||বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির- (পর্ব-৬)||
হ্যালো সালামুআলাইকুম।
সকলকে শুভ বিকালের শুভেচ্ছা!
আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা থেকে। সবাই কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় এবং সুস্থ আছি। উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং শেয়ারের যে ধারাবাহিকতা আছে সেই পোস্টের ধারাবাহিকতা নিয়ে। আমরা সবাই কমবেশি সকলের চেষ্টা করি পোষ্টের মধ্যে ভিন্নতা আনার। আমিও চেষ্টার কমতি রাখি না তবে সময় স্বল্পতার কারণে ইউনিক কিছু তৈরি করতে মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়। আজ আমি আবারো চলে এসেছি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির ৬ষ্ঠ পর্ব নিয়ে। গত পর্বে ৫টি পর্ব শেয়ার করেছি বেশ সাড়া পেয়েছি আপনাদের। অনেক বেশি অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ পেয়েছি।
এই পর্বে শেয়ার করব বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের তৃতীয় তলায় যখন যাওয়া হয় সামনে অনেক বড় করে আমাদের বন্ধু মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার একটি সুন্দর নেমপ্লেট দেখতে পাই। একটা ফটোগ্রাফি নিলাম এরপরে তৃতীয় তলায় আমরা ঢুকে পড়ি। আসলে যে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম অনেক দৌড়াদৌড়ির মধ্যে নিয়েছিলাম কারণ বেলা গড়িয়ে আসছিলো ওনারা বেশি তাড়াহুড়া করছিল তাই সামনে যেগুলো পায় সেগুলো করে নিয়েছিলাম। তৃতীয় তলাতে প্রবেশ করে দেখি বেশ সুন্দর সুন্দর রাজকীয় পরিবারে আসবাবপত্র এবং একটি রাজদরবারে যেসব নিরাপত্তার জন্য কিংবা মানুষের ক্ষতি করার জন্য যে সব অস্ত্রের দরকার হয় তা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আধুনিক যুগে তো অনেক ধরনের অস্ত্র বের হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু তখনকার যে সরঞ্জাম ব্যবহার করা হতো তাও কিন্তু কম ছিলনা। এখন তো মানুষকে শায়েস্তা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিশেষ করে।
এছাড়াও রয়েছে একটি সম্ভ্রান্ত কিংবা রাজকীয় পরিবারে বেশ মূল্যবান আসবাবপত্র যেগুলো রাজাদের কিংবা তাদের পরিবারের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর আগে যেসব ধারাবাহিকতায় পাঁচটি পর্ব শেয়ার করেছি সেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি গ্রামের বিভিন্ন ব্যবহার করা জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি। এখন যেসব ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছি সেগুলো হচ্ছে বলতে গেলেন যারা নামিদামি পরিবার কিংবা সম্ভ্রান্ত পরিবার কিংবা রাজা প্রজাদের পরিবারে যা ব্যবহার করা হতো।
একটি রাজকীয় পরিবারের শুধু যে আসবাবপত্র কিংবা দামি পোশাক কিংবা দামি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার-দাবারের জিনিস থাকবে তা নয়। রাজ প্রসাদে বিভিন্ন ধরনের গানের অনুষ্ঠান হত সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হত। সুন্দর গানের আসর হতো যেখানে নামিদামি শিল্পীদের আমন্ত্রণ করা হতো এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার-দাবারের আয়োজন করা হতো। এমন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে তো মন ভরে গেছে আমার। স্বচক্ষে না দেখলে বুঝতে পারতাম না এমন সুন্দর সুন্দর রাজকীয় পরিবারের জিনিসপত্র। সবগুলো বাইরের কালেকশন ছিল। বাইরের দেশের ছিল সব স্বদেশী কোন জিনিসপত্র ছিল না।
এখানে ছিল না এমন কিছু নেই সবগুলো ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। অনেক ভালো লেগেছে গানের বাদ্যযন্ত্র গুলো দেখে। এটাও তো এক প্রকারের সংস্কৃতি তাই না? গান মানুষের মনে আনন্দ দেয়। গান হচ্ছে বিনোদনের একটি পার্ট। তাই অনেক ছবিতে কিংবা মুভির মধ্যেও দেখতে পেয়েছি একটি রাজার পরিবারে কিংবা রাজ প্রসাদে অনেক বড় আকারে বিনোদনের জন্য গানের আয়োজন করা হতো।
সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামের ঘোরাঘুরির মুহূর্তগুলো। আশা করি আমার আজকের পর্বের ফটোগ্রাফি ও লেখাগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে আজ এখানে সমাপ্তি করছি ধন্যবাদ সবাইকে।

ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে অনেক কিছু রয়েছে। ভীষণ সুন্দর লাগছে। আমিও একবার গিয়েছিলাম কিন্তু এত বড় মিয়জিয়ামে সম্পূর্ণটা ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি,হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। ঠিক বলেছেন এত বড় একটা রাজকীয় পরিবার যে শুধু দামি খাবার দাবার আসবাবপত্র জামা কাপড় রয়েছে তা নয় তারা আসলে সব কিছুরই অংশ বিশেষ রেখেছিল। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এগুলো দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে আপু।
সময় স্বল্পতার কারণে সবগুলো ফটোগ্রাফি নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সামনে যেগুলো পেয়েছিলাম সেগুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
অনুপ্রেরণার মধ্য দিয়ে মানুষের কাজের গতি বেড়ে যায় যেহেতু পঞ্চম পর্বে আপনি বেশি সাড়া পেয়েছেন এর জন্য আপনি পুনরায় ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করার জন্য আপনি আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এ পর্বে আপনি তৃতীয় তলার আসবাবপত্র এবং রাজাদের যেসব নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দরকার ছিল সেই সব অস্ত্রের সাজসজ্জা। অনেক গানের বাদ্যযন্ত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবকিছু মিলে জাতীয় মিউজিয়াম ঘোরাঘুরি মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনারা সবাই এত সাপোর্ট করেন প্রতিনিয়ত কাজ করতে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে যাওয়ার সুযোগ কখনো হয়নি। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপু আপনার বিগত পোস্টগুলোর মাধ্যমেও অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে এই জাদুঘরে সত্যিই অনেক পুরনো জিনিসপত্রগুলো আছে। আর যেগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।
আমার বিগত পোস্টগুলো আপনি দেখেছেন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এখানেও অনেক সুন্দর মতামত দিয়েছেন বেশ ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে অনেক কিছু রয়েছে। আসলে আপু আমি কখনো বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে যায়নি।এতো সুন্দর সুন্দর রাজকীয় জিনিস পত্র রয়েছে ছবিতে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আর বাস্তবে আরো কতো সুন্দর। সত্যি আপু গানের বাদ্যযন্ত্র গুলো অসাধারণ লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ঘোরাঘুরির মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশ মিউজিয়ামে বাংলাদেশের সব কিছু ধারণ করা হয়েছে আপু দেখতে অনেক ভালো লাগে।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4cmawo-or-or-or-or
এরকম প্রয়োজনীয় কিছু জায়গায় ঘুরতে গেলে অভিজ্ঞতাটাও অনেক বেশি বেড়ে যায়। আমাদের সবার উচিত এমন জায়গাগুলো ঘুরতে যাওয়া যেখানে গেলে আমরা অনেক কিছু শিখতে এবং বুঝতে পারবো। আপনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালই লাগলো। অনেক পুরনো জিনিস আপনার মাধ্যমে আমরাও দেখতে পেলাম। একেবারে চমৎকারভাবে পুরো পোস্টটি তুলে ধরলেন আমাদের মাঝে।
হ্যাঁ আপু বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে কারণ অতীতে সম্পর্কে জানতে পারে তাই।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘুরাঘুরি ষষ্ট পর্বে তৃতীয় তলায় অনেক গুলো গানের বাদ্যযন্ত্র দেখলাম। আমি যখন ভ্রমন করেছিলাম তখন তৃতীয় তলায় যাওয়া হয়নি। আবার গেলে অবশ্যই দেখে আসবো। ধন্যবাদ আপু।
আপনি যেহেতু ঢাকাতে আসেন সময় করে ঘুরে আসতে পারেন আপনার ওয়াইফকে নিয়ে ভালো লাগবে।