ভ্রমণ :-সন্ধ্যার পর নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করব সন্ধ্যার পর নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। তবে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আমি সময় পেলে মাঝেমধ্যে নদীর ধারে ঘুরতে যাই। সকাল বিকাল এবং সন্ধ্যা যে কোন সময় ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে এখন শীতকাল নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়া খুব কষ্টকর। আর বিশেষ করে সন্ধ্যার পর হলে তো আরো বেশি ঠান্ডা লাগে। কিছুদিন আগে সন্ধ্যা নামাজ পড়ার পর চিন্তা করলাম একটু ঘুরে আসি। সাথে একজন বড় ভাইও একজন সমবয়সী বায়ো ছিল। যদিও আমরা নদীর ধারে মসজিদে নামাজ পড়েছি। এই কারণে ওই সময় আমরা চিন্তা করলাম নদীর অপর পাশে জায়গাতে ঘুরতে যাব।
তারপর আমরা তিনজন মিলে নদীর অন্য সাইডে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম। কারন আমরা নদীর একপাশে আমরা অন্য পাশে ঘুরতে যাব এই কারণে নৌকার জন্য অপেক্ষা করলাম। এরপর আমরা নদী পার হয়ে ওই পারে গেলাম। যদিও এখন নদীতে পানি একদম কম। আবার আপনারা অনেকে জানেন আমাদের এইখানে সুইচগেট ভেঙে যাওয়ার পর নদীর ধারে জমিগুলোর মধ্যে কিছু চাষ করা যায় না। কারণ মাঝেমধ্যে পানি এত বেশি আসে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কারণ নদীর পানিগুলো একদম নোনা। কারণ লবনের কারণে কোন কিছু এই জমিগুলোর মধ্যে হয় না। আবার এখন নদীর পানি গুলো কেউ ব্যবহারও করতে পারে না। কারণ নদীর পানির মধ্যে কাঁদা অনেক।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে আমরা যখন নদীর পার হয়ে অপর পাশে গেলাম। তখন পায়ের মধ্যে কাদামাটি লাগলো। তবে এই কাদামাটি গুলো পানি দিয়ে সাফ করা যায় না। কারণ কাদামাটি গুলো পায়ের সাথে লাগলে সহজে কাপড় এবং পা থেকে যায় না। এরপর আমরা তিনজন যখন নদীর অপর পাশে গেলাম তখন সত্যি ঠান্ডা অনেক ছিল। আর আমি কিন্তু জ্যাকেট নিয়ে যায় নাই। এই কারণে নদীর পাশে ঠান্ডা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। যদিও ওই সময় নদীর পাশে একদম কোন মানুষ ছিল না। আর সন্ধ্যার পর হলেও ওই সময় মোটামুটি আলো ছিল। আর নদীর পাশে মোটামুটি ভালই কাঁদা মাটি আছে। কারণ মাটি গুলোর মধ্যে মাঝেমধ্যে নদীর পানি উঠে যায়।
যদিও এই জায়গাগুলো সন্ধ্যার পর একদম নিরাপদ না। কারণ আশেপাশে বাড়িঘর একদম কম এবং বাজে লোকের আড্ডা থাকে রাত্রেবেলা। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে তেমন দূরে না জায়গাটি এই কারণে আমরা ওই জায়গায় পরিচিত। আবার অনেকক্ষণ আমরা ওইখানে ঘুরাঘুরি করলাম। তবে নদীর উপরে একটু দূরে একটি দোকান আছে। ঠান্ডার কারণে আমরা ওই দোকানে গিয়ে চা এবং নাস্তা খেলাম। খাওয়া-দাওয়ার পর আবার এসে নদীর ধারে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তবে নদীর ধারে অনেক শিয়াল আছে। রাত্রেবেলা হলে শিয়ালগুলো দল বেঁধে বাইর হয়। আমরা যখন নদীর ধারে গেলাম তখন সন্ধ্যার পর অনেক শিয়াল দেখতে পেলাম।
শিয়াল গুলো আমাদেরকে দেখে একটু দূরে গিয়ে লেজ সিদা করে আওয়াজ দিতে লাগলো। তবে শিয়ালগুলো আওয়াজ শুনে তখন আমার কাছে একটু ভয় লাগলো। যদিও আমাদের এলাকাতে এমনিতে শিয়াল অনেক দেখা যায়। তবে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর যখন অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগল আমার কাছে ।তখন চিন্তা করলাম আবার চলে আসব। তবে আমার সাথে দুইজন ঘোরাঘুরি করার জন্য বলতে লাগলো। এরপর আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বললাম আমার গায়ে মোটা জ্যাকেট নেই এ কারণে ঠান্ডা লাগলো। তারপর অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আমরা আবার নৌকায় করে আমাদের এ পাশে চলে আসলাম। তবে আমরা যাওয়ার সময় নৌকার মাঝি কে বললাম কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা আবার রিটেন আসবো। নয়তোবা নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই হচ্ছে সন্ধ্যার পরে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1889233765630967868?t=SL65N6ZoaYm2dG5pAl5G2A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ তিন বন্ধু মিলে নদীর পাড়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। তবে সুইচগেট নষ্ট হয়ে যাওয়াতে আপনার এলাকার কৃষকদের দেখতেছি অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেছে। স্রষ্টা যেনো খুব তাড়াতাড়ি এ সকল সমস্যা দূরীভূত করেন। বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। মসজিদটি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নদীর পাড়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করার আনন্দঘন মুহূর্তের একাংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তবে নদীর পাশে মসজিদটি খুব সুন্দর করে করেছেন। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই ধরনের জায়গাগুলোতে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু এসব জায়গাতে গেলে মন ভরে যায়। ভালো থাকবেন আপু।
একদম পড়ন্ত বেলার সময়টা ঘুরাঘুরির জন্য খুবই উপযুক্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও সন্ধ্যার পরে এমন প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে উপস্থিত হতে পারলে অনেক ভালো লাগে আমারও। আমাদের এখানে তো নদী নেই তবে পুকুরপাড় গুলো বেশ ঘোরাঘুরি করতাম বন্ধুদের সাথে। ঠিক তেমনি ভালোলাগা খুঁজে পেলাম পোস্ট দেখে।
তবে আমাদের বাড়ির পাশের নদী আছে। আবার পুকুর পাড়ে ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শোনে।
সন্ধ্যার মুহূর্ত একেক জায়গায় একেক রকমের সুন্দর। ঠিক তেমনি নদীর পাড়েও সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আর খোলা আকাশের নিচে সময় কাটাতে পারলে আমার আরো বেশি ভালো লাগে। সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন অনেক ভালো লাগলো বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু একেক জায়গাতে এক এক রকমের সুন্দর ঘুরতে গেলে। ভালো থাকবেন আপু সব সময়।
সন্ধ্যার পরে নদীর পাড়ে গিয়ে এত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। এই জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর। ওখানকার সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে আপনার অনুভূতিটা অনেক ভালো ছিল, তা পুরো পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি।
আসলে আপন নদীর পারে সন্ধ্যার পর খালি জায়গার দৃশ্য ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগলো। তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
নদীর পাড়ে যেতে কার কাছেই না ভালো লাগে। এই নদীর পাড়ের সৌন্দর্য কিন্তু খুবই ভালো। আমার কাছে তো খুব ভালো লাগে এই জায়গাটা। নদীর পাড়ে গিয়ে সময় কাটালে মনটাও ভালো হয়ে যায়। আপনি সন্ধ্যার পরে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লেগেছে। মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল নিশ্চয়ই। আমার তো এখনই ওখানে চলে যেতে ইচ্ছে করছে। কারণ পরিবেশটা খুব সুন্দর লাগছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নদীর পাড়ে যেতে কার না ভালো না লাগে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে বেশ ভালো লাগলো।
নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মজা এমনিতে অসাধারণ। আপনারা দেখছি সন্ধ্যার পর নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি একদম নিরিবিলি। আর আমি নিজেও শুনেছি নদীর ধারে সন্ধ্যার পর শিয়াল থাকে বেশি। এবং সন্ধ্যার পর ঠান্ডা লাগলেও পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে ভালো সময় কাটিয়েছেন তিনজন মিলে। ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ নদীর পাড়ে সন্ধ্যার পর অনেক শিয়াল থাকে। মন্তব্য করে ধন্যবাদ আপনাকে।