ট্রাভেলিংঃ-কক্সবাজার ইনানী ভ্রমণের স্মৃতিচারণ মুহূর্ত।
সবাইকে শুভ দুপুর,
বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন সবার দিনকাল ভালো যাচ্ছে? আমিও ভালো আছি আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের ভালোলাগার বিষয়গুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরার। আমরা এক এক জন একেক সীমান্তে বসবাস করি। আমাদের দূরত্ব অনেক বেশি যদিও সীমানার দিক থেকে কিন্তু আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি কাছাকাছি এবং অনেকটা এগিয়ে আমরা। এগুলো সব সম্ভব হয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে। আমরা একে অপরের প্রতি এত সুন্দর সহানুভূতি প্রদর্শন করি সবাই সবার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করি বেশ ভালো লাগে। ভালো লাগে এমন সুন্দরীক একটি পরিবেশে কাজ করতে পেরে। তাই চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভিন্ন কিছু নিয়ে আপনাদের সম্মুখে উপস্থিত হতে।
আজকে বন্ধুরা আমি উপস্থিত হয়েছি ভ্রমণের একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা তো অবশ্যই জানেন আমি কোন জায়গায় বসবাস করি। আমি বসবাস করি সবার প্রিয় একটি জায়গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায়। এই এলাকায় বসবাস করি বলে আসলে নিজেকে অনেক বেশি ধন্য মনে করি। কারণ মানুষ অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এই জায়গায় ভ্রমণ করতে আসে। আর আমি খুব সহজেই প্রতিনিয়ত সে সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে পারি অতি সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে। যদিও সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করি তারপরও এখানকার অনেক কিছু জায়গা আছে আমাদের ঘুরতে যেতে মন চাই।
তেমনি বেশ কিছুদিন আগে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেছিলাম ইনানী ভ্রমণে। আপনাদেরকে বেশ কিছু ব্লগ আমি শেয়ার করেছিলাম এই ইনানী ভ্রমণের বিষয় নিয়ে। এখানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম বলতে গেলে একসাথে অনেকগুলো জায়গা দেখার চেষ্টা করেছিলাম। তো সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমি আপনাদেরকে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করেছিলাম। বন্ধুরা যদিও আপনাদেরকে ব্লগ শেয়ার করেছি কিন্তু স্মৃতির পাতায় অনেক কিছু থেকে যায় অনেক সময়। আজকে চিন্তা করলাম যে কি শেয়ার করা যায়। ভাবলাম আজকে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করলে ভালো হয়। তো সেই উদ্দেশ্যে আমি চিন্তা করলাম আপনাদেরকে ইনানী ভ্রমণের কিছু স্মৃতি শেয়ার করি।
ফোনের গ্যালারিতে যখন প্রবেশ করলাম সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি খুঁজে পেলাম। তো ভাবলাম যে সেই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আপনাদেরকে ব্লগ শেয়ার করলে ভালো হয় এবং আপনারা ও জানতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আমরা যখন ইনানী ভ্রমণে যাই তখন আমরা সরাসরি গিয়েছিলাম রয়েল টিউলিপ হোটেলে। সেখানে আমরা রুম বুকিং করছিলাম এবং বিকেল বেলায় ও রাতে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করি। এছাড়াও আমরা দিনের বেলায় অনেক আনন্দ করেছি সেখানে সুইমিংপুলে। পরের দিন আমরা দুপুরের আগ পর্যন্ত সেখানে সময় কাটিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
এরপর আমরা যখন ফিরে আসতে চিন্তা করলাম তখন আমরা সময় নিয়ে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বন্ধুরা আমরা চিন্তা করছিলাম ফেরার সময় যতগুলো জায়গা আছে দেখে আমরা চলে আসব। সেই প্রস্তুতি নিয়ে আমরা ইনানী সমুদ্র সৈকতে নামলাম। সেখান থেকে আমরা হিমছড়ি পাহাড়ে উঠলাম সেখানে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছি। এরপরে আমরা দরিয়া নগর দেখেছি। মাঝপথে অনেকগুলো পয়েন্ট ছিল সবগুলোতেই নেমে নেমে দেখার সুযোগ হয়। আমরা নামলে সিএনজি দাঁড় করিয়ে রাখি সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার আরেকটি পয়েন্ট আমরা নেমে যায়। এভাবে অনেকগুলো দৃশ্য দেখেছিলাম বন্ধুরা ভীষণ ভালো লাগছিল।
এছাড়াও চলতি পথে আমরা অনেক কেনাকাটাও করেছিলাম। আপনারা এই পোস্ট পড়লে বুঝতে পারবেন এখানে কতগুলো ঝিনুকের/শামুকের ফটোগ্রাফি আমি শেয়ার করেছি। চলতি পথে যখন আমরা পাহাড়ে উঠেছিলাম তখন পাহাড় থেকে নেমে মার্কেট ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম সুন্দর কিছু পাওয়া যায় কিনা। সেখান থেকে আমি কিছু শামুকের/ঝিনুকের/পুঁতির জিনিসের ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম সেগুলো আপনাদেরকে শেয়ার করলাম। সব দেখার পর্ব শেষ করে আমরা শেষ মুহূর্তে নামলাম প্যারাসেইলিং পয়েন্টে। সেই পয়েন্টে এসে ভীষণ ভালো লাগছিল। এটা হচ্ছে সর্বশেষ মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য। সেখানে ছোট্ট একটি পার্কও ছিল বাচ্চাদের জন্য। যদিও বাচ্চারা সেই পার্কে প্রবেশ করেছিল কিন্তু আমি যাইনি।
আমি সিএনজিতে বসে থাকছিলাম। যখন সিএনজিতে বসে থাকলাম বোরিং লাগলো তখন বের হয়ে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। আর চারপাশের দৃশ্যগুলো উপভোগ করছিলাম। প্যারাসেইলিং পয়েন্ট আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা। কারণ এই জায়গাটি খুবই নিরিবিলি এবং খোলামেলা জায়গা ছিল। এখানে বিভিন্ন ফিল্ম, নাটক, গানের ভিডিও করতে এছাড়াও শখের বসে অনেকেই প্যারাসেইলিং করার জন্য আসে। তবে আমি দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম তখন আমাকে ৪০০০ বলেছিল। যদিও আমার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু আমি জানতে চেয়েছিলাম দাম কেমন নেই। তো বন্ধুরা ইনানী ভ্রমণে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ হয় ভ্রমণের মাধ্যমে। এছাড়াও সুন্দর কিছু দেখার সুযোগ হয়ে থাকে। অনেক কিছু শিক্ষনীয় বিষয় থাকে ভ্রমণের মাধ্যমে। অনেক ভালো লাগছিল বন্ধুরা এই মুহূর্তটি আমি আবার আপনাদেরকে স্মৃতিচারণ করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | [ কক্সবাজার ইনানী ভ্রমণ] |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#traveling #coxsbazar-inani #parasailing-point #natureofbeauty #amarbanglablog #steemexclusive #shy-fox
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের অনেক কিছুই দেখা হয় আপু। আজকের ভ্রমণ পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি। শামুক এবং ঝিনুকের এই জিনিসগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। প্রথম ফটোগ্রাফির এই জিনিসটা কি ঝিনুক এর ভেতর মুক্তা এরকম কিছু তৈরি করা হয়েছে ?? খুবই সুন্দর লাগছে জিনিসটা দেখতে। ধন্যবাদ আপু ভ্রমণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মতামত পেয়ে। এভাবে মতামতের মাধ্যমে সব সময় সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন আপু।
কক্সবাজারের ইনানী ভ্রমণের স্মৃতিচারণমূলক পোস্টে দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে, বিশেষ করে শামুকের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। শামুকের তৈরি জিনিস দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। প্রতিটা ফটোগ্রাফির চমৎকার ব্যাখ্যা উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জায়গাটি বেশ সুন্দর আপু আর শামুকের এবং ঝিনুকের জিনিসগুলো আমার খুব ভালো লাগে দেখতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কক্সবাজারের ইনানী নাম শুনেছি আর জায়গা টা নাকি খুব সুন্দর।আপনি সেই ইনানী ভ্রমণের স্মৃতিচারণ শেয়ার করেছেন ।পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।কোনো একদিন সুযোগ হলে দেখতে যাওয়া যাবে স্থানটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু জায়গাটা অনেক সুন্দর একদিন সময় করে চলে আসেন সবাইকে নিয়ে ঘুরতে।
https://x.com/nahar_hera/status/1813641701778698380?t=3Bj3cQAs_58ipSvYYF0zwg&s=19