ভ্রমন - ২ || স্মৃ্তিময় তাজমহলে আমি | | @shimulakter
আসসালামু আলাইকুম , আদাব বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি ভাল আছেন । আমিও আপনাদের শুভকামনায় ভালোই আছি ।বন্ধুরা ঘুরতে সবাই ভালবাসে , তাইনা ? আমিও ঘুরতে খুব পছন্দ করি । আর তা যদি হয় কোন ঐতিহাসিক আর স্মৃতিময় স্থান তবে ত কথাই নেই ।এবার আসুন আমি বলছি আমি কিভাবে শেষ পর্যন্ত আগ্রার তাজমহল গিয়েছিলাম , তাই আপনাদের কাছে শেয়ার করব আজ ।
বন্ধুরা , বেশ কয়েক বছর আগে আগ্রা যাওয়ার উদ্দেশে কলকাতা রওনা হয়েছিলাম । আমি আমার পরিবারের সাথে গিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে গেলে আনন্দ ত আরও দ্বিগুণ হয়ে যায় ,তাই না ? আমিও খুব বেশি আনন্দিত ছিলাম।তবে নিজের দেশ ছেড়ে যাচ্ছি কিছুদিনের জন্য , মনটা কেমন যেন খারাপ লাগছিল। আমি আমাদের নিজস্ব গাড়িতে করেই বেনাপোল পার হয়ে কলকাতা গিয়েছি । বেশ ভালই লাগছিল আমার । কলকাতা পৌঁছে আমরা একটা হোটেলে উঠি । তখন সময়টা ছিল মে মাস অর্থাৎ বাংলায় জ্যৈষ্ঠ মাস। প্রচন্ড গরম তখন ।আমার মনে হচ্ছিল ,কলকাতায় একটু বেশি ই গরম ।
আমরা কলকাতা নেমে মৌলালি মোড় হয়ে রাম লীলা ময়দানের পাশে " KZAR Corporate HOTEL"উঠেছিলাম। হোটেলটা বেশ ভালোই ছিল । আমরা ফ্রেস হয়ে এই হোটেলেই খাবার খেয়ে নেই । তারপর রেস্ট নিয়ে আমরা ঘুরতে বের হই। সত্যি কথা বলতে গরমের জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম,নয়ত এম্নিতে ভালোই লাগছিল। নতুন একটা দেশ , নতুন মানুষ আর নতুন নতুন জায়গা বেশ ভালোই লাগছিল।
আমরা পথের ধারে চায়ের দোকানে চা খেলাম। বাইরে দাঁড়িয়ে মাটির কাপে চা খেলাম , একটা আলাদা রকমের ফিল পেলাম । এরপর মার্কেটে গেলাম,ঘোরাঘুরি করলাম । কেনাকাটা করলাম । রাতে KASTURI বাংলা হোটেলে সবাই মজা করে খেলাম ।এরপর আমরা হোটেলে ফিরে এলাম।এভাবে ২/৩ দিন কলকাতা রইলাম । এরপর ট্রেনে করে দিল্লি চলে গেলাম । দিল্লি বেশি সময় ছিলাম না । এরপর আকাংক্ষিত জায়গা আগ্রার তাজমহল দেখতে আমরা একটা মাইক্রো বাস ভাড়া করে রওনা দিলাম । আমার কাছে অনেক দীর্ঘ পথ মনে হচ্ছিল ।পথ যেন আর শেষই হচ্ছিল না ।
বহু প্রতীক্ষার পর আমরা আগ্রা গিয়ে পৌঁছলাম । খুব সুন্দর একটা হোটেলে আমরা সব কিছু রেখে , খাবার খেয়ে রওনা হলাম । সেখানে গিয়ে দেখি ইন্ডিয়ান হলে ভেতরে যাওয়ার টাকা কম কিন্তু টুরিস্ট হলে বেশি । কি আর করা লাইন ধরে এক এক করে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম । গিয়ে সব ঘুরে ঘুরে দেখলাম। অনেক বেশি ভাল লাগা কাজ করছিল।
যে তাজমহলের কথা ইতিহাসে পড়েছি , আজ তা নিজের চোখ দিয়ে দেখছি । তাজমহলের মূলে হল সাদা মার্বেল পাথরের সমাধি । প্রধান কক্ষটিতে মমতাজ মহল ও শাহজাহানের স্মৃতিফলক বসানো হয়েছে , তাদের কবর রয়েছে এক স্তর নিচে । সব ঘুরে ঘুরে দেখছি , আর ভাল লাগছিল।সবাই এক এক করে ছবি তুলেছি । আবার গ্রুপ ছবিও তুলেছি । গরমের কারনে খুব খারাপ লাগছিল, তাও আমরা সব ঘুরে ঘুরে দেখে বাইরে বের হলাম । গলা প্রচন্ড শুকিয়ে গিয়েছিল । বাইরে বের হয়ে দেখি , এক লোক লেবু শরবত বিক্রি করছে । সবাই শরবত খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছিল । আমাকে সবাই বলছিল, কিন্তু আমি বাইরে পানি জাতীয় খাবার বিশেষ করে শরবত জাতীয় খাবার খেতে চাই না । কিন্তু এত তৃপ্তি নিয়ে সবাই লেবু শরবত খাচ্ছিল ,আমি আর না খেয়ে থাকতে পারলাম না । আমার কাছে অমৃত মনে হচ্ছিল । আমরা সবাই দুই গ্লাস করে শরবত খেলাম ।শরীর ও মন দুটোই আমাদের শীতল হয়ে গেল ।
এরপর আমারা হোটেলে চলে যাই , খাবার খেয়ে আমরা রেস্ট নেই । এরপর আরও ২/৩ দিন এভাবে কাটিয়ে আমরা আমাদের দেশে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ।আমার ভ্রমন এর গল্প আপনাদের কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না কিন্তু ।
আমি আমার ভ্রমনের ছবি আমার মোবাইল দিয়ে তুলেছিলাম । ছবির বিবরন নিচে তুলে ধরছি |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @ shimulakter |
স্থান | কলকাতা, আগ্রা |
সবাই অনেক বেশি ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন । আবার একদিন আর কোন ভ্রমন এর গল্প নিয়ে আমি হাজির হব। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাবেন।
আমি ,
শিমুল আক্তার
@shimulakter
ইতিহাসে পড়েছি তাজমহলের কথা বিভিন্ন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেছি তাজমহলের চিত্র নিস্তুকে দেখার সৌভাগ্য এখনো হয়নি আপনি তাজমহল ভ্রমণ করে সুন্দর আলোকচিত্র এবং আপনার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো পড়ে আমারও ইচ্ছা আছে এরকম কোন একদিন ইন্ডিয়াতে গিয়ে তাজমহল দেখব
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে । ঘুরতে যাবেন ভাইয়া ভাল লাগবে । কিন্তু গরমের সময়টা বাদ দিয়ে যাবেন ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা তাজমহলে যাওয়ার। যাব যাব বলে সময় হয় না তাই যেতে পারি না। আমরা তো অনেকবার ঠিক করেছিলাম তাজমহলে যাব বলে। আপনি গিয়েছেন দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে এই পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। সময় করে যাবেন, অনেক বেশি ভাল লাগবে।
তাজমহল দেখার সৌভাগ্য এখনো আমার হয়নি। এমনকি ভারতেও এখন পর্যন্ত পদার্পণ করতে পারিনি। আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা পড়ে ভালই লাগলো। আমিও কোনদিন যাব। ধন্যবাদ অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার জন্য।
তাজমহলের বাহিরে দেখেছো
দেখেছো কি তার প্রাণ
অন্তরে তার মমতাজ শুয়ে
বাহিরে সাজাহান।
আসলে তাজমহলের সৌন্দর্য অমলিন যা হাজার বছর মানুষের হৃদয়ে দোলা দিয়ে যাবে। আর আপনি সে পর্যন্ত পৌঁছেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ওয়াও আপনি তাজমহল ঘুরতে গিয়েছেন এটা শুনেই আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমার এখনো পর্যন্ত তাজমহল ঘুরতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনাকে দেখে আমার ভীষণ ইচ্ছে করতেছে দেখতে। এইরকম একটা অনুভূতি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু ।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তাজমহল ভ্রমণের অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো যদিও এখন পর্যন্ত তাজমহল দেখতে যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছে আছে। আপনার সুন্দর এই অনুভূতির গল্প আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যদি কোনো দিন ইন্ডিয়া ঘুরতে যাই অবশ্যই তাজমহল দেখতে যাবো। আপনি তাজমহল দেখে আসছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। তাজমহল আসলেই সনেক সুন্দর একটি জায়গা।
ট্রাভেল পোস্ট পড়তে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার তাজমহল দেখার অভিজ্ঞতার পড়ে ভালই লাগলো। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ।
জীবনে অনেকবার এই তাজমহল নিয়ে পড়েছি।এর যথেষ্ট ঘটনা আমার জানা রয়েছে এবং এই সম্পর্কে ধারণা রয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত আশা পূরণ হলো না তাজমহলের নিকটে যে তা স্বচক্ষে দেখার। খুব ভালো লাগলো আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি সেই জায়গায় যেয়ে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন দেখে।
জীবনে অনেকবার এই তাজমহল নিয়ে পড়েছি।এর যথেষ্ট ঘটনা আমার জানা রয়েছে এবং এই সম্পর্কে ধারণা রয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত আশা পূরণ হলো না তাজমহলের নিকটে যে তা স্বচক্ষে দেখার। খুব ভালো লাগলো আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি সেই জায়গায় যেয়ে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন দেখে।