ভ্রমণ :- চেয়ারম্যান ঘাট ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চেয়ারম্যান ঘাট ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। চেয়ারম্যান ঘাট জায়গাটি খুব চমৎকার। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ জায়গাটি অনেক সুন্দর হয়ে গেল। মূলত নদীর পাশে চর গুলো হওয়ার কারণে জায়গাটি দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। আর দূর দুরন্ত থেকে লোক আসে এখানে ঘুরার জন্য। এইখানের পরিবেশ মানুষকে এমনিতে আকৃষ্ট করে। আর গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের জায়গা থাকলে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। সত্যি বলতে কয়েকবছরে এই জায়গাটি অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে চেয়ারম্যান ঘাট যাইগার দুই পাশে সরকারি গাছ এবং নদীর ধারে গাছ লাগানোর কারণে জায়গাটি দেখতে বেশ ভালো লাগে।
আমরাও মাঝেমধ্যে এই জায়গাতে ঘুরতে যাই। যদিও জায়গাটি আমাদের বাড়ি থেকে তেমন দূরে না। কিছুদিন আগে আমার বাড়ির পাশে একজন বড় ভাই আসলো বাহির থেকে। তখন বিকেলবেলা আমার সাথে কথা বলতে লাগলো। ওই সময় আমাকে বলেছে কোথাও ঘুরে আসতে। তখন আমি নিজে বললাম চেয়ারম্যান ঘাট জায়গাটি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কারণ লোকটি অনেক বছর বিদেশ ছিলেন। ওই সময় জায়গাটি ছিল একদম নরমাল। তখন লোকটিও বলল জায়গাটির নাম অনেকবার শুনেছি। তারপর আমরা দুইজন কথা বলতে বলতে চেয়ারম্যানঘাটের দিকে যেতে লাগলাম। যদিও আমরা কথা বলতে বলতে গেলাম চেয়ারম্যান ঘাটে।
প্রথমে আমি ওইখানে গিয়ে চেয়ারম্যান ঘাটের বোর্ডের একটা ফটোগ্রাফি করলাম। এরপর আমি নদীর ধারের রাস্তার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সত্যি ওই সময় আবহাওয়া খুব চমৎকার ছিল। আর আবহাওয়া ভালো থাকলে যেখানে সেখানে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। এরপর আমাদের পরিচিত আর একজন ভাই মিলে আমরা তিনজন নদীর ধারে গেলাম। যদিও এখন নদীতে পানি কম এই কারণে নদীটি একদম নিচু দেখা যাচ্ছে। তবে নদীর এপারে একটি দোকান ছিল। মোটামুটি বিক্রিও ভালো ছিল। কিছু লোক এইখানে এসে ঝগড়া করে এই কারণে দোকানটি বন্ধ হয়ে গেল। এই দোকানে উন্নত মানের গরুর দুধের চা এবং মহিষের দুধের চা পাওয়া যেত।
এরপর আমরা কথা বলতে বলতে সিদ্ধান্ত করলাম নদীর ওপারে গিয়ে নাস্তা করব। এবং নদীর ওই পারে কয়েকটা দোকান আছে। যেহেতু আমাদের এই পাশে দোকান নেই তখন আমরা নদীর ওপারে যাওয়ার জন্য ঠিক করলাম। মজার বিষয় হচ্ছে নদীটির পার হতে দুই পাশেই কাদামাটি আছে। সামান্য পানি আছে। যদিও যেই সময় নদীর জোয়ার আসে ওই সময় পানি একদম থৈ থৈ করে। আমরা যে সময় গেলাম ঐ সময় নদীতে জোয়ার ছিল না। এরপর আমরা তিনজন মিলে নৌকায় উঠলাম। যদিও মাঝি আমাদের পরিচিত এবং পাশের এলাকার লোক।
এই কারণে নৌকার মাঝি আমাদের ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করতে লাগলো। তখন মাঝে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাচ্ছি। তখন আমরা বললাম নদীর ওই পারে নাস্তা করব। নৌকার মাঝে আমাদেরকে বললেন নাস্তার থেকে নদী পার হাওয়ার টাকা বেশী যাবে। কথাটি শুনে আমরা সবাই হেসে দিলাম। কারণ কথাটি সে বাস্তব বলেছে। এরপর আমরা নদীর ওপারে গেলাম। যদিও যাওয়ার সময় মাঝিকে আমরা বললাম আধা ঘন্টার মধ্যে আমরা আবার আসব। এবং নৌকার মাঝে বলল আমি রাত আটটা পর্যন্ত থাকি কোন সমস্যা নেই। এরপর আমরা নদীর ওপারও মোটামুটি ভালোই ঘোরাঘুরি করলাম। আর জায়গাটি চেয়ারম্যানঘাট হওয়ার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসে ঘোরার জন্য। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1896561137166229808?t=XDx1TuGNc4MOPd0RPWkbPg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখলাম চেয়ারম্যান ঘাট নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে বেশ মজা করলেন। ঘুরাঘুরি করতে আমার নিজেরও বেশ ভালো লাগে। আমি নিজেও চেয়ারম্যান ঘাটে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন বেশ মজা লেগেছিল। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমরা খুব সুন্দর কিছু ছবি দেখতে পারলাম। ঘুরাঘুরির এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ওই দিন চেয়ারম্যান ঘাট নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে ভালই সময় কাটিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দর একটা স্থানে ঘুরতে গেছেন তাই আমরা সেই স্থানটা দেখার সুযোগ পেয়েছি। আজকে যদি ব্লগ আকারে শেয়ার না করতেন তাহলে হয়তো এত সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ হতো না। জায়গাটা বেশ দারুন ছিল। আসলে ভালো লাগার জায়গা হলে বারবার সেখানে যেতে মন চায়।
হ্যাঁ ভাইয়া জায়গাটি বেশ দারুন। আর বিকেল বেলায় এসব জায়গাতে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে।
নিশ্চয়ই দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।চেয়ারম্যান ঘাটের বর্ণনা ও ছবিগুলো অসাধারণ লাগল। নদীর ধারে এমন ঘোরাঘুরি সত্যিই মন ভালো করে দেয়। বিশেষ করে নৌকায় করে নদী পার হওয়ার অভিজ্ঞতা দারুণ লাগল।দারুন এই মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ নৌকা পার হতে এমনিতে ভালো লাগে। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে বেশি ভালো লাগলো।
চেয়ারম্যান ঘাট তো দেখছি খুবই সুন্দর। আসলে এতো সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া চেয়ারম্যান ঘাট জায়গাটি দেখতে এমনিতে সুন্দর। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।