ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। মূলত আমার পরিবার নিয়ে ৭/৮ মাস আগে শ্রীমঙ্গল ট্যুরে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের পরের দিন গিয়েছিলাম। আমার ড্রাইভার সহ আমরা মোট ৫ জন গিয়েছিলাম। আসলে ঘুরাঘুরি করতে সবসময়ই আমার খুব ভালো লাগে। তবে জ্যামের কারণে অনেক সময় দূর দূরান্তে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে না। তাই বেশিরভাগ সময় আমি চেষ্টা করি ঈদের সময় দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে। কারণ ঈদের সময় রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা থাকে। তখন লং জার্নি করতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক আমরা আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম, ঈদের পরের দিন ভোরবেলা বাসা থেকে রওনা দিবো।
তারপর সারাদিন ঘুরাঘুরি করে,সন্ধ্যার পর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। আমার গাড়ি তখন গুলশানে পার্কিং করা থাকতো। তো ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে বলে রেখেছিলাম, ঈদের দিন রাতের বেলা যাতে গাড়ি নিয়ে আসে আমার বাসার সামনে। কারণ ভোরবেলা গাড়ি নিয়ে গুলশান থেকে আমার বাসায় আসতে গেলে সময় বেশি লেগে যাবে। তাহলে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে আমাদের আরও দেরী হয়ে যাবে। তো ড্রাইভার রাতের বেলা গাড়ি নিয়ে আমার বাসায় চলে আসে। আমি রাতের বেলা ইউটিউবে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখে শ্রীমঙ্গল ট্যুর সম্পর্কে আইডিয়া নিয়েছিলাম। তো আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছিলাম কোন কোন স্পটগুলো ঘুরবো। যেমন প্রথমে মৌলভীবাজার চায়ের কন্যা ভাস্কর্য, তারপর গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,খাসিয়া পল্লী, মাধবপুর লেক,নুরজাহান চা বাগান,দার্জিলিং টিলা,বধ্যভূমি-৭১ পার্ক এবং সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করার প্ল্যান করেছিলাম।
তো আমরা সকাল ৬টার পর বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে। রাস্তা ফাঁকা ছিলো বলে জার্নি করতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমরা মোটামুটি ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যেই নরসিংদীর শাহেপ্রতাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর ড্রাইভার বললো অকটেন নেওয়ার কথা। এরপর আমরা গাড়ি নিয়ে ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করলাম। যেহেতু শ্রীমঙ্গল গিয়ে বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরতে হবে, তাই ৩০ লিটার অকটেন নিয়ে নিলাম। ৩০ লিটার অকটেন এর দাম নিয়েছিল ৩,৭৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি লিটার অকটেন এর দাম তখন ১২৬ টাকা ছিলো। যাইহোক আমি বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যেহেতু আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম,এই ট্যুরের ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। তাই একেবারে বিস্তারিত সবকিছু তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
যাতে করে শ্রীমঙ্গল ট্যুরে যাওয়ার আগে যদি কেউ এই ব্লগ পড়ে,তাহলে কিছুটা হলেও ধারণা পায়। তবে মোবাইল পরিবর্তন করার কারণে এই ট্যুরের কিছু ফটোগ্রাফি খুঁজে পাচ্ছি না। যাইহোক আমরা গাড়িতে উঠে আবারও শ্রীমঙ্গলের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। সকাল সকাল ফাঁকা রাস্তা দিয়ে লং জার্নি করার মজাই আলাদা। আমরা সকাল ৯ টার দিকে চায়ের কন্যা ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। পাহাড়িরা চা বাগান থেকে চা তুলে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে, গাড়ির ভিতরে বসে আমি এমন একটা দৃশ্য ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক গাড়ি থেকে সেখানে নামার পর চারপাশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। চারপাশে শুধু চা বাগান আর চা বাগান। তাছাড়া চায়ের ভাস্কর্যটা খুবই সুন্দর। সেখানে দেখলাম অনেকেই ফটোগ্রাফি করা নিয়ে ব্যস্ত। সেদিন বেশ ভালোই রোদ উঠেছিল। আসলে শ্রীমঙ্গলের এই জায়গাটা বেশ জনপ্রিয়। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৭.১২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রীমঙ্গল জায়গাটি যে খুব ভালো তা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারছি। এর আগেও শ্রীমঙ্গলের অনেক ডিটেল ব্লগে পড়েছি। আপনি গাড়িতে করে লংড্রাইভে শ্রীমঙ্গল গেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। সকলে মিলে অনেক আনন্দ করেছেন এটাই সব থেকে বড় কথা।
শ্রীমঙ্গলে ঘুরাঘুরি করার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর স্পট রয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চায়ের দেশে স্বাগতম বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কিছুদিন আগে পাড়ায় মানুষে হাসাহাসি করছিল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শেখ মুজিবরের দেশে স্বাগতম এমন নাকি লেখার থাকতো, সেই বিষয়টা নিয়ে। আপনার আজকের এই শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের পোস্ট পড়তে গিয়ে আর দেখতে গিয়ে কথাটা মাথায় আসলো। যাইহোক ভাইয়া খুব সুন্দর ভ্রমন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পথে চলার মুহূর্তে গাড়ির দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় কখনো হার্ডওয়ার্কের প্রবলেম আবার কখনো তেলের সংকট। যাহোক অনেক সুন্দর একটি ভ্রমন প্রস্তু উপস্থাপন করেছেন। বেশ অনেক কিছু দেখার অজানা সুযোগ পেলাম।
আপনি ঠিক বলেছেন,নিজের গাড়ি দিয়ে চলার সময় গাড়িতে তেল লাগবে কিনা সেটা অবশ্যই দেখতে হয়। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গল খুব সুন্দর একটি জায়গা। যদিও আমার কখনো যাওয়া হয়নি তবে অনেকবার পড়েছি এই শ্রীমঙ্গলের বিষয়। পরিবারের সবাই মিলে সেখানে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের সৌন্দর্য আসলেই অপূর্ব। দারুন একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
কখনো সময় সুযোগ হলে অবশ্যই শ্রীমঙ্গল ঘুরতে যাবেন আপু। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গলকে বলা হয় বাংলার কাশ্মীর। এখানে পরিবেশটা এত সুন্দর যে, তো তোর পাশে তাকালে চোখ ফেরানো দায় হয়ে যায়। আপনাদের ফ্যামিলির শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব আমি পড়েছি। খুবই সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আশা করি সেখানে যারা ভ্রমণ করবে এই পর্বগুলো অনেক কাছে আসবে। ধন্যবাদ।
শ্রীমঙ্গল ট্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবারকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এই ভ্রমণের আজকে আপনি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখেও খুবই ভালো লাগলো৷ এখানে আপনি যেভাবে সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাধ্যমে আপনি সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ ভবিষ্যতে আরো অনেকগুলো পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।