ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের প্রথম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা চায়ের কন্যা ভাস্কর্যের সামনে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সামনের দিকে চলে গেলাম। তো গাড়িতে বসে রাস্তার দুপাশে খুব সুন্দর সুন্দর চা বাগান দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। পাহাড়িদের দেখলাম চা বাগানে কাজ করছে। তো আমরা একটি বাজারের দিকে গাড়ি থামালাম। কারণ সবারই তখন ক্ষুধা লেগেছিল। আমরা একটি হোটেলে ঢুকে নাস্তা করে নিলাম। তারপর চা পান করলাম। চায়ের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। শ্রীমঙ্গল চায়ের জন্য বেশ বিখ্যাত।
যাইহোক আমরা নাস্তা শেষ করে বিল মিটিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর গাড়িতে উঠে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের দিকে যেতে লাগলাম। আমার বহুদিনের ইচ্ছে ছিলো গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট দেখার। তো আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সামনে পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে গাড়ি পার্কিং করার পর, গেইটে থাকা দারোয়ান আমাদের সামনে আসলো। তো আমরা বললাম যে, আমরা দুপুরে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে লাঞ্চ করবো এবং তারপর বের হয়ে যাবো। অর্থাৎ আমরা হোটেলে চেক-ইন করবো না। তারপর দারোয়ান বললো যে, গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে লাঞ্চ করতে হলে আগে থেকে বুকিং দিতে হয়। এটা শুনে তো ভীষণ মেজাজ খারাপ হলো। কারণ আমি ইউটিউবে ব্লগ দেখেছিলাম এবং ব্লগের মধ্যে বলেছিল, বুকিং না দিয়েই গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে ঢুকে লাঞ্চ করা যাবে। আসলে ইউটিউবাররা অনেক সময় ভুলভাল তথ্য দিয়ে থাকে।
সেটা আরও একবার প্রমাণ পেলাম সেদিন। তারপর দারোয়ান আমাকে গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের ঢাকা অফিসের একটি ভিজিটিং কার্ড দিলো এবং বললো যে ঢাকা অফিসে ফোন দিয়ে কথা বলে দেখতে। তারা চাইলে দুপুরে লাঞ্চ করার ব্যবস্থা করে দিতে পারে। যদিও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে তারা ইচ্ছে করলে সম্ভব। তো সবমিলিয়ে মেজাজ খারাপ ছিলো বলে, আমি আর ঢাকা অফিসে ফোন করিনি। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে প্রবেশ করবোই না। তারপর গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,সেখানে থাকা কয়েকটি দোকানে প্রবেশ করলাম বাসার জন্য কিছু কিনতে। আসলে বাহিরে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের শো পিস থেকে শুরু করে অনেক কিছুই বিক্রি করছে তারা।
তো সেখানে ঘুরাঘুরি করে বাঁশের তৈরি একটি মগ কিনলাম খুব সম্ভবত ২৫০ টাকা দিয়ে। তারপর বললাম যে ঘুরাঘুরি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে কেনাকাটা করবো। তো আমরা গাড়িতে উঠে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দিকে রওনা দিলাম। কিন্তু একটু সামনে যেতেই দেখলাম যে খুব সুন্দর একটি জায়গা। সেখানে ইংরেজিতে আই লাভ শ্রীমঙ্গল লেখা রয়েছে এবং অনেক গাছগাছালি রয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ের উপরে উঠার খুব সুন্দর রাস্তা রয়েছে সেখানে। বেশ কয়েকজন বাইকার সেখানে ঘুরতে গিয়েছে ঢাকা থেকে। তাদের সাথেও কথাবার্তা বললাম বেশ কিছুক্ষণ। তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.১.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারের সবাই মিলে যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারলে ভালোই লাগে। আপনাদের শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের প্রথম পর্ব টা দেখা হয়নি। তবে আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যি দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। আর প্রত্যেকটা জায়গাও ভীষণ সুন্দর। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু,পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দৃষ্টিনন্দন। পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয় সবাই মিলে বেশ সুন্দরভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। এতো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আমরা সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আজ আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ভ্রমণ পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরিবার নিয়ে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। পরিবারের সাথে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সিলেট এর শ্রীমঙ্গল জায়গাটি বেশ সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমেই বুঝা যাচ্ছে। যদিও আমার যাওয়া হয়নি ।সিলেট শহরে যাওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা বেশ সুন্দর দেখতে। আপনি পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন যা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
পাহাড়ি এলাকা দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগে। পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গল অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আজকে আপনি সেখানে ভ্রমণ করার পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি আজকের অসাধারণ একটি পর্ব এখানে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি ফটোগ্রাফি ও বর্ননার মাধ্যমে সব কিছু খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
শ্রীমঙ্গল আসলেই খুব সুন্দর। এমন খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।