ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (অষ্টম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের সপ্তম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা মাধবপুর লেকের পাড়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে অর্থাৎ সেখানে ঘুরাঘুরি করে,গাড়িতে চড়ে একটু সামনে গিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে নিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে নুর জাহান চা বাগানের দিকে রওনা দিলাম। কিন্তু নুর জাহান চা বাগানে যাওয়ার রাস্তা ভালো ছিলো না। আর রাস্তায় তো প্রচুর ধুলাবালি। যেহেতু সবারই ইচ্ছে ছিলো নুর জাহান চা বাগান দেখার,তাই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়েই যাওয়া শুরু করলাম।
আসলে ইউটিউবে আমরা সবাই নুর জাহান চা বাগানের বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখেছিলাম এবং ভিডিও দেখেই সবার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল নুর জাহান চা বাগান দেখার। তাছাড়া নুর জাহান চা বাগানের পাশের রাস্তাটিও খুব সুন্দর। সবমিলিয়ে সেজন্যই নুর জাহান চা বাগান দেখার ইচ্ছে ছিলো আগে থেকেই। যাইহোক আমরা নুর জাহান চা বাগানে পৌঁছানোর আগে গাড়িতে বসেই বেশ কয়েকটি চা বাগান দেখলাম। চা বাগান গুলো এতটাই সুন্দর যে,গাড়িতে বসে থাকতে পারছিলাম না। তাই ড্রাইভারকে বললাম গাড়ি থামাতে। তারপর আমি নিচে নেমে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম এবং রাস্তার দুপাশে থাকা চা বাগান গুলো দেখলাম। সত্যি বলতে চা বাগান গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর গাড়িতে উঠে একটু সামনে গিয়েই দেখলাম নুর জাহান চা বাগান। ইউটিউবে ভিডিওতে যেমনটা দেখেছিলাম,ঠিক ততটাই সুন্দর বাস্তবে। বিশেষ করে রাস্তাটিও খুব সুন্দর।
যাইহোক ড্রাইভার সেখানে গাড়ি পার্কিং করার পর,আমরা সবাই যার যার মতো করে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। আমি তো একের পর এক ফটোগ্রাফি করছিলাম এবং পাশাপাশি কিছু ভিডিওগ্রাফিও ক্যাপচার করেছিলাম। আমি তো ফটোগ্রাফি করতে এমনিতেই খুব পছন্দ করি, আর এমন জায়গায় গেলে তো ইচ্ছেমতো ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করে। তারপর আমরা সেখানে ঘাসের উপর বসে পড়লাম গোল হয়ে। গাড়িতে শুকনো কিছু খাবার ছিলো,বসে বসে সেগুলো খেলাম এবং গল্প করলাম সবাই মিলে। এমন মনোরম পরিবেশে বসে গল্প করার মজাই আলাদা। কারণ পুরোটা জায়গায় ছায়া রয়েছে। চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ। তো আমরা কিছুক্ষণ বসে গল্প করার পর,সবাই ভাবলাম যে চা বাগানের উপরে উঠবো। তারপর দেখলাম যে উপরে উঠার জন্য অনেক সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে।
তো আমরা সেই রাস্তা দিয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম, আর সেই মুহূর্তে এক লোক আমাদেরকে ডাক দিলো দূর থেকে। আমরা তখন দাঁড়ালাম এবং সেই লোক আমাদের সামনে এসে বললো উপরে উঠা নিষেধ। মূলত সেই লোকটা হচ্ছে পাহাড়ি এবং সেই লোক নুর জাহান চা বাগানে কাজ করে। আর সেই রাস্তাটা দিয়েই তারা উপরে উঠে কাজ করে। আসলে আমরা ভেবেছিলাম মাধবপুর লেকের পাড়ে যেমন চা বাগানে উঠার রাস্তা রয়েছে এবং এটাও তেমনই। কিন্তু পরে জানতে পারলাম নুর জাহান চা বাগানে বহিরাগতদের উঠা নিষেধ। এটা জেনে মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। কারণ মাধবপুর লেকের পাশে থাকা চা বাগান গুলোতে উঠার সুযোগ থাকলেও, তীব্র রোদের কারণে উঠতে পারিনি। আর নুর জাহান চা বাগানের উপরেও উঠার সুযোগ পেলাম না নিষেধাজ্ঞার জন্য। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 ultra 5g |
তারিখ | ১৬.২.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের পোস্টে দেখে দেখে এটা বুঝি যে শ্রীমঙ্গল একটি ভীষণ সুন্দর জায়গা। আর এখানকার চা বাগান গুলো সত্যিই মন ভালো করে দেওয়ার মতো। এই যে নুরজাহান চা বাগানের কথা আপনি লিখেছেন, তা সত্যিই ভীষণ সুন্দর একটি মনোরম জায়গা। চা বাগানে যেতে আমার সব সময় ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলেই উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং বা অন্যান্য চা বাগানে ঘুরে আসি। আপনার এই ট্যুর এন্ড ট্রাভেল পোস্ট খুব ভালো লাগলো।
শ্রীমঙ্গলে আসলেই অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে ঘুরাঘুরি করার। পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার পোস্টটি পড়ে শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য আর চা বাগানের আকর্ষণ সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবলাম। নুরজাহান চা বাগান যে সত্যিই মনোমুগ্ধকর একটি স্থান, তা আপনার বর্ণনায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। চা বাগানে ঘুরতে যাওয়া আমারও খুব ইচ্ছা, এখনো চা বাগানে যাওয়া হয়নি। আপনার এই ট্যুর এন্ড ট্রাভেল পোস্টটি দেখে সত্যিই দারুণ লাগলো ধন্যবাদ।
সময় সুযোগ হলে অবশ্যই চা বাগানে ঘুরতে যাবেন। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব দেখে আসছি৷ আজকে এর অষ্টম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এখানে এই পর্বের মধ্যে আপনি সবকিছু খুব ভালোভাবে শেয়ার করেছেন৷ একই সাথে এখানে যেভাবে এখানে একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছেন তা দেখেও খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি যেভাবে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তা দেখে এই জায়গার সৌন্দর্য যেন আরো অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে গেল৷
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ভ্রমণ পোস্টটি দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে সুন্দর করে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন, পরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। নুরজাহান চা বাগানের সুন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলাম। চা বাগান আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করলে মন-মানসিকতা একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফিতে শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
চেষ্টা করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দারুণভাবে তুলে ধরতে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।