রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলায় যাওয়ার ( তৃতীয় পর্ব ) ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলায় যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । ইতিমধ্যেই প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি । আশাকরি এই তৃতীয় পর্বটি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

মেলার ভেতর পা রাখলেই এক অনন্য পরিবেশের অভিজ্ঞতা তৈরি হয় আমাদের সকলের। রঙিন সাজসজ্জা, হস্তশিল্পের বাহার, মানুষের কোলাহল সব মিলিয়ে এক চমৎকার আবহ। আজকের এই পর্বে আমি আপনাদের নিয়ে যাব মেলার বিভিন্ন স্টলে, যেখানে নানা ধরনের দেশীয় পণ্য ও কুটির শিল্পের নিদর্শন রয়েছে।আমি ও আমার বোনেরা মেলায় গিয়ে আমাদের পছন্দের কিছু জিনিস সংগ্রহ করলাম। মেলায় প্রবেশ করার পর থেকেই চারপাশের রঙিন পরিবেশ, মানুষের ভিড়, এবং একের পর এক স্টলের বৈচিত্র্য আমাদের মন ভালো করে দিল। স্টলগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়, গ্রামীণ ও কুটির শিল্পের কারিগররা কী অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

এই মেলায় এমন কিছু স্টল ছিল, যেগুলো একদম আলাদা ধরনের পণ্য বিক্রি করছিল। আসুন কিছু স্টল এবং তাদের বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি দেখে নেয় ।

হস্তশিল্প ও কাঠের পণ্যের সংগ্রহ , উপরে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন,একটি স্টলে দেখা যাচ্ছে কাঠের তৈরি নানা পণ্য। ছোট চেয়ার-টেবিল, নকশা করা পিঁড়ি, রান্নার কাজে ব্যবহৃত কাঠের চামচ সহ নানা ধরনের হস্তশিল্পের পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কাঠের তৈরি এসব জিনিসপত্র দৈনন্দিন জীবনে যেমন কাজে লাগে, তেমনি বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতেও অনন্য।

উপরে যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছেন, এটি একটি বড় স্টলে রয়েছে অসংখ্য খেলনা ও ছোটদের জন্য তৈরি নানা সামগ্রী। প্লাস্টিকের খেলনা, রান্নার সেট, বেলুন, জলের পিস্তল থেকে শুরু করে টিনের বাসন পর্যন্ত সবকিছুই সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। ছোটদের জন্য এই স্টলগুলো এক স্বর্গরাজ্য! খেলনাগুলোর বাহারি রঙ ও আকর্ষণীয় ডিজাইন মন কাড়বেই।

উপরে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন ,এটি এক দৃষ্টিনন্দন মৃৎশিল্পের দোকান। রং-বেরঙের মাটির হাঁড়ি, কলস, ফুলদানি, ফলের আকৃতির শোপিস সবই সুন্দরভাবে সাজানো। দোকানের সামনে রাখা ফলা কৃতির শোপিস গুলো বেশ নজর কাড়া, বিশেষ করে পাকা আম, পেয়ারা ও অন্যান্য ফলের ডিজাইনে তৈরি সামগ্রী। এই ধরনের পণ্য মেলার অন্যতম আকর্ষণ, যা আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। ছোট বেলা এই খেলনা আমার অনেক পছন্দের ছিল।

একটি স্টলে চোখে পড়ল কাঠের ওপর খোদাই করা ক্যালিগ্রাফির নান্দনিক কাজ।সুন্দর আরবি ক্যালিগ্রাফি করা কাঠের পেইন্টিং। কিছু কিছু বোর্ডে লেখা ছিল ইসলামী দোয়া ও কুরআনের আয়াত, যা ঘরের দেয়াল সাজানোর জন্য একদম উপযুক্ত। আরবি ও বাংলা হরফে লেখা বিভিন্ন উক্তি ও নকশা করা পেইন্টিং গুলো সত্যিই অসাধারণ। বাড়ির দেয়ালে শোভা পাওয়ার মতো দৃষ্টিনন্দন এসব শিল্পকর্ম মেলায় শিল্প প্রেমীদের নজর কাড়ছে।এখান থেকে সুন্দর একটি ওয়ালমেট আমার বাড়ির জন্য কিনে নিয়েছি ।

একটি স্টলে দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী, যার মধ্যে রয়েছে বাটি, প্লেট, পানির গ্লাস, বালতি ইত্যাদি। গৃহস্থালির কাজে লাগার মতো এসব পণ্য বেশ জনপ্রিয়, কারণ এগুলো দামে সাশ্রয়ী ও ব্যবহারেও টেকসই। মেলাতে এ ধরনের স্টল সাধারণত সব সময়ই ব্যস্ত থাকে, কারণ এখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কেনা যায়।

মেলার সবচেয়ে ভালো দিক হলো এখানে স্থানীয় কারিগরদের তৈরি জিনিস পাওয়া যায়, যা দোকানে সচরাচর দেখা যায় না। প্রতিটি পণ্যের পেছনে গল্প আছে কোনোটি মাটি দিয়ে হাতে গড়া, কোনোটি কাঠের নিখুঁত কারুকাজ, আবার কোনোটি সুতা বুনে তৈরি।

আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম, দরদাম করলাম, আর মেলা উপভোগ করলাম। মেলায় থাকা অন্য দর্শনার্থীদের মধ্যেও একই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেল। কারও হাতে রঙিন বেলুন, কারও ব্যাগে নতুন কেনা মাটির হাঁড়ি, কেউবা শাড়ির প্যাকেট হাতে হাসিমুখে ফিরছেন।আমি ও আমার বোনেরা সহ আমাদের পছন্দে জিনিস পত্র কিছু কেনাকাটা করলাম।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

🌺❤️ধন্যবাদ🌺❤️

🎀আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🎀

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy