বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (একাদশ পর্ব)।
যার ফলে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাকি রাইডগুলোতে আর চড়ার প্রয়োজন নেই। তখন আমরা ওয়াটার পার্কের অন্যদিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা সেখান থেকে গিয়ে ওয়াটার জঙ্গল নামে একটা জায়গা ছিলো সেখানে গিয়ে প্রবেশ করলাম। সেখানে আনলিমিটেড অ্যাক্সেস ছিলো। সেখানে আমরা যতক্ষণ ইচ্ছা সময় কাটাতে পারি। সেই জায়গাটা আমাদের সবার কাছেই বেশ পছন্দ হয়েছিলো। সেখানে একেবারে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সকলেই দারুন সময় কাটাচ্ছিলো। সবার আনন্দময় মুখ দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা চার বন্ধু মিলে সেখানে বিভিন্ন জিনিসগুলো উপভোগ করতে লাগলাম। সেখানেও কিছু রাইড ছিলো। তবে সেগুলো আকারে বেশ ছোট যাতে সেখানে কম বয়সী থেকে শুরু করে বেশি বয়সী সকলেই উঠতে পারে। এই ওয়াটার জঙ্গলের পাশেই ছিল রেইন ড্যানস ফ্লোর। সেখানে দাঁড়ালে উপর থেকে বৃষ্টির মতো পানি পড়ে। আপনার অনেকটা বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতি হবে সেখানে গেলে। সেই সাথে চমৎকার সব গান বাজতে থাকে।
সেখানে গিয়ে দেখি অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা গানের তালে তালে নাচ ছিলো। আমরা সেখানে গিয়ে অল্প কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার সেই ওয়াটার জঙ্গল নামক জায়গাটাতে ফিরে এলাম। মূলত আমরা সেখানেই সবচাইতে বেশি সময় কাটিয়েছিলাম। সেখানে বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পরে আমাদের বেশ ক্ষুধা লাগলো। আমরা ঢোকার সময় দেখেছিলাম যেখান থেকে লকারের চাবি নিয়েছিলাম। সেখানে হালকা স্নাক্স খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো। তাই আমরা চার বন্ধু মিলে চলে গেলাম সেখানে হালকা কিছু খাওয়ার জন্য। গিয়ে দেখি তাদের খাবারের আইটেম শেষ ।তাদের কাছে জিজ্ঞেস করতেই তারা আমাদেরকে বললো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন খাবার এখনই চলে আসবে । আমরা কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করতেই এক ধরনের মিনি পিজা সেখানে চলে এলো। আমরা চার বন্ধু পিজা খেয়ে পেটের আগুন নিভালাম।
তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওয়েভ পুলে যাওয়ার জন্য। তবে সেই স্নাক্স কর্নার থেকে আমাদেরকে জানালো ওয়েভপুলে অনেকে নাকি টিউব নিয়ে যায়। সেই টিউব আবার আলাদা ভাড়া করতে হবে। অগত্যা কি আর করা? আমরা চার বন্ধু দুটো টিউব নিলাম। টিউব নিয়ে আমরা রওনা দিলাম ওয়েভ পুলের দিকে। ওয়েভপুলের সিস্টেমটা ছিলো এমন আমরা সেখানে ঢুকে যতক্ষণ ইচ্ছা থাকতে পারবো। তবে একবার বের হয়ে গেলে আবার ঢুকতে গেলে আমাদের আবার টিকেট কাটতে হবে। যাই হোক আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওয়েভ পুলে ঢুকে যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ সময় কাটাবো। তারপর একবারে সেখান থেকে বের হয়ে আমরা আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। ওয়েভ পুলে গিয়ে দেখলাম সেখানে একটা সুইমিং পুলের মত ব্যবস্থা করা আছে। যেটার এক প্রান্তে ডিজে গান বাজাচ্ছিলো।
কিন্তু আমরা সেখানে গিয়ে প্রথমে কোন ওয়েভ দেখতে পেলাম না। ওয়েব পুলে ঢেউ না থাকলে আপনি সেখানে কোনো মজা পাবেন না। তবে আমরা সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পরে বড় বড় ঢেউ আসতে লাগলো। সেই বড় বড় ঢেউয়ের ভেতরে আমরা সবাই মজা করতে লাগলাম। ওয়েভ পুলে আমরা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলাম। সেখানে যখন বড় বড় ঢেউ আসছিলো সেই সাথে দারুন মিউজিক বাজছিলো। সেই মিউজিকের সাথে সবাই সময়টা দারুন ভাবে উপভোগ করছিলো। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পরে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম। তবে ওয়েভপুলে যাওয়ার সময় টিউব ভাড়া করাটা আমাদের একেবারে লস হয়েছিলো। কারণ সেখানে গিয়ে দেখলাম অন্য কেউ টিউব নিয়ে যায়নি। আমরা যে দুটো টিউব নিয়েছিলাম সেটাও আমরা ব্যবহার করিনি। আমাদের কাছ থেকে অন্য লোকজন নিয়ে মজা করছিলো। আমাদের কাছে চাইতেই আমরা টিউব তাদেরকে দিয়ে দিয়েছিলাম। যাইহোক ফেরার সময় টিউব দুটো নিয়ে আমরা সেই কাউন্টার জমা দিয়ে চলে গেলাম লকার এর কাছে। সেখানে গিয়ে কাপড়চোপড় পাল্টে আমরা রওনা দিলাম আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে। আর এভাবেই আমাদের মেরিন ড্রাইভে ঘোরাফেরা এবং ওয়াটার পার্কে কাটানো দারুণ সময়টা শেষ হলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | কক্স বাজার |

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে এতো কষ্ট করে ৫/৬ তলার উপরে উঠে, রাইডে চড়ে নামাটা কষ্টকর ই বটে। লিফট থাকলে সবচেয়ে ভালো হতো। লিফট দিয়ে উপরে উঠে, রাইডে চড়ে নিচে নামলে দারুণ লাগতো। যাইহোক তবুও ফেরদৌস ভাই এবং রাসেল ভাই তিনটি রাইডে চড়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।