একটি বাজার পেলাম। যেখানে ফলের দোকান ছিলো। সেখান থেকে আম নিলাম সাথে মালটা। এবার মিস্টির দোকান খুজতেছিলাম। কিন্তু পেলাম না সেখানে। এরপর রাস্তায় সাইদুল মামুর দেখা। মামু আমাদের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছিলো। কিন্তু খেয়াল করিনি। পরে পেছন থেকে ডাকার পর অবাক হই। আরে এ দেখি আমাদের মামু। এরপর মামু পথ দেখাতে দেখাতে আমাদের নিয়ে যাচ্ছিলো। মাঝে একটা বাজার পেলাম। সেখান থেকে মিস্টি কিনে নিলাম। এরপর মামুর বাড়ির পথে। অনেক রাস্তা। তবে সমস্যা হচ্ছে রাস্তা খুবই সরু ছিলো। ওভারটেকিং করা খুবই ঝামেলার ছিলো। আবার না করেও পারছিলাম না। কারণ সামনে অটো ছিলো । সেগুলো স্লো যাচ্ছিলো। একবার তো ওভারটেক করতে যেয়ে প্রায় একটা অটোরে মেরেই দিচ্ছিলাম।
এরপর আরো ১৫ কিলোমিটার রাইড করার পর মামুর বাসায় পৌছে যাই। সেখানে যেহে বাইক গুলো রেখে আগে আমরা হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হই। ইতিমধ্যে মামু আমাদের জন্য শরবত বানিয়ে এনেছে। খুবই মজার ছিলো শরবত। এছাড়াও আমাদের জন্য কুয়েত এর চকলেট এনেছিলেন সেগুলো দিলেন। খুবই সুস্বাদু ছিলো চকলেট গুলো। এরপর আমরা জুম্মার নামাজ পড়তে চলে যাই। নামাজ শেষে খাওয়া দাওয়া করি। মামু আমাদের জন্য এতো আইটেম করেছে যে আমরা সবাই অবাক হয়ে যাই। কি ছিলোনা ম্যানু তে? মাছ, মুরগির মাংস, হাসের মাংস, চিংড়ি, সবজি, পলাও, সাদা ভাত আরো কতো কি। ইচ্ছা মত খাওয়া দাওয়া করি সেদিন। খেয়ে একদম পেট ফুলাই ফেলি। এরপর কিছুক্ষন রেস্ট নেই। এবার বিকেল এর সময় আবার বাইক নিয়ে বার হই। এবার মামু একটা ব্রিজ এ নিয়ে যায়। যেখানে এক ব্রিজ এর মাঝে দুই রাস্তার মিল। অর্থাৎ ব্রিজ টি ৩ টি রাস্তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। তো সেখানে আমরা অনেক ছবি তুলি। এরপর সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে দেখে সেখান থেকে ব্যাক করি। এরপর মামুর থেকে বিদায় নিয়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রউনা দেই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR