ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (নবম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের অষ্টম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে নবম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা নুর জাহান চা বাগানে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, তারপর একটু সামনের দিকে গেলাম হাঁটাহাঁটি করতে। কারণ সেখানকার প্রতিটি চা বাগান এককথায় দুর্দান্ত। যেদিকে তাকাই শুধু চা বাগান আর চা বাগান। এককথায় বলতে গেলে, সেখানকার চা বাগান গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া রাস্তাও দারুণ সেখানকার। যাইহোক আমাদের হাতে তখন সময় কম ছিলো।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
তাই সেখানে বেশি সময় না কাটিয়ে, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পরবর্তী স্পটে যাওয়ার জন্য। কারণ আমাদের তখন আরও তিনটি স্পট দেখা বাকি ছিলো। তাছাড়া তখন বেলা প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল। হাতে সময় কম থাকলেও, পর্যটন কেন্দ্র গুলো মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায়,আমাদের ধারণা ছিলো কম সময়ে স্পটগুলোতে পৌঁছাতে পারবো। আমরা সেখান থেকে দার্জিলিং টিলার দিকে রওনা দিলাম। কারণ ইউটিউবে দেখেছিলাম, দার্জিলিং টিলার দিকে অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড় রয়েছে এবং সেখানকার চা বাগান গুলোও খুব সুন্দর। যাইহোক আমরা গাড়িতে উঠে দার্জিলিং টিলার দিকে রওনা দিলাম। গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়ে দেখলাম, নুর জাহান চা বাগানের সামনে থেকে দার্জিলিং টিলা পর্যন্ত যেতে ৩০/৪০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। অর্থাৎ ১০/১২ কিলোমিটারের দূরত্ব।
যাইহোক দার্জিলিং টিলার দিকে যেতে যেতে লক্ষ্য করলাম রাস্তার দুপাশে পাহাড় আর পাহাড়। চারিদিকে একেবারে গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা। আমি গাড়িতে বসেই কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। যাতে করে আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। গাড়ি দিয়ে একটু সামনে যেতেই দেখলাম রাস্তা বেশ সরু। অর্থাৎ পাশাপাশি দুটি গাড়ি যাওয়াটা একেবারেই মুশকিল। তাছাড়া রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি। সেজন্য রাস্তায় কিছুটা জ্যাম লেগে গিয়েছিল। আসলে তখন তো ঈদের ছুটি ছিলো। তাই প্রচুর মানুষ সেখানে ঘুরতে গিয়েছিল। সেজন্য সেখানে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করছিলো। জ্যামের কারণে তখন মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারণ হাতে সময় কম ছিলো বলে,তাড়াহুড়া করে বাকি স্পটগুলো ঘুরতে হবে।
যাইহোক রাস্তার জ্যাম ক্লিয়ার হতে বেশ কয়েক মিনিট সময় লেগে গিয়েছিল। আমরা কিছুক্ষণ পর দার্জিলিং টিলার দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম। দার্জিলিং টিলার দিকে পৌঁছে দেখলাম যে গাড়ি আর গাড়ি। এতো গাড়ির কারণে আমাদের গাড়ি পার্কিং করারও জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তো একটু খোঁজাখুঁজি করে, আমরা গাড়ি পার্কিং করে দার্জিলিং টিলার দিকে উঠা শুরু করলাম। কিন্তু প্রচুর মানুষ ছিলো বিধায়,উপরে উঠতে বেশ ভালোই সময় লেগেছিল। তো উপরে উঠে দার্জিলিং টিলার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি উপরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। আসলে এমন জায়গায় গিয়ে ফটোগ্রাফি করার মজাই আলাদা। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৪.২.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রীমঙ্গলের এত সুন্দর চা বাগান গুলি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।। যদিও সম্পূর্ণটা ছবিতেই দর্শন করি। কিন্তু সেই ছবিতেই খুব সুন্দর দেখায়। আপনার দেওয়া প্রত্যেকটি পর্ব আমি মন দিয়ে দেখবার চেষ্টা করি। ভীষণ সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণ ভ্রমণটি প্রতি পর্বে শেয়ার করেন। এই পর্বটিও ভীষণ ভালো লাগলো। শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি ছবি ভীষণ মনোরম এবং উজ্জ্বল হয়েছে।
হ্যাঁ দাদা আপনি শ্রীমঙ্গল ট্যুরের প্রায় প্রতিটি পর্ব দেখে কমেন্ট করেছেন। এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে দেখতে আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের নবম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। এর আগে বেশ কিছু পর্ব আমি পড়েছি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা পোস্টটি পড়ে। পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে।আপনি পরিবারের সাথে খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন দেখে বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমরা সেখানে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ্ আজকে দেখছি আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের নবম পর্ব শেয়ার করেছেন। আসলে একা একা কোথাও ভ্রমণ করলে তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু পরিবার নিয়ে বা বন্ধুদের সাথে যে কোন কোথাও ভ্রমণ করলে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং অনেক বেশি মজা হয়। আপনার এই পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেখতে দেখতে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের নবম পর্ব এসে গেল। আগের পর্বগুলো পড়ে বেশ উপভোগ করেছি, আর এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। পরিবারের সাথে ভ্রমণের আনন্দ সত্যিই অন্যরকম, আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে মনে হলো যেন আমিও সফরটা সঙ্গে করে নিলাম। প্রতিটি মুহূর্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন।
চেষ্টা করছি শ্রীমঙ্গল ট্যুর সম্পর্কে আপনাদেরকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে। এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এই ব্লগে এই কারোর একটা পোস্টে পড়েছিলাম আমার ঠিক মনে পড়ছে না কার পোস্ট শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাওয়ার গল্প। শ্রীমঙ্গলের চা শুনেছি খুব বিখ্যাত। হাপ পরিবার নিয়ে ঘুরছেন এবং তার নবম পর্বটি আজকে শেয়ার করলেন। যা পরিবেশ ভালো লাগলো। গাড়িতে বসে ছবি তুললেও ছবিগুলো কিন্তু বেশ ভালোই এসেছে।
শ্রীমঙ্গলের চা আসলেই খুব বিখ্যাত। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।