ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের একটু সামনে অর্থাৎ আই লাভ শ্রীমঙ্গল যেখানে লেখা ছিলো, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে এবং বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,সামনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখান থেকে গাড়িতে উঠে মাত্র ১০/১২ মিনিটের মধ্যেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সামনে পৌঁছে গেলাম। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান গেটের সামনে দেখলাম প্রচুর মানুষ।
তাছাড়া গেটের পাশ থেকে শুরু করে, সেখানে অনেক গুলো দোকান রয়েছে। এককথায় প্রচুর ভিড় ছিলো সেখানে। আমরা গেটের বাহিরে অল্প কিছুক্ষণ থেকে, ড্রাইভার সহ আমি ৫ জনের জন্য টিকেট কিনলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করার জন্য। ৫টা টিকেট এর দাম নিয়েছিল ২৫০ টাকা। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বেশ কিছু ভিডিও আমি ইউটিউবে দেখেছিলাম। ভিডিওতে দেখেছিলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে প্রচুর বানর রয়েছে। তো ভিতরে প্রবেশ করার আগে আমি ভেবেছিলাম কিছু কলা কিনে নিবো বানরদের খাওয়ানোর জন্য। পরে ভাবলাম কলা ভিতর থেকেও কেনা যাবে। যাইহোক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে প্রবেশ করার পর মনটা একেবারে ভরে গেলো। কারণ রাস্তার দুপাশে অসংখ্য গাছগাছালি রয়েছে।
যেহেতু আমি প্রকৃতিপ্রেমী, তাই এমন গাছগাছালি দেখতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া অন্যান্য গাছগাছালির পাশাপাশি,বাঁশ গাছ ছিলো অনেক। অনেক লম্বা লম্বা এবং মোটা মোটা বাঁশ গাছও ছিলো সেখানে। আমি বাঁশ গাছের কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরেও কোনো বানর দেখতে পেলাম না। এই ব্যাপারটা সত্যিই অবাক করেছে আমাদেরকে। তারপর সেখানে থাকা এক লোকের কাছে জিজ্ঞেস করলাম বানর দেখা যায় না কেনো। সেই লোকটা বললো বানর নাকি ভিতরের দিকে রয়েছে। মানুষের আনাগোনা বেশি বলে বানর সামনে আসছে না। তবে ইউটিউবাররা যেভাবে ভিডিওতে দেখিয়েছিল,এতে করে মনে হয়েছিল বানর প্রায় সবসময়ই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে দেখা যায়।
আসলে ইউটিউবারদের কাজ এমনই। তারা সবকিছুই হাইলাইট করে অনেক বেশি। যাইহোক মনে মনে ভাবলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গেটের বাহিরে থেকে বানরের জন্য কলা না কিনে ভালোই করেছি। তাহলে কলা গুলো সব আমাকেই খেতে হতো হা হা হা। এরপর আমরা সামনের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। কারণ ইউটিউবে দেখেছিলাম,একটু সামনেই ট্রেন চলাচলের রাস্তা রয়েছে। সেই রেললাইনে নাকি সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। অনেকেই নাকি সেই রেললাইনে গিয়ে ফটোগ্রাফি করে থাকে। তো আমরা সেদিকে যাওয়া শুরু করলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৪.১.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নাম অনেক শুনেছি এবং বেশ কিছু ভিডিওতেও দেখেছি এই উদ্যানটা। এখানে যাওয়ার বেশ শখ রয়েছে আমার। কিন্তু এখনো সেই শখ পূরণ করা হয়ে ওঠেনি। আপনি সেখানে উপস্থিত হয়েছেন এবং ভ্রমণ বিষয়ে এই স্থানটা খুব চমৎকারভাবে দেখানোর ও জানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। চমৎকার এই স্থানটা দেখতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।
সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যাবেন। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। আপনার পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাই মিলে খুব সুন্দর করে উপভোগ করেছেন। মুহূর্ত গুলো বেশ দারুন ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই,পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
যদি কলা নিয়ে যেতেন তাহলে আপনার সব কলাগুলো খাওয়া লাগতো। এতে কিন্তু খারাপ হত না। একদিকে নিজের খাওয়া হলো আরেক দিকে নিজেকে বান্দর ফিল করা যেত। তাহলে কতটা আনন্দ হতো মনে মনে। একটু আনন্দ দিলাম। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণ করে দেখিয়েছেন। আমি এই উদ্যানের নাম শুনেছি কিন্তু কোনদিন দেখা হয় না। ভিডিওতে মনে হয় দেখেছি কয়েকবার। যাইহোক সেখানে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।
আপনি তাহলে বাসায় বসে বসে কলা খান এবং বানর হওয়ার ফিলিংস নেন হা হা হা। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো এতো চমৎকার মন্তব্য পেয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এত গাছ থাকতে শেষমেশ বাঁশ গাছেই আলাদা করে আপনার নজর আটকে গেলো ভাই! 🫢। যাই হোক, ইউটিউবাররা নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য এমন অনেক মিথ্যাচার ই করে, ইদানীং এসব বেশি দেখা যায়। গতপর্বেও ধোকা খেয়েছিলেন ইউটিউবারদের কথা ভরসা করে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ইউটিউবারদের কথা বিশ্বাস করলে ধোঁকা-ই খেতে হয় আপু। সবচেয়ে বড় ধোঁকা খেয়েছিলাম ৩ বছর আগে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর গিয়ে। এতো বাজে টুরিস্ট স্পট এর আগে দেখিনি হা হা হা।