ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস করার অনুভূতি।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
যেহেতু আমার আজকের ভার্সিটির প্রথমদিন তাই মনের মধ্যে একদম নতুন রকমের একটা আনন্দ অনুভূত হচ্ছিল।তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম।যদিওবা আমার প্রভাতেই ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস।আর আমার ডিপার্টমেন্ট এর ক্লাস টাইম হচ্ছে সকাল ৮:৪৫মিনিট।আর আমার বাসা থেকে ভার্সিটি পৌছাতে প্রায় ঘণ্টা খানেক লেগে যায়।বুঝতেই পারছেন একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।তাই প্রস্তুতি টাও একটু ভালোভাবেই নিতে হয়েছে।বলে রাখি বাসায় আম্মু, ছোট বোন অসুস্থ থাকায় তারা সকাল সকাল উঠতে পারেনি তাই বাসায় আর নাস্তা খাওয়া হলোনা।তাই ডিরেক্ট ক্যাম্পাস এ চলে আসলাম।আর তাছাড়াও আমার সকাল সকাল নাস্তা করার অভ্যাস নেই। এজন্যে ঠিক করলাম ক্লাস শেষ করেই নাস্তা করবো। তো বন্ধুরা কথা বলতে বলতে চলে আসলাম আমার ভার্সিটিতে।আমার ভার্সিটির নাম এর আগেও আপনাদের একবার বলেছি।কারমাইকেল কলেজ ,রংপুর।ন্যাশনাল ভার্সিটি। তাও আমি অনেক হ্যাপি বাসা থেকেই যেহেতু ক্লাস করতে পারবো।
আমি আমার সময়ের মধ্যেই অবশ্য ক্যাম্পাসে পৌছে গেলাম।সোজা আমার ডিপার্টমেন্ট এ চলে আসলাম। এসে দেখি আগে থেকেই আরো কয়েকজন স্টুডেন্ট আমার আগেই এসেছে।আমি আমার নিজের ক্লাস রুমের দিকে চলে আসলাম।কারণ নিজে থেকে আমি আবার কারোর সাথে গায়ে পড়ে কথা বলতে পছন্দ করিনা।ক্লাস রুমে বসে শুরু করে দিলাম এই আজকের ব্লগটি লেখা।কারণ তখনও ক্লাস শুরুর অনেক লেট ছিল।অবশেষে স্যার আসলেন আমাদের ক্লাসে। স্যার এর ক্লাস করে বুঝতে পারলাম তিনি বেশ মজার মানুষ।আমিও সুজুক বুঝে পরিচিত হয়ে নিলাম।একটা দারুন সম্পর্ক হয়ে গেলো স্যার এর সাথে প্রশ্ন উত্তর করার মধ্য দিয়ে।বলেনা সব জিনিসেরই একটা শেষ মুহুর্ত আছে।তেমনটাই আমার ভার্সিটির আজকের প্রথম দিনের একে একে দুটি ক্লাস শেষ হয়ে গেলো।
ক্লাস থাকে বের হয়ে চলে গেলাম নাস্তা করতে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্টুরেন্টে।সেখানে কিছু বান্ধবীদের নিয়ে ঘটলো এক মজার কাহিনী,আমিতো শেষ অব্দি হেসেই দিয়েছি হা হা।যাক সে ঘটনা আপনাদের সাথে অন্য আরেকদিন শেয়ার করব।নাস্তা খাওয়া শেষ করার পর বুঝতে পারলাম এখন নিজেকে একটু ফিট ফিট লাগতেছে।এখন রেস্ট এবং ক্যাম্পাসের মুক্ত হওয়া পেতে পুনরায় ক্যাম্পাসের ভিতরে চলে গেলাম।আর কি বলবো ভাই দুঃখের কথা সবাই হচ্ছে জোড়া জোড়া আমি মাঝখানে হতভাগা কপাল পোড়া🙃।সে যাইহোক যে যেমন ইচ্ছা থাকতে পারে কারণ এটাতো আর স্কুল কলেজ না যে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে।তারপর ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে পড়লাম বাসার উদ্দেশ্যে।
একটু খোজ নিয়ে দেখলাম ট্রেন পাওয়া যাবে বাসায় যাওয়ার জন্যে।খরচ বাঁচাতে চলে গেলাম রেল স্টেশনে।স্টেশনে পৌছানোর পর পরই ট্রেন চলে আসলো।তাই দেরি না করে আমিও উঠে পড়লাম ট্রেনে।ট্রেন চলছে নিজের গতিতে আমি উপভোগ করছি প্রকৃতিকে।আমার কাছে রেল ভ্রমণ দারুন লাগে কিন্তু।জানিনা আপনাদের কেমন লাগে।কমেন্টে জানতে ভুলবেন না বন্ধুরা।অবশেষে ট্রেন থেমে গেলো তথা আমি আমার গন্তব্য স্টেশন এ নেমে গেলাম তারপর একটি অটো করে বাসা অব্দি আসলাম।বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের ভার্সিটির প্রথম দিন ক্লাস করার অনুভূতির বর্ণনা।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভার্সিটির প্রথম ক্লাস করার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম দিনটা আমাদের সবার জন্যই অনেক স্পেশাল একটা দিন হয়। ভার্সিটি টা সবাই বাসা থেকে করতে পারে না এটা একটা বড় সমস্যা। তবে আপনি নিজের বাসায় থেকেই করতে পারছেন। ভালো লাগলো আপনার মুহূর্ত দেখে। সুন্দরভাবে দিনটা কাটিয়েছেন আশা করি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জ্বি আপু আপনি সঠিক বলেছেন,ভার্সিটি ক্লাস কিন্তু সবাই বাসা থেকে করতে পারেনা।তাই জন্যে আমি বেশি আনন্দিত।
ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস করার অনুভূতি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই সমস্ত অনুভূতিগুলো খুব দারুণ হয়ে থাকে ভাই। জীবনে যেহেতু বেশ কিছু অধ্যায় পার হয়ে এসেছি। তাই আমারও কিছুটা ধারণা রয়েছে। জয় হোক বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট পড়ে।
আসলেই আপু এই অনুভূতি গুলো বোঝাবার মত না একদম অসম্ভব ভালো লাগে। আপনি যথার্থ বলেছেন।