হঠাৎ শহরে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হঠাৎ শহরে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে । আজ এসেছি একটি ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে । আসলে কয়েকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম একটি কাজে। আসলে আমার রাইস কুকারের একটি ঝামেলা হয়েছিল তাই সারার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে গিয়ে দোকানদারকে দেখানোর পরে বলল আপু একঘন্টা পরে আসুন। আসলে তারপর রাইস কুকার রেখে একটু পাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করলাম বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে এটা হল ফরিদপুর কতোয়ালি থানার পাশের রোডে। আমরা আগে কলেজে যেতাম এই রোড দিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করতাম। তবে অনেক দিন হল এভাবে ঘোরাঘুরি করিনি। সেদিন যখন সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আর মিস করিনি। বেশ ভালই লেগেছে তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার ভালো লাগার মুহূর্ত শেয়ার করে নেই। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট ।
আসলে আমি আগে রাইস কুকারটা নিয়ে দোকানে দেখিয়েছিলাম । দেখানোর পরে যখন দোকানদার ভাই বললো আপু এক ঘন্টা সময় লাগবে আপনি পরে আসেন। রাইস কুকার সারতে দিয়ে পাশ দিয়ে এভাবে ঘুরতে ছিলাম।আসলে অনেক দিন হলো এই জায়গায় আসা হয়নি।সত্যি বলতে কলেজে যখন পড়তাম তখন এখান দিয়ে অনেক যাওয়া আসা করা হতো।সকল বান্ধবীরা মিলে কতো সুন্দর ভাবে এখান দিয়ে বাদাম খেতাম আর হাঁটতে থাকতাম।আসলে কলেজ লাইফের মতো জীবন মনে হয় খুঁজে পাওয়া আর কখনো সম্ভব নয়।তবে সেই দিন বেশ কিছু সময় এভাবে হাঁটাহাঁটি করার পরে মনে হচ্ছিল কিছু সময়ের জন্য আমি কলেজ জীবনে আছি।
তারপর আমরা একটু থানার ভিতরে ঢুকলাম। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে কখনো থানার ভিতরে যাওয়া হয়নি। তবে থানার রোডে বৃষ্টি না হওয়াতে ও এভাবে পানি ছিল। আসলে আমার মেয়ে পানি দেখে বলছে আম্মু বৃষ্টি কই যে এখানে এতো পানি। তারপর সামনে পড়ল বেকারি। আসলে বাচ্চারা খাবার দোকান দেখলে খাক না খাক তাদের কিনতে হবে। আমার মনে হয় শুধু আমার না সব বাচ্চাদের একই অবস্থা। কি আর করা তারপর কিছু খাবার কিনে দিলাম। আসলে পরিচিত জায়গায় পরিচিত লোক না থাকলে কি আর ভালো লাগে। জায়গাটা অনেক পরিচিত তবে সেটা আমার কাছে কলেজ লাইফে ছিল। তবে সেই দিন ঘুরতে গিয়ে আগের মতো সেই ভালো লাগা ছিল না। আসলে পরিচিত মানুষ ছিল না দেখে মনে হয় এমন। যাইহোক তারপরে বেশ ভালোই লেগেছিল।
তারপর আমরা বেশকিছু সময় ঘোরার পরে আসলে ক্ষুধা লেগে গেল। আর সামনে পড়ল বিসমিল্লাহ বেকারী সেখান থেকে আমরা হালকা কিছু খাবার খেলাম। আসলে আগে আমরা এখান থেকে অনেক খাবার কিনে খেতাম। অনেক দিন পরে আবার এখানে খেতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। তারপর সামনে পড়ল ঝাল মুড়ি, আমার মেয়ে ঝাল মুড়ি দেখে সে খাবে, আসলে মেয়ে কেন আমারো খেতে ইচ্ছে করলো। সত্যি বলতে বাচ্চার মতো রোডে দাঁড়িয়ে এভাবে তো আর খেতে পারব না। তাই ইচ্ছে থাকলেও আর কিনা হয়নি।তারপর আমরা রাইস কুকার নিয়ে রিক্সা দিয়ে চলে আসলাম। আসলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
নিজের প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে অনেকেই এভাবে নিজ শহরে ঘোরাঘুরি করে। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো আপনাদের ঝাল মুড়ি খাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে। সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শহরে অবস্থান করার বিশেষ মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার এই সুন্দর পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ প্রয়োজনে কিন্তু আমাদের শহরের দিকে যেতে হয়। আর কেনাকাটা বলেন বাজার বলেন যাই হোক সে সমস্ত জিনিসগুলো যদি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। অবশ্যই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পোস্ট করা সম্ভব। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট। পাশাপাশি আপনাদের কোতোয়ালি থানার কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রাইস কুকারের ঝামেলা হয়েছিল জেনে সত্যি খারাপ লাগলো আপু। আসলে রান্নার কোন জিনিসের ঝামেলা হলে মেজাজ অনেক গরম হয়ে যায়। যাই হোক রাইস কুকার ঠিক করতে গিয়েছেন আর সেই ফাঁকে ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ইলেকট্রিক জিনিস গুলো খুব ডিস্টার্ব করে। যেহেতু আপনি রাইস কুকার ঠিক করতে গেলেন হাতে সময় ছিল। সেই সময় গুলো আপনি ঘোরাফেরা করে কাটালেন। খুব সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু