||বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির-(পর্ব-১১ বা শেষ পর্ব)||
সবাইকে শুভরাত্রি
সবাই কেমন আছেন আশা করি সকলে ভালো আছেন। নিশ্চয়ই সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার অনেকে ঘুমিয়ে গেছেন। আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিদিন ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে যেমন ভাল লাগে তেমনি ভিন্ন কিছু পড়তে অনেক ভালো লাগে। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু নিয়ে আপনাদের সাথে ব্লগিং করার। আজ আমি যে পোস্টটি শেয়ার করব সেটি হচ্ছে যে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি শেষ পর্ব বা ১১ তম পর্ব। আমি আপনাদেরকে পরপর এর আগে দশটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম বেশ অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ পেয়েছি আপনাদের কাছ থেকে।
আজ আমি ১১ তম পর্ব শেয়ার করে বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিইয়ামে ঘোরাঘুরি পর্ব সমাপ্তি করব।
সেদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘটে যাওয়া অনেক স্মৃতি নিয়ে। যেগুলো বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে খুব সৌন্দর ও যত্ন সহকারে রাখা হয়েছে। যা আমি দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম বিশেষ করে বিশ্ব বিখ্যাত মোনালিসার সেই আর্ট করা ছবিটি দেখে। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলাদেশের থাকা বিভিন্ন উপজাতিদের নিয়ে কথা। আপনারা তো সবাই জানেন আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজন আছেন। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে সমান অধিকারী।
এই দেশের ধর্ম সম্পর্কে সবচেয়ে সুন্দর একটি স্লোগান হচ্ছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই বাক্যটি পড়তে খুবই ভালো লাগে এবং নিজেকে একজন বাংলাদেশী হিসাবে পরিচয় দিতে অনেক বেশি গর্ববোধ করি। কারণ এখেন কোন বাড়াবাড়ি হয় না। কোন হিংসে বিদ্বেষ কিছু হয় না। সব ধর্মের মানুষ সব ধর্মের মানুষের সাথে খুব সুন্দর চলাফেরা আসা-যাওয়া এবং ধর্মীয় কিংবা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে মিলেমিশে যাওয়া আসা করে।
তেমনি বাংলাদেশের বড় বড় বেশ কয়েকটি ধর্ম কিংবা উপজাতি দের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখেছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে। সেই ছবি গুলো যখন দেখেছিলাম ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় কিংবা উপজাতীয়দের স্তর ভেদে খুব সুন্দর গুষ্টি শ্রেণী বেদে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল চাকমা, গারো উপজাতি, মারমা উপজাতি এছাড়া ছিল খ্রিষ্টান আরো অনেক গুলো ধর্ম ও উপজাতি এবং গোষ্ঠীদের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমি দেখেছি। খুব কম সময় স্বল্পতার কারণে আমি বিশেষ করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম যা আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
এটা শেয়ার করার মূল বিষয় হচ্ছে যে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী লোকজন আছে। আগে থেকে আছে এবং বর্তমানে আছে সব ধরনের মানুষকে আমরা সমান চোখে দেখি। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা মানুষ। কে কোন ধর্মের মানুষ সেটা আমাদের ভাবার বড় বিষয় না মানুষ হচ্ছে আমাদের প্রধান পরিচয়। কে কোন ধর্ম পালন করলো সেটা নিজস্ব ব্যাপার। এবং সব ধর্মকে সম্মান দিয়ে কথা বলা আমাদেরও প্রধান মৌলিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
তাই সে দৃশ্য গুলো দেখে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে সোজা নিচ তলায় নেমে গেলাম। নিচ তলায় নেমে গিয়ে সেখান থেকে আরো কয়েকটি সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখেছি এবং দেখার পরে বের হয়ে যায়। প্রথমে খুব তাড়াহুড়া করে ঢুকছিলাম তাই বাইরের দৃশ্য তেমন দেখতে পারি নাই। কিন্তু যখন মিউজিয়াম দেখা শেষ করে বের হয়েছিলাম তখন দেখেই বুঝতে পেরেছি বাইরে দৃশ্যটা কত সুন্দর। এত যানজটের একটি শহর গাড়ির আওয়াজের জন্য শান্তিতে থাকা যায় না এমন জায়গায় এত সুন্দর মনোরম একটি পরিবেশ দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল।
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি সরকারি অফিস কিংবা বেসরকারি অফিসের দৃশ্য হচ্ছে এমনই। বাইরের লোকিং অনেক সুন্দর করে রাখা হয় যা পরিবেশের জন্য অনেক বেশি ভালো। একটি সুস্থ পৃথিবী এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য চারপাশের গাছপালা আমাদের জন্য অপরিহার্য। ধন্যবাদ সবাইকে এই বলে আমি আমার আজকের লেখা শেষ করলাম। আর ১১ তম পর্ব দিয়ে আমি বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি পর্ব সমাপ্তি করছি। ধন্যবাদ সবাইকে এতদিন পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য।

ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2zgpvr-or-or-or-or
বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করার এগারো তম এবং শেষ তম পর্ব পড়লাম আজকে। দেখে এবং পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। এর আগের কয়েকটা পর্ব পড়েছিলাম, সেগুলো ভীষণ ভালো লেগেছিল। আজকে শেষ পর্ব পড়েও ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম সম্পর্কে। ফটোগ্রাফি গুলো ও অসম্ভব ভালো ছিল বলতে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনি আমার শেয়ার করা প্রতিটি পোস্ট পড়েছেন আমার মনে আছে। অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বেশ ভালই লাগলো।
Twitter Share Link