নুহাশ পল্লী গাজীপুরে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট:
নুহাশ পল্লী গাজীপুরে ঘোরাঘুরি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট। পোস্টটি হলো নুহাশ পল্লী গাজীপুরে ঘোরাঘুরি। আসলে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না কে।আমার ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই তো মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘোরাঘুরি করতে চলে যায়,আর সেই ঘুরাটা যদি আপন জনের সাথে হয় তা হলে তো কথায় নেই । তবে বেশ কয়েক কিছু দিন আগে আমরা পরিবার নিয়ে হুমায়ন আহমেদের রাজেত্ব নুহাশ পল্লী গাজীপুরে ঘুরতে গিয়েছিলাম।তবে অনেক দূর থেকে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল, তারপর বেশি ভ্রমণ করার জন্য ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তারপরে ও বেশ ভালোই লেগেছে হুমায়ুন আহমেদ এর নুহাশ পল্লীতে । তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমরা যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। আসলে অনেক দূর থেকে গিয়েছিলাম তাই গিয়ে সবাই প্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।প্রথম আমরা নুহাশপল্লী গিয়ে নামলাম। তারপর নুহাশ পল্লী গেটের ভিতর দিয়ে সামনে চলে গেলাম।বাগান থেকে বেরিয়ে ভাবলাম একটা ঘর রয়েছে, সেখানে গিয়ে বসি কিন্তু সন্ধ্যা বেলা তারপর প্রায় লোক জন সেখানে বসে আছে।আমার মেয়ে দুটি তার বাবার সাথে ঘোরাঘুরি করছে।তবে নুহাশ পল্লীতে গিয়েয় মন মন ভরে গেল ।
তারপর সবুজের সমারোহ ভরা বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে এদিকে সন্ধ্যা অন্যদিকে ক্লান্ত তাই ফুলের বাগানে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।
তারপর আর একটু সামনে এগিয়ে দেখি সুন্দর একটি দাবা খেলার ঘর রয়েছে। আসলে দাবা ঘরের ভিতরে আমি বেশ কিছু ক্ষণ বসে ছিলাম। তবে দাবা ঘরে গিয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যদিও একটু দাবা খেলতে পারতাম হা হা হা। তারপর চলে আসলাম পানির ভিতরে কত সুন্দর কারুকার্য রয়েছে সেগুলো দেখার জন্য। সত্যি এই কারুকার্য দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মানুষের মত কিভাবে পানির ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখতে অনেক ভালো লাগছে।
এখন আমরা একটা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছু ক্ষণ সত্যি বলতে গাছ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।বেশি সুন্দর লেগেছে পাশের ফুল গুলো । তারপর চলে আসলাম দোলনার কাছে। আসলে আমার বাচ্চারা দোলনায় চড়ার জন্য অস্হির হয়ে গেল। আমি শুধু দোলনার ছবি নিয়ে চলে আসলাম।,তারপর ওদের বাবা ওদের দোলনায় চড়িয়ে এনেছে।এবার আমি শুধু একাই ঘুরেছি , আর বাচ্চারা তার বাবার সাথে ঘোরাঘুরি করেছি।
তারপর বাচ্চাদের নিয়ে চলে গেলাম সুইমিং পুল দেখার জন্য। সুইমিং পুল দেখে বাচ্চারা অনেক খুশি হলো। এভাবে পানি দেখতে পেয়ে বাচ্চারা অনেক খুশি।তারপর বাঁশের ব্রিজ দেখতে পেলাম। সেখানে গিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। সত্যি বলতে এমন ব্রিজ অনেক ভালো লাগে। আমরা অনেক সময় ধরে এখানে ঘোরাঘুরি করেছি। সত্যি এসব জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে, আর পরিবার নিয়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীর কথা আমি অনেক শুনেছিলাম। এখনো ওই জায়গায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখে জায়গাটি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে তবে ওই জায়গায় একবার ঘুরে আসার অনেক ইচ্ছা আছে। গাজীপুরে নুহাশ পল্লীর ঘুরাঘুরি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু অনেক সুন্দর একটি জায়গা, সময় করে একদিন যাবেন অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে।আমিও গিয়েছি ১৩ সালে।আমার খুব ভালো লেগেছিল।আপনাদের যেতে দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।দূর থেকে গেলেন তাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন।আসলে জায়গাটা অনেক ভেতরে।যাক তবুও গেছেন দেখে ভীষন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু জায়গাটা অনেক ভিতরে, ধন্যবাদ আপনাকে।
শুনেছি আমাদের শ্রদ্ধেয় কবি হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লী দেখতে অনেক সুন্দর। তবে কখনো যাওয়া হয়নি ইচ্ছে আছে একদিন নুহাশ পল্লীতে ঘুরে আসবো। আপনি তো পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ আনন্দ করেছেন নুহাশ পল্লীতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। কোথায় ঘুরতে গেলে একটু সময় নিয়ে যেতে হয় তাহলেই সময় নিয়ে ঘোরাফেরা করা যায়। খুব সুন্দর মুহূর্তটি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জি আপু সময় নিয়ে গেলে অনেক ভালো হয়, বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিশ্চয়ই আপনারা হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লীতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছে। আর পরিবার পরিজনের সাথে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। যদিও বা আপনারা বেশ ক্লান্ত ছিলেন তারপরও কোথাও ঘুরতে গেলে যত ক্লান্তি থাক না কেন বসে থাকতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এই সুন্দর পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন যতই ক্লান্তি থাক না কেনো ভাইয়া, ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নুহাশ পল্লী সামনা সামনি দেখার এত ইচ্ছে ছিল আপু, কিন্তু আজ পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। তবে আজকে আপনার পোস্ট থেকে যেমন ম্যাক্সিমাম ধারণা পেয়ে গেলাম, তেমন যাওয়ার ইচ্ছেটা আরো বেড়ে গেলো বোধ হয়। খুব চমৎকার লাগছিল ভেতর টা। বিশেষ করে একদম শেষের ছবিটার ব্রিজ টা 👌👌।
সময় করে একদিন যাবেন অনেক ভালো লাগবে,ধন্যবাদ আপনাকে।