ট্রাভেল || ময়দানে ঘুরতে যাওয়া
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কলকাতার ময়দানে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো।
এই শীতের সময় মানুষের মধ্যে ভ্রমণ করার ইচ্ছে একটু বেশি থাকে। তাই সময় সুযোগ পেলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় সবাই , আমি নিজেও তাদের দলের একজন। আমাদের কলকাতাতে ঘোরাঘুরির জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। তবে সব জায়গাগুলো আমাদের বাড়ির নিকটে না, কিছুটা দূরেই। যাইহোক, এই নতুন বছরের প্রথম দিন আমি ঘোরাঘুরির জন্য গেছিলাম ময়দানে। এই দিনে আমি ভিক্টোরিয়াতেও গেছিলাম। যদিও সেই সম্পর্কে তোমাদের পূর্বে শেয়ার করেছি। ভিক্টোরিয়াতে যাওয়ার আগেই আমি এই ময়দানে ঘোরাঘুরি করার জন্য গেছিলাম।
ময়দান সম্পর্কে বলতে গেলে এখানে দেখার জন্য কোন কিছু নেই, শুধু ফাঁকা মাঠ । এটি এতটাই বড় যে , এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভালো করে দেখা যায় না। এটি কলকাতার খুবই ফেমাস একটি জায়গা। মানুষ বিকেলের সময়টাতে এখানে একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য আসে। কারণ একটা ওপেন স্পেস পাওয়া যায় এখানে । শত শত বাচ্চারা, বড়রা এখানে এসে খেলাধুলাও করে বিকালে এসে। আমি এর আগেও অনেকবার বন্ধুবান্ধবদের সাথে ময়দানে গেছি ঘোরাঘুরি করার জন্য । এখানে একসাথে বসে আড্ডা দিতে, সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।
তবে এইবার আমি যখন গেছিলাম এই ব্যাপারটা আমার সাথে ঘটেনি। ভালোলাগা তো পরে হবে,মানুষের ভিড় দেখেই আমি অবাক হয়ে গেছিলাম। কারণ প্রথমবারই এত মানুষের ভিড় একসাথে আমি দেখতে পেয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষ একসাথে এখানে ঘুরতে এসেছিল ওই দিন। হয়তো বছরের প্রথম দিন ছিল বলেই সবাই ঘোরাঘুরি করার জন্য এসেছিল এখানে । সবারই এক্সপেক্টেশন থাকে বছরের প্রথম দিনটা কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। আর কলকাতাবাসীর জন্য এই জায়গাটা বেশ ভালো একটি জায়গা।
এখানে আমি যাওয়ার পর দেখি অনেক মানুষ বাড়ি থেকেই বসার পেপার আর কাপড় নিয়ে গেছে। আর সেখানে বসে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে গেছে। অনেকেই তাদের ফ্যামিলি নিয়ে গিয়েছিল। আর একসাথে সবাই এই দিনটাকে ইনজয় করছিল। গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডেরও অনেক জুটি দেখেছিলাম এখানে গিয়ে। এত মানুষের ভিড় ছিল তাই এখানে অনেক খাবারের দোকানও বসেছিল। মানুষের ভিড় যেখানে থাকবে, সেখানে খাবার দাবারের দোকানও থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এখানে অনেকে ফ্যামিলি নিয়ে এসেছিল তাই ছোট ছোট বাচ্চাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এখানে খেলনাও বিক্রি হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের। তাছাড়া বিভিন্ন সফট টয় দেখতে পেয়েছিলাম এখানে।
আমি ভিড় জিনিসটা খুব বেশি পছন্দ করি না। সেই জন্য এখানে গিয়ে আমার খুব বেশি ভালো লাগেনি সেই দিন। এত মানুষের ভিড়ের মধ্যে কোথায় গিয়ে বসবো, সেটাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক বড় মাঠ ছিল তবুও একটু বসার জায়গা পাচ্ছিলাম না, এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল। এখানে গিয়ে দেখি কিছু অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ ভঙ্গি করে গানের সাথে নাচ করছিল। ফুচকা, ভেলপুরি , ঘুগনি, ঝালমুড়ি সহ আরো অনেক খাবারের দোকান বসেছিল এখানে। আমি এখানে গিয়ে প্রথমে কোথাও না বসে, সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখি। এখানে গিয়ে দারুণ একটা জিনিস দেখার সুযোগ হয়েছিল সেটা হলো,ঘোড়ার পিঠে করে মানুষের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য।
ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই এই ঘোড়ার পিঠে করে চড়ে বেড়াচ্ছিল। আমারও একটু ইচ্ছা করছিল কিন্তু এত ভিড়ের মধ্যে সেই ইচ্ছাটা অনেকটা কমে যায়। এখানে সেদিন নানা ধর্মের , নানা বর্ণের মানুষ একসাথে মিলিত হয়েছে, এমনটা মনে হচ্ছিল। তাদের মধ্যে পোশাকের ভিন্নতা, কথার ভিন্নতা দেখতে পেয়েছিলাম সেখানে গিয়ে। এমনিতেই কলকাতাতে সব ধরনের মানুষই মিলেমিশে থাকে। বাঙালি অবাঙালি সব ধরনের মানুষের এক ঝলক দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম সেদিন সেখানে গিয়ে।
এই ময়দান অন্য সময় হলে ভ্রমণের জন্য বেশ ভালো একটি জায়গা। কিন্তু এত ভীড়ের মধ্যে সেদিন আমি ঘোরাঘুরি করে অন্য দিনের মত মজা পাই নি । তবে এখানে যারা ফ্যামিলি নিয়ে বসে ছিল, গল্প করছিল তারা সবাই বেশ কমফোর্টেবল ভাবেই সময় কাটাচ্ছিল, তাদের দেখে এটাই মনে হচ্ছিল।
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | ময়দান, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
ময়দানে ঘুরতে গিয়ে মজা পাননি জেনে খারাপ লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আসলে অনেক লোকজন ছিলো। জায়গাটি অনেক সুন্দর। নিরিবিলি পরিবেশে গেলে আশাকরি আপনার কাছে ভালো লাগবে দাদা। মজার মজার খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে দেখছি। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
বছরের অন্যান্য সময় এই জায়গাটা নিরিবিলি থাকে ভাই। তবে সেদিন বছরের প্রথম দিন বলে এত বেশি ভিড় হয়েছিল।
আসলে ময়দানে এতো লোকজন।লোকজন দেখে মনে হচ্ছে সত্যি কোন মেলা। যাইহোক বছরের প্রথম দিন বলে কথা। আপনার জন্য একটু খারাপ লাগলো আপনি ঘুরতে গিয়ে তেমন আনন্দ পাননি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু, লোকজন দেখে আমারও প্রথমে দূর থেকে মনে হয়েছিল মেলা হচ্ছে । তবে সেখানে গিয়ে দেখতে পাই সবাই এখানে ঘুরতে এসেছে ওই দিনটাতে।
আরে বাপরে ময়দানটি তো বেশ বড় ভাই। এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ভালোভাবে দেখা যায় না।আর এত বড় ময়দান দেখতে পেলে এবং অনেকটা সময় সেখানে কাটাতে পারলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগবে। তবে যেহেতু বছরের প্রথম দিন ছিল তাই এত বড় ময়দানে লোক জনের সমাগম হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার মত আমার কাছেও বেশি ভিড়ের জায়গা খুব একটা পছন্দ নয়, তাই হয়তো সেদিনের ময়দানের ভিড় আপনার কাছে ভালো লাগেনি। যাইহোক ভাই, ময়দানে ঘুরতে গিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাই, এটি অনেক বড়। এটি কলকাতার একটি ফেমাস জায়গাও বটে ।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিশাল একটি মাঠ। যেখানে শুধু খোলামেলা আকাশ এবং মাঠ। কোন গাছপালা নেই কিছু নেই এমন খোলামেলা পরিবেশে বিকেলে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগবে। প্রচুর পরিমাণ মানুষের ভিড় ছিল। যেহেতু সব বয়সের মানুষ আছে দেখতে বেশ ভালো লাগছে। তাছাড়া আপনার লিখা গুলো পড়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গেলেন আপনি।
হ্যাঁ আপু, অনেক খোলামেলা পরিবেশ এখানে। সেই জন্যই বিকালের সময়টাতে এখানে গেলে ভালো লাগে। সেই দিন অনেক বেশি ভিড় ছিল তাই আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগেনি এখানে ঘুরতে গিয়ে। তবে যেদিন এখানে এত বেশি লোক থাকে না তখন এখানে গিয়ে অনেক ভালো লাগে।