ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (সপ্তম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের ষষ্ঠ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা দু'জন হাঁটতে হাঁটতে মাধবপুর লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। মাধবপুর লেকটা বিশাল বড়। তাই হাঁটতে হাঁটতে আমার ওয়াইফ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবুও লেকের শেষ অংশে যেতে পারছিলাম না। কারণ সেদিন রোদ ছিলো প্রচুর। তীব্র রোদ না থাকলে বেশ ভালোই লাগতো লেকের পাড় দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে।
লেকের পাড় দিয়ে অনেকেই হাঁটাহাঁটি করছিলো এবং অনেকে দেখলাম লেকের পাড়ে থাকা সরু রাস্তা দিয়ে চা বাগানের দিকে যাচ্ছে। আসলে চা বাগানে উঠার রাস্তা গুলো খুবই সুন্দর। আমার ইচ্ছে ছিলো তীব্র রোদ উপেক্ষা করে চা বাগানের সৌন্দর্য দেখার জন্য উপরে উঠবো। কিন্তু আমার ওয়াইফ যেহেতু লেকের পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল,তাই আর উপরে উঠা হয়নি। তাছাড়া আমাদের প্ল্যান ছিলো মাধবপুর লেকে ঘুরাঘুরি করে নুর জাহান চা বাগানে ঘুরতে যাবো। আর সেখানে যেতে যেতে কিছুটা দেরি হয়ে যাবে এবং তখন মনে হয় রোদও বেশি থাকবে না। তাই সেখানে গিয়ে উপরের দিকে উঠে চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করবো। যাইহোক আমরা দু'জন অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর, আমার পরিবারের বাকি সদস্যরা ফোন দিয়ে বললো যে সেখান থেকে অন্য স্পটে ঘুরতে যাবে।
তো আমরা সেখান থেকে হাঁটা শুরু করলাম এবং গাড়ি যেখানে পার্কিং করা ছিলো সেদিকে চলে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর সাত কালার চা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু তখন দেখলাম যে ভিড় আরও বেশি। পরবর্তীতে আমরা সাত কালার চা খাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খেলাম এবং আইসক্রিম খাওয়ার সময় ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা একটা বড় টিমের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। তারা মাধবপুর লেকে ঘুরাঘুরি করার পর বললো যে, আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানে ঘুরাঘুরি করবে। যেমন দার্জিলিং টিলা,সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা,নুর জাহান চা বাগান ইত্যাদি। যাইহোক আমিও তাদেরকে বললাম এই স্পটগুলোতে আমরাও যাবো ঘুরাঘুরি করতে। তারপর তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, আমরা গাড়িতে উঠে নুর জাহান চা বাগানের দিকে যেতে লাগলাম।
তখন দুপুর ১টা বেজে গিয়েছিল। তাই ড্রাইভারকে বললাম রাস্তার পাশে মসজিদ পেলে গাড়ি থামাতে। কারণ জুম্মার নামাজ আদায় করে, তারপর লাঞ্চ করে নুর জাহান চা বাগানে ঘুরতে যাবো। তো গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় মসজিদ চোখে পড়লো না। কিন্তু নামাজের সময় অতিক্রম হওয়ার পর মসজিদ খুঁজে পেলাম। তো শেষ পর্যন্ত জুম্মার নামাজ আদায় করা হলো না। তারপর অল্প একটু সামনে গিয়ে একটি রেস্টুরেন্ট দেখতে পেলাম। মূলত সেটা মাধবপুর রোডে অবস্থিত। তো আমরা সেই রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে, তারপর গাড়িতে উঠে নুর জাহান চা বাগানের দিকে যেতে লাগলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৯.২.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আরো একটা পর্ব শেয়ার করেছেন। লেকের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। লেকের মধ্যে ফুল গুলো খুবই চমৎকার লাগছে দেখতে। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
লেকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গল ঘুরতে যাওয়ার আরো একটি পর্ব দেখতে পেলাম। সেই সাথে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বেশ কিছু দৃশ্যও তুলে ধরেছেন। যদিও বা আপনাদের সাত কালার চা খাওয়া হয়নি এটা দুঃখ থেকেই যাবে। তবে আশা করি পরবর্তী পর্বে আপনার চা বাগানের রাস্তা দিয়ে হাঁটার আকাঙ্ক্ষাটা পূর্ণ হবে। অপেক্ষায় রইলাম আপনার পরবর্তী পর্ব পড়ার এবং দেখার জন্য।
হ্যাঁ ভাই প্রচন্ড ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত সাত কালার চা খাওয়ার সুযোগ পাইনি। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের সপ্তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আমি নিজেও পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। পরিবার নিয়েছে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব আমি পড়েছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব পড়ে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আশা করি বাকি পর্ব গুলোও পড়বেন।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করে দারুণ একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভ্রমণ পোস্টের লেখাগুলো পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি আপনি মসজিদটি খুঁজে পেতেন তাহলে নিশ্চয় জুম্মার নামাজটি আপনার আদায় করা সম্ভব হতো। যাহোক আপনার এই ভ্রমণের পোষ্টের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
সেদিন জুম্মার নামাজ পড়তে না পেরে খুব খারাপ লেগেছিল ভাই। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের এই সপ্তম পর্ব পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ। লেকের পাশের দৃশ্যগুলো অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, বিশেষ করে পানির উপর ভাসমান ফুলগুলো যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পরিবারের সাথে এমন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া সত্যিই আনন্দের। আপনার লেখা এবং ফটোগ্রাফি দুটোই খুব সুন্দরভাবে এই ভ্রমণের অনুভূতিগুলো ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
মাধবপুর লেকটা আসলেই খুব সুন্দর। তাছাড়া ফুলগুলো সত্যিই মাধবপুর লেকের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।