বাংলাদেশের পূজা: "গ্রামের ভিতর পূজার দেখার অনুভূতি "

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। কিছুদিন আগে হিন্দুদের প্রাণের উৎসব দুর্গা পূজা গেলো। তবে সামনে আসছে দীপাবলি বা আলোর উৎসব। এটাও বাঙালিদের কাছে কম আনন্দের নয়। আপনারা জানেন এবার পূজায় বাংলাদেশ ছিলাম। আগেই বলেছিলাম আমার একদম যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো না।শুধু মাত্র আপনাদের দাদার কথা রাখতেই যেতে হয়েছে।আমাদের এখানে পূজা শুরু হয়ে মহালয়া থেকে।দশ দিন ধরে পূজার আমেজ থাকে। আর বাংলাদেশে পূজা হয় সপ্তমী থেকে। আর গ্রামের দিকে সেটা হয় না। কারন পূজার পন্ডপ গুলোতে এক ঠাকুর মশায় ছাড়া আর কোন থাকে না। সেগুলো আমাকে ভীষণ অবাক করেছে। আর তাদের মনে পূজা নিয়ে কোন উল্লাস নেই।আর যা একটু পূজা হচ্ছে তো সেখানে কোন প্যান্ডেল নেই না কোন লাইটিং আছে, না কোন লোক আছে । আবার খুব একটা মেলা বসেনি। শুধুমাত্র কয়েকটি দোকান ছোলা বাদামের দোকান আসছে।

IMG_20231022_191156.jpg

IMG_20231022_184252.jpg

IMG_20231022_174413.jpg
তবে হ্যা গ্রামের পরিবেশটা অনেক সুন্দর।সপ্তমীর দিন বিকালে একটা ভ্যান গাড়িতে করে গ্রামের দিকে পূজা দেখতে বের হলাম। গ্রামের ভিতর বেশ কয়েক জায়গায় পূজা হয়। সেখানে গিয়ে দেখি কোন লোক নেই শুধু ঠাকুর মশায় বসে সন্ধ্যার পূজার আয়োজন করছে। আমরা ঠাকুর দেখে বাইরে বেরিয়ে দেখি বিশাল মাঠের ভিতর মাত্র দুই থেকে তিন টি দোকান আসছে। হটাৎ। তাকিয়ে দেখি ঘষা বরফ এর দোকান। একটা দোকান থেকে কিছু পিয়াজু, আলুর চপ ও ছোলা কিনলাম।আর কিছু পেয়ারা মাখা কিনলাম। তবে পেয়ারা মাখা বেশ লেগেছিলো। কিন্তু আপনাদের দাদা সব খেয়ে ফেললো। তো কি আর করা ভাবলাম বাংলাদেশ আসছি একটু ঘসা বরফ খাওয়া যাক। কারণ ওই খাবারটা আমাদের এখানে পাওয়া যায় না। আপনাদের দাদা আর খেলো না।আমি কয়েক গ্লাস খেলাম সুযোগ পেয়ে।

IMG_20231022_174422.jpg

IMG_20231022_174851.jpg

IMG_20231022_175205.jpg

IMG_20231022_175324.jpg

IMG_20231022_180258.jpg
সেখান থেকে কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে বাড়ি চলে আসলাম। সত্যি বলতে আমার একটু ও ভালো লাগে নি। এরকম অদ্ভুত পূজা আমি কোনদিন দেখিনি। বাড়ি ফিরে ফেসবুকের মাধ্যমে কলকাতার ঠাকুর দেখছিলাম। কোথায় কলকাতার পূজা আর কোথায় বাংলাদেশের পূজা। মন চাইছিল ওইদিন কলকাতা ফিরে আছি।
আজ এই পর্যন্ত। আবার বাংলাদেশের পূজা নিয়ে আবার আসবো।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Sort:  

I wish one could actually translate a post to my native language without needing to copy it into a translator, that would be a very great development for this platform as I'm seeing more of different languages

 last year 

বৌদি আপনি যা দেখেছেন একদম ঠিক দেখেছেন এমনি হয় বাংলাদেশের গ্রামের পূজো গুলো।আপনার খারাপ লাগাই স্বাভাবিক কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের পূজোর মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য কিন্তুু আমরা জন্মথেকে এমন পূজো দেখে দেখে অভ্যাস্ত তাই আমাদের তেমন খারাপ লাগে না।তবে হ্যাঁ শহরের পূজো গুলোতে কিন্তুু অনেক লোকের আনাগোনা থাকে সুন্দর লাইটিং, প্যান্ডেল।ঘষা বরফ খেতে সত্যি অনেক মজাদার। দাদার পেয়ারা মাখা ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই তাই সব খেয়ে নিয়েছে। ধন্যবাদ বৌদি বাংলাদেশের গ্রামের পূজো দেখা পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বৌদি এবারের পূজায় আপনার বাংলাদেশে আসার ইচ্ছে ছিল না শুধুমাত্র দাদার কথা রাখার জন্যই আপনি এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোষ্টটি পরে বুঝতে পারলাম যে বাংলাদেশের গ্রামের পুজো গুলোতে তেমন একটা জাকজমক হয় না। আসলে গ্রামাঞ্চল তো এই জন্য মনে হয় তেমন একটা জাকজমকপূর্ণ হয় না কারণ বেশিরভাগ মানুষই তো শহরে থাকে। যাইহোক বৌদি এ বছর বাংলাদেশে আপনাদের পুজোর দিনগুলো কাটিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। পেয়ারা মাখা গুলো দেখে আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করছে । আপনি তো খেতে পারেননি তেমন একটা কারণ পেয়ারা মাখাটা যে এত মজার ছিল দাদা পুরোটাই খেয়ে ফেলল। তবে বৌদি ঘষা বরফ এটা আবার কেমন জিনিস আমিও কখনো খাইনি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদুই হবে। আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশের পূজোটা আপনাদের তেমন একটা ভালো কাটেনি কারণ এখানে তেমন কোন জমকপূর্ণ পুজো হয় না। যাইহোক বৌদি আপনার অনুভূতিটা করে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বৌদি এর আগে একটি পোস্টে পড়েছিলাম, আপনার ইচ্ছে ছিলো না পূজার সময় বাংলাদেশে আসার,কিন্তু দাদার ইচ্ছাতে আসতে হয়েছিল। আসলে প্রিয় মানুষের ইচ্ছে অবশ্যই রাখতে হয়। যাইহোক কলকাতার পূজা এবং বাংলাদেশের পূজার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আমাদের ছোট দাদা এবং এডমিন মডারেটরদের পূজা সম্পর্কিত পোস্ট দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। অনেক সুন্দর সুন্দর থিম এবং জাঁকজমকপূর্ণ প্যান্ডেল দেখেছি উনাদের পোস্টে। দুর্দান্ত ডেকোরেশন এবং মূর্তি প্রতিমা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক বাংলাদেশের গ্রামের পরিবেশ বেশ উপভোগ করেছিলেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

 last year 

দিদি আপনার ইচ্ছে ছিল না এখন বাংলাদেশে আসা কিন্তু দাদার জন্য আসতে হলো।তবে এটা সত্যি গতবার দাদা কতো যে পূজো মন্ডোপের ফটোগ্রাফি আর বর্ননা শেয়ার করেছিল।তা দেখে আমি এখানে বসে যেনো আনন্দ পাচ্ছিলাম।এদেশে কলকাতার মতো কিছুই হয় না আসলে।আপনারা বেশকিছু খাবার নিলেন।এই পেয়ারা মাখানোটা আমার ও ভীষণ পছন্দ। এতো মজা ছিল দাদা সবটাই খেয়ে নিলো।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে বৌদি এটা স্থানবেদে পরিবর্তন হয়ে থাকে, তবে অনেক জায়গায় বেশ মানুষের উপস্থিতি থাকে এবং বড় ঝাঁকজমকভাবে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। কিছু কিছু জায়গায় আবার এই রকম ফাঁকা থাকে। যাইহোক, তবুও আপনারা উপভোগ করেছেন এবং কিছুটা লোকাল ফুড এর স্বাদ নিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 last year 

আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার বাংলাদেশে পূজায় আসার ইচ্ছা ছিল না দাদার কথায় এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে পুজোয় গ্রামে লাইটিং এর ব্যবস্থা মেলা জাঁকজমক লোকজনও কম ছিল । পেয়ারা মাখা গুলো দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশে গ্রামে পুজো দেখার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনি যেখানে ছিলেন সেখানকার পূজা আপনার একটুও ভালো লাগেনি।দাদার কথার জন্য এসেছিলেন। কোলকাতার পূজাতে বেশি মজা হয় আপনাদের এজন্যই এরকম লেগেছে।পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

একটা দোকান থেকে কিছু পিয়াজু, আলুর চপ ও ছোলা কিনলাম।আর কিছু পেয়ারা মাখা কিনলাম। তবে পেয়ারা মাখা বেশ লেগেছিলো। কিন্তু আপনাদের দাদা সব খেয়ে ফেললো।

বৌদি, দাদার এই খাবারগুলোর প্রতি যে একটু দুর্বলতা আছে, তা কিন্তু তার শৈশবের কাটানো মুহূর্তগুলোর উপর ভিত্তি করে যে লেখাগুলো বিগত সময় লিখেছিল, তা পড়েই কিন্তু আমি জেনেছি ।

শুভেচ্ছা রইল 🙏

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.25
JST 0.034
BTC 95768.49
ETH 2809.01
SBD 0.67