"স্মৃতির পাতা থেকে গ্যাংটকের বড় বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণের অভিঞ্জতা ও ফটোগ্রাফি "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু
করছি।আজ আপনাদের সাথে গ্যাংটকের বৌদ্ধ মন্দিরের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।কিছুদিন ধরে মন মানসিকতা খুব একটা ভালো না।তাই আপনাদের সাথে কোন কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। আসলে হটাৎ করেই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো। মানুষের প্রতিটা দিন তো একই ভাবে কাটে না। সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। তাই এসব চিন্তা করে কোন লাভ নেই তার চেয়ে বরং নিত্য কাজে ফিরে আসাই ভালো।যাই হোক আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আপনারা জানেন শীতের সময়ে আমরা স্বপরিবারে সিকিম গ্যাংটক ঘুরতে গিয়েছিলাম। গ্যাংটকে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে সকালের দিকে গ্যাংটকের বৌদ্ধ মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিলাম।সকালের দিকে গিয়েছিলাম তাই বেশ মিষ্টি রৌদ্র ছিলো।আবার ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছিলো। তাই বেশ ঠান্ডা লাগছিলো। ঠান্ডার জন্য টিনটিন বাবু মন্দিরের ভিতরে ঢুকতেই চাইছিলো না। ছোট মানুষ তো তাই ঠান্ডা হওয়ায় কষ্ট হচ্ছিলো। মন্দিরটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ছিলো। তাই আমাদের বেশ কিছু সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়েছিলো।ভিতরে প্রবেশ করে দেখি অনেক সুন্দর চারি দিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। আমরা বেশ কিছুটা সময় ছিলাম। বেশ কিছু ছবি ও তুলেছিলাম। সেখান থেকেই পুরনো কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যেকোন পবিত্র স্থানে গেলে মনটা যেন অন্য রকম হয়ে যায়।অনেক ভালো লেগেছিলো এত সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে পেরে।
মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে প্রবেশ পথ। প্রবেশের পথে সুন্দর সুন্দর কিছু ফুল ছিলো।
তারিখ:১৪ ই নভেম্বর ২০২২, সময়: ১২.০০
স্থান: সিকিম, গ্যাংটক
বৌদ্ধ মন্দিরের বাইরের চারপাশের পরিবেশ।
তারিখ: ১৪ ই নভেম্বর ২০২২।সময়: ১২.১৯
স্থান : সিকিম, গ্যাংটক।
মূল মন্দিরের দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর মূর্তি খোদাই করা আছে। আর অসাধারন সব কারু কার্য। আমি তো সবকিছু ভুলে এই কারুকার্য গুলো দেখছিলাম।
তারিখ:১৪ ই নভেম্বর ২০২২। সময়: ১২.৪০
স্থান: সিকিম, গ্যাংটক
আরও কিছু কারুকার্য।
তারিখ:১৪ ই নভেম্বর ২০২২। সময়:১২.৫৭
স্থান: সিকিম, গ্যাংটক
ক্যামেরা পরিচিতি: redmi 8 poro
ক্যামেরা লেন্থ: ৫ মি.মি.
আমরা বেশ কিছুটা সময় এখানে ঘুরে ছিলাম। ফেরার সময় উপর থেকে আমি এক দৌড়ে নেমেছিলাম।আসলে অনেকটা উপড়ে উঠে ছিলাম। আর আমার ছেলেবেলা থেকেই একটা বাজে অভ্যাস আছে। সেটা হলো আমি ঢালু কোন উঁচু জায়গা থেকে এক দৌড়ে নাকি।সেই নামতে গিয়েই একটা গুরুতর এক্সিডেন্টের হতে পারতো। কিন্তু সেটা আমার প্রিয় মানুষটির জন্য বেঁচে গেলাম তা না হলে সেদিনই পাহাড়ের খাদে গিয়ে পড়তাম। সাবধান আপনারা কেউই পাহাড়ে গিয়ে আমার মত এমনটা কেউ করবেন না। তবে যাই হোক বৌদ্ধ মন্দির দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। আমার তো বেশ ভালো লেগেছিলো।আজ এই পর্যন্ত কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৌদি, গ্যাংটকের বড় বৌদ্ধ মন্দির ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথাগুলো খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। একই সাথে গ্যাংটকের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী এবং সুন্দর সুন্দর অংশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগছে। অসাধারণ এবং অতুলনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।