ট্রাভেল পোস্ট*//রংপুর রাজবাড়ী ঘোরার অভিজ্ঞতা//
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক:-
তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:
তাজহাট জমিদার বাড়ি। অনেকেই এই দর্শনীয় স্থানটাকে রংপুর রাজবাড়ী আবার রংপুর জাদুঘর নামেও চিনে থাকে। তো যাই হোক এই রাজবাড়ীতে আসতে গেলে আপনাকে একদম রংপুরের মেইন শহর থেকে দক্ষিণ দিকে চলে আসতে হবে। ধারণা করা হয় বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা মান্না লাল রায় এই প্রাসাদ নির্মাণ করেন। আর এই প্রাসাদের প্রথম মহারাজা হচ্ছেন মহারাজা মান্না লাল রায়, তারপরে ধনপত লাল রায়, উপেন্দ্রলাল রায় সহ অনেক রাজা মহারাজা শাসন করে গেছেন এই রাজবাড়ী থেকে। এই রাজবংশের শেষ শাসক ছিলেন , গোপাল লাল রায় এবং তার তিন সন্তান রাজকুমারী সুধারানী রায়, গিরীন্দ্র লাল রায় এবং ভৈরব লাল রায়। এখান থেকেই রায় বংশের শাসনামল শেষ হয়ে যায়। বন্ধুরা প্রাথমিকভাবেই অনেক কিছু বলে নিলাম আরো বিস্তারিত আলোচনা করব যখন রাজপ্রাসাদের দিকে চলে যাব।
তো রাজবাড়ীতে আসার জন্য প্রথমেই আপনাকে গুনতে হবে প্রতি পিস টিকিট ৩০ টাকা করে। বিদেশীদের জন্য ৩০০ টাকা করে। আবার স্টুডেন্টদের জন্য ছাড় ও রয়েছে। স্টুডেন্টদের জন্য প্রত্যেক টিকিটের দাম ২০ টাকা মানে দশ টাকা করে কম। তবে হ্যাঁ যদি আপনি দশ টাকা কমে এখানে ঢুকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের ড্রেস বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড শো করাতে হবে। নচেৎ আপনি সেই ডিসকাউন্ট পাবেন না। প্রথমেই আমি টিকিট কেটে নিলাম একটি 30 টাকা দিয়ে। দুর্ভাগ্যবশত ঐদিন আমি আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা ড্রেস কোনটাই পরে যায়নি। যাই হোক টিকিট নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লাম।
কি বলবো ভাই ভিতরে ঢুকতেই মনে হল যে আমি কোন এক সূর্য নগরীতে চলে এসেছি। চতুর্দিকে সবুজে সবুজ আর সূর্যের আলোয় যেন সব চকচক করছে। ভেতরে ঢুকেই গেটের শুরুর দিকের অংশটা ভালোভাবে দেখে নিলাম। আর কয়েকটা পিকচারও তুলে নিলাম। কি সুন্দর পরিচ্ছন্ন রাস্তা। তবে হ্যাঁ আমি সব কিছুই ফাঁকা পেয়েছিলাম আর এর একটি যথার্থ কারণ রয়েছে। কারণটা হচ্ছে আমি গিয়েছিলাম ঠিক দুপুরের দিকে। আর ওই সময়টাতে রোদ একটু বেশিই ছিল। গরমের কারণে বেশি মানুষ আসেনি ওই সময়। কিন্তু যখন আস্তে আস্তে বেলা গড়াতে লাগলো লোকজনের যেন উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়ে গেল। মাঝখানেই আমি কিছুটা নাস্তা করে নেই বসে বাইরে একটি হোটেল এ।
রাস্তা দিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই দেখতে পারবেন হাতের ডান দিকে সুন্দর সুন্দর এরকম গেট তৈরি করা রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়টা হল এই গেট গুলো মূলত গাছ দিয়েই তৈরি করা। এখানে বাইরের জিনিস ব্যবহার করে গেট তৈরি করা হয়নি। আমার কাছে সব থেকে ভালো লাগার বিষয়টা হচ্ছে এখানে যা কিছু ছিল সবকিছুই সবুজে সবুজ । চোখ তো জুড়িয়ে গিয়েছিলই একদম মন হতে স্পর্শ করে নিয়েছিল। তারপর আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে যেতে লাগলাম।আরো বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। যেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করে নিব।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
রংপুর রাজবাড়ী ভ্রমন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমারও ইচ্ছে আছে ঘুরতে যাওয়ার। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে অনেক ভালো সময় কাটে।
নিমন্ত্রণ রইল আপু আসার জন্য। আসলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন সবকিছু আমি নিজে আপনাকে ঘুরে ঘুরে দেখাবো।
রংপুরের মধ্যে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম হলো রংপুর রাজবাড়ী। রংপুর রাজবাড়ির মধ্যে অনেক পুরনো কিছু জিনিসপত্র এখন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আপনি দেখছি রংপুর রাজবাড়ী ঘুরতে গিয়েছিলেন।রংপুর রাজবাড়ী ভ্রমন কাহিনী খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
জ্বী ভাইয়া মুঘল আমলের বেশ কিছু জিনিস এখনো এই রংপুর জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। সুন্দর শব্দ চয়নে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রংপুরের রাজবাড়ি ভ্রমণ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি স্থান। দেখে বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করেছেন। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে এমন ঘোরাঘুরি করতে যাওয়া এবং সে থেকে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা আমাদের সবার জন্য অনেক ভালো।
জি আপু অন্য কেউ নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে তার পোষ্টের মাধ্যমে আমরাও নতুন জায়গার বিষয় জানতে পারি। চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রংপুর রাজবাড়িতে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রাজবাড়ীর এরিয়াটা ভীষণ সুন্দর। স্টুডেন্টদের জন্য টিকিট মূল্য কম এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। এই জিনিসটা খুব একটা দেখা যায় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু বর্তমানে সময়ে স্টুডেন্টদের জন্য সব জায়গায় ছাড় দেওয়া হয় না তবে এই জায়গায় এখনো রয়েছে এটা। খুব গোছালো মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।