ট্রাভেলিং- রাঙ্গামাটি ভ্রমণে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত।
সবাই কেমন আছেন?
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ @amarbanglablog পরিবারের সকল বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন? আমি @samhunnahar আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। বন্ধুরা সব সময় আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার শেষটা করি। আপনাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম এবং আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকার মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং গুলো আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত শেয়ার করি। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আমার ভালো মন্দ অনুভূতি গুলো আপনাদের শেয়ার করি।
সেই অনুভূতি গুলো আপনারা সুন্দরভাবে পড়েন। খুব সুন্দর সুন্দর মতামত শেয়ার করেন কিম্বা অনুপ্রেরণা দেন। বেশ ভালই লাগে এত সুন্দর আপনাদের কাছ থেকে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেয়ে অনেক ভাল লাগে। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। সত্যি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পারি বলেই এত বেশি ভালো লাগে। হয়তো সেই অনুভূতি গুলো ভাষায় প্রকাশ করার মত না। যাক বন্ধুরা অনেক কথাই বলে ফেলেছি এইবার মূল টপিক্সে ফিরে আসি—----------
আপনারা তো অবশ্যই জানেন আমি ইদানিং বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো নিয়ে। আসলেই রাঙ্গামাটি এমন একটি জায়গা যদিও সময় হাতে খুব কম ছিল তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি। তো সেই ঘোরাঘুরির মুহূর্ত গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করতেছি। গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমরা সবাই রাঙ্গামাটির চাং পাং রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার জন্য নেমে গিয়েছিলাম। তো খাবার যেহেতু আগে থেকে আমরা অর্ডার করে রেখেছিলাম। তাই আমরা খাবার অর্ডার দিয়ে বোট নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে গেছিলাম। এরপরে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমরা খাবার খাওয়ার জন্য আবারো সেই একই স্থানে ফিরে আসি।
এবং এসে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করার জন্য বসে পড়ি। আসলেই চাং পাং রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা অবশ্যই আমি আপনাদেরকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছি। তাছাড়া বাইরে ও বেশ ছোট ছোট কয়েকটি কটেজ ছিল যা দেখার মত খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখছিলেন। প্রথমে বলে রাখছিলাম আমরা ভিতরে খাব না বাইরের কটেজ গুলোতে খাবার খাব। যেহেতু খোলামেলা পরিবেশ চারপাশে সবুজ গাছ গাছালি তাই সেই মুহূর্তে খাবার গুলো খেয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অনুভব করতে চেয়েছিলাম।
আমরা ফ্রেশ হয়ে আসার আগেই উনারা খাবার গুলো খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করে দিলেন। যে জায়গায় খাব বলছিলাম ঠিক সেই জায়গায় খাবার গুলো নিয়ে আসলো। তো যেহেতু বেলা হয়ে গেছিল অনেক খিদাও লাগছিল। তাই আমরা আর দেরি না করে খাবার শুরু করে দিলাম। আসলে সেখানে একটা ব্যাপার হলো মাছ জাতীয় খাবার আমি তত বেশ খাই না। যেগুলো সামুদ্রিক মাছ হয় সেগুলো খেতে খুব বেশি পছন্দ করি। তাই খাবার অর্ডার করার সময় অবশ্যই আমার পছন্দ মত আমি কিছু করি নাই। যেহেতু সেখানে আরো অনেকজন ছিল তাই তাদের পছন্দমত অর্ডার করার জন্য আমি বলে দিয়েছি।
কারণ আমার হয়তো পছন্দ নাও হতে পারে। আর যদি পাঁচ জনের পছন্দ হয় তাহলে সেখানে আমার পছন্দের বিষয় আসে না। তাই সেখানে তিন আইটেমের মাছ ছিল। এছাড়াও সালাদ আইটেম ছিল। একটি ব্যাম্বো চিকেনের আইটেম ছিল। এবং সাথে সুস্বাদু ডাল ছিল। যেহেতু আমরা রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গেছি তাই সেখানকার লোকাল খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তো সব খাবার আসলে লাকরির চুলার মধ্যে রান্না করা হয়েছিল। আপনারা জানেন অনেকেই ব্যাম্বো চিকেন বাঁশের ভিতরে দিয়ে রান্না করা হয়। তবে মাছ গুলো ছিল সেখানকার লেকের মাছ। আমি কিন্তু খেয়ে দেখি নাই হয়তো খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। যেহেতু আমি আগেই বলেছি মিঠা পানির মাছ আমি খুবই কম খাওয়া দাওয়া করি।
যাক তারা সবাই খুব মজা করে খাওয়া দাওয়া করছিল। আর ব্যাম্বো চিকেন খুবই মজার ছিল। তাছাড়াও ডাল ছিল সালাদ ছিল খুবই মজাদার ছিল। খাবার গুলো এতই সুস্বাদু ছিল এতই টাটকা ছিল সত্যি আমার খেতে খুবই ভালো লাগছিল। বিশেষ করে সেখানে একটি শুটকি ভর্তা দিয়েছিল সে খাবারটা খুবই দারুণ ছিল। আর হচ্ছে সালাদের আইটেম টাও ভীষণ ভালো লেগেছিল। তাছাড়া ডাল টাও খুবই মজার ছিল বলতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে আমরা খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। এতই মজার করে খেয়েছিলাম হয়তো আমাদের পরবর্তীতে ঝিমুনি শুরু গেছিল হা হা হা।
যদিও খাবার গুলো আহামরি ছিল না। এত বেশি কিছু ছিল না নামি দামি খাবারের কিন্তু খাবার গুলো একদম ফ্রেশ ছিল। কারণ ফ্রেশ খাবারের মধ্যে একটা আলাদা স্বাদ পাওয়া যায়। তো অবশেষে আমরা দুই পরিবার মিলে খাওয়া-দাওয়া গুলো করে নিলাম। এবং খাওয়া-দাওয়ার পরে আমরা আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করি নাই। পাশে একটা দোকান ছিল সেই দোকান থেকে পান নিলাম। আর পান খেতে খেতে হাঁটা শুরু করে দিলাম। যেহেতু সন্ধ্যা নেমে আসছিল তাই আমরা খুব দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এই হচ্ছে আমার আজকের রাঙ্গামাটি চাং পাং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটি চাং পাং রেস্টুরেন্ট |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাঙ্গামাটি ভ্রমণে খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। সত্যি কোথাও ভ্রমণ করলে খাওয়া-দাওয়ার একটু সমস্যা হয় কিন্তু আপনারা তো ভ্রমণে গিয়ে বেশ দারুন খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খাবার দাবার গুলো বেশ দারুন ছিল ভাইয়া।
রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়ে পরিবার নিয়ে বেশ মজা করে চাং পাং রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খাবার গুলোর দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খাবার গুলো খুবই তরতাজা ছিলাম আর খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1751906402799608232?t=L4fkdvpop6TeXB-bkKA75w&s=19
রাঙ্গামাটিতে আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। সত্যি আপু আপনি ঠিক বলেছেন সাথে অন্যরা থাকলে তাদের মতামতে খাবার অর্ডার দেওয়া উচিত না। তবে আপনারা আগে থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন তাই খাবার নিয়ে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।যাইহোক বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু আগে থেকে খাবার অর্ডার করে নিলে একটু সুবিধা হয়।
রাঙ্গামাটিতে তো আপনারা সকলেই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেখানে আপনারা সকলে খুব ভালো এবং সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ট্রাভেলিং পোস্ট আপনি বিস্তারিত দেখেছেন।
আপনি তো দেখতেছি আপু রাঙ্গামাটিতে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন।রাঙ্গামাটি ভ্রমণ খুব মজা করেছেন। আসলে এরকম ভ্রমন করলে নিজের কাছেও ভালো লাগে। দেখতেছি খুব মজার মজার খাবার খেলেন রেস্টুরেন্টে। আসলে ভ্রমণ করতে গেলে অনেক পছন্দের খাবারগুলো খাওয়া যায়। আর খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রাঙ্গামাটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বুঝতে পারছেন ভাইয়া সময় গুলো খুবই সুন্দর ছিল রাঙ্গামাটি ভ্রমণের।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণে করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। এধরনের জায়গায় ঘুরতে গেলে অটোমেটিক ভাবে মন ভালো হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়ার মহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জায়গাটা খুবই সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করার মত।